ব্যস্ত অথবা সস্তা
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
০৯ আগস্ট, বুধবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
টাইটেলটা দেখে কি একটু বিদঘুটে লাগছে, যদি মিলাতে কষ্ট হয় তাহলে চলুন মিলিয়ে দিচ্ছি। একটু বন্ধু মহল কিংবা অফিস কলিগদের কথাই চিন্তা করুন খুব বেশি দূর নয় পরিবার পরিবারের কথা ভাবতে পারেন। যেই ছেলেটা তার নিজের পরিবারের জন্য সবথেকে বেশি করে দিন শেষে তার মর্যাদা থাকে না, অফিসে যে এমপ্লয়ি বেশি সময় দিয়ে থাকে তারও তেমন একটা ইনক্রিমেন্ট হয় না, বন্ধু হলে যে বন্ধুত্ব ঠিক রাখতে গিয়ে একটু বেশি লেলিয়ে যায় তাকে খুব একটা পাত্তা দেয়া হয় না।
কথাগুলো কি কঠিন লাগছে আরো সহজ করে দেই। পরিবারের দায়িত্ব যে পালন করছে তার থেকে দেখবেন যে ছেলেটা ছোট বা যার একটু জেদ বেশি তার চাহিদাটাই আগে পূরণ করা হয়, অর্থাৎ জেদি ওই মেম্বারটাকে আগে শান্ত করে দেয়া হয়, কিছু করার আগে এই মানুষটার কথা মাথায় রাখতে হয়।
অফিসে আকবরিয়ে অন্য মানুষের কাজে হেল্প করতে গেলে কিংবা অতিরিক্ত ভালো সাজতে গেলে কিন্তু আপনাকে চিপকো কিংবা একটু অন্য চোখেই দেখা হবে যেটা খুব একটা ভালো নয়।
বন্ধু মহলেও আপনি সাভার ডাকে সবার আগে চলে যাবেন হয়তো বা আপনাকে সবাই ভালবাসবে কিন্তু একটা সময় পর আপনি সবার কাছেই সস্তা হয়ে যাবেন, আপনার অনুভূতির তেমন মূল্য থাকবে না। শুধুমাত্র রাখার কারণেই রাখা হবে আপনাকে, এখানেও কিন্তু ওই মানুষদেরকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
অর্থাৎ নিজেকে একটু ব্যস্ত রাখতে হবে, সবকিছুতেই হ্যাঁ বলা যাবে না, কিছু কিছু সময় একটু দেরি করেও যেতে হবে কিছু কিছু সময় বিপক্ষে কথা বলতে হবে কিছু কিছু সময় নিজের অনুপস্থিতিটি বোঝাতে হবে।
বুঝতে হবে আপনি যতটা এভেলেবল হয়ে যাবেন সবার মাঝে মানুষ ততটাই সস্তা ভাবা শুরু করবে আপনাকে, আপনি যতটাই মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন মানুষ কিন্তু ততটাই গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করবে আপনাকে।
তার মানে এই নয় আপনি সময়নিষ্ঠ হবেন না । অবশ্যই আপনি সময়ের মর্যাদা দিবেন কিন্তু সেটা নিজের সময়ের, অন্যের সময়ের মর্যাদা দিতে গিয়ে নিজের সময়টা নষ্ট করবেন না, এতে দিনশেষে সস্তা তো হবেনই নিজের মূল্যবান সময়টাও নষ্ট হবে।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার লেখাটি পড়ে, অনেক ভালো লাগলো ভাই । আসলে এটাই বাস্তব। যাদেরকে বেশি ভালবেসে তাদেরকে সব সময় সহযোগিতা করার জন্য নিজেদেরকে উজাড় করে দিই আমরা, তারাই আমাদেরকে অতিরিক্ত সস্তা মনে করে । এর থেকে মনে হয় ব্যস্ততা দেখে সবকিছু এড়িয়ে গেলেই ভালো হয়। কিন্তু সেটা আর বাস্তবে পেরে উঠি না।
হ্যাঁ এজন্যই সাহায্য করতে হবে পাশে থাকতে হবে কিন্তু সেটা আক বাড়িয়ে নয়। নিজের ওয়েট ধরে রাখতে হবে, সহজেই সব জায়গায় এভেলেবল হওয়া যাবে না।
বাস্তবতা নিয়ে একটি লেখা লিখেছেন ভাই, আসলে আমরা চাইলেও আমাদের কাছের বা ভালোবাসার মানুষগুলোর সাথে ব্যস্ততা দেখাতে পারিনা । আর এই কারণেই তারা আমাদেরকে অতিরিক্ত সস্তা মনে করে, কিন্তু বাইরের লোকেদের কাছে সেই আমি হয়তো অনেকটা দামি। কারণ তাদেরকে তো সময় বিশেষে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সরিয়ে দিই।
হ্যাঁ জীবনের চরম একটা অনুভূতি আপনি যাদেরকে একটু সাইড করে রাখার চেষ্টা করবেন তাদের কাছে আপনার মূল্যটা একটু বেশি থাকবে, কেন যেন মানুষ ইগনোর করলেই বেশি কাছে আসার চেষ্টা করে ভালবাসলে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করে।
সহজ কথায় বলতে গেলে যে সবার ভালো চায় তার ভালোর কথা কেউ চিন্তা করে না। তবে বর্তমানে এই স্বার্থপরতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু তার পরেও আমাদের কে দিন শেষে মানবিক হতে হবে।
পৃথিবী এখনো টিকে আছে কারণ কিছু ভালো মানুষ রয়েছে, আমি বলছি না আপনি স্বার্থপর হয়ে যাবেন, কিন্তু সব সময় অন্যকে নিয়ে ভাবাটাও বোকামি কখনো কখনো নিজের চাহিদা প্রাধান্য আগে দিতে হয়।
ভাইয়া আপনার ব্লগটা পড়ে খুব সুন্দর কিছু নলেজ পেলাম। সত্যিই যে ছেলেটা সংসারের ঘানি টেনে জীবন শেষ করে দিন শেষে সবাই তার বিরুদ্ধে চলে যায়। অফিসে কিছু লোক কাজ না করেও বসের কাছে ভাল থাকে আর অনেকে সারাদিন কাজ করেও তেমন মূল্য পায় না। কথা গুলো শত ভাগ সত্য ও বাস্তাব। ধন্যবাদ।
একটা অ্যাটিটিউড থাকতে হবে, সব জায়গায় বেশি ছড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করে নিজেকে একটু গুছিয়ে রাখতে হবে। নিজেকে যতটা গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন মানুষ আপনার কাছে আসার চেষ্টা করবে তত বেশি।
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ছি আর ভাবছি, প্রতিটি কথা চরম সত্য। আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর সাথে আপনার প্রতিটি কথার মিল রয়েছে। যাদেরকে যেকোনো সময় যেকোনো কাজের জন্য পাওয়া যায়, তাদের আসলেই দাম থাকে না। শুধুমাত্র স্বার্থ হাসিল করার জন্যই তাদেরকে ডাকা হয়ে থাকে। যাইহোক এমন দুর্দান্ত একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাস্তব জীবনের সাথে উপলব্ধি করেই লেখার চেষ্টা করেছিলাম এই পোস্ট, আপনার ভালো লেগেছে জেনে এবং আপনিও বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পেরেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।