ব্যাচেলর পার্টি
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৩১শে মার্চ, রবিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
.jpg)
ব্যাচেলর জীবনটা কি রকম সেটা শুধুমাত্র ব্যাচেলর যারা থেকেছে তারাই জানে, মনের অনেক চাপা কষ্ট নিয়ে কুড়েঘর ব্যান্ড একটা গান লিখেছিল ‘’ব্যাচেলার আমি ব্যাচেলার’’ যাইহোক ব্যাচেলর জীবন এটাও হয়তো উপভোগ করার মত, আমরা খুব একটা উপভোগ করতে পারছি না কারণ প্ল্যানিং এ খানিকটা ভুল ছিল, আমি যেভাবে প্লান করেছিলাম একটুখানিক ভেস্তে গেছে।
যাই হোক খুব বেশি একটা প্রবলেম হবে না কয়েক দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে আশা করছি, যাইহোক এখানে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টা একটা হোটেলে চুক্তি করে নেয়া হয়েছে যেটাকে মেস বলা হয়। কিন্তু নরমাল খাবার এবং যারা এখানে স্টাফ দুটো খাবারের মধ্যে বেশ তফাৎ। এটা বোঝাতে চাচ্ছি যারা যুক্তিতে এসেছে তাদের খাবার ধরনটা খানিকটা সাদামাটা।
বুঝতে পারলাম ভালো মন্দ খেতে ইচ্ছে করলে নিজেদেরকেই রান্না করে খেতে হবে, তাই হঠাৎ করেই আমরা বলে উঠলাম একদিন বাসায় মুরগির মাংস রান্না করলে কেমন হয়। আমি এবং আমার বন্ধু এই হোটেলে খাওয়া দাওয়া করি আমাদের সাথে দুই বড় ভাইও এখানে খাওয়া-দাওয়া করে। কিন্তু ওই দুই বড় ভাইয়ের সাথে আরো একজন রয়েছে তিনি নিজে রান্না করে খান। বেশ ভালো রান্না করে তিনি তাই আমরা ভাবলাম পাঁচজন মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করব।
যেই ভাবা সেই কাজ সারা দিন ফ্যাক্টরিতে দৌড়াদৌড়ি, যেহেতু রোজার মাস খানিকটা কাজের প্রেশার আমরা ইচ্ছে করেই কম নিচ্ছি। অনেকটা সময় পাচ্ছে বিশ্রাম নেয়ার জন্য। তবুও দুপুর হলে একদম নিস্তেজ হয়ে যায় সবাই, যাইহোক ইফতারির পরে আমরা সবাই খানিকটা বিশ্রাম নিতাম, তবে আজকে ইফতারের পর আমরা সবাই মিলে বাজার সদাই করলাম।
ঐদিন আর রাত্রে আমরা হোটেলে খেলাম না, যদিও বাকি সবাই রান্না দেয় খুব একটা আগ্রহী নয়, তবে সবাই হেল্প করার চেষ্টা করছে। আমি খুব একটা রান্না পারিনা তবে কেন যেন আমার রান্নাতে হেল্প করতে ভালো লাগে। তবে ভাইজান আমাদেরকে কাজ করতে দিল না।
বড় ভাই এত চমৎকার করে কালা ভুনা তৈরি করল যেটা খুবই অসাধারণ, নাকি আমরা অনেকদিন পর এরকম চমৎকার একটা খাবার খেয়েছি বলে ভালো লাগছে সেটা বলতে পারি না। যাইহোক মুরগি রান্না করা যখন চলছিল আমি আরেকজন বড় ভাই চলে গেলাম বাসস্ট্যান্ডের এদিকে, এখান থেকে দশটা নান রুটি কিনলাম।
যাইহোক ঠান্ডা হওয়ার জন্য রান্না করা মাংসগুলো রাখা হয়েছিল কিন্তু আমরা লোভ সামলাতে পারছিলাম না, এক পিস এক পিস করে টেস্ট করতে করতে গরম গরমই খেয়ে ফেললাম আমরা। বড় ভাইয়ের রেসিপি সবাই উপভোগ করছিল আর উনাকে চমৎকার চমৎকার কমপ্লিমেন্ট ছিল।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
.gif)
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
𝕋𝕙𝕒𝕟𝕜 𝕪𝕠𝕦 𝕖𝕧𝕖𝕣𝕪𝕠𝕟𝕖
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ব্যাচেলরদের জীবনটা হয়তোবা এমনই কখন কোথায় কি খাওয়া দাওয়া করতে হবে কখন কোথায় থাকা হবে সেটা কেউ বলতে পারে না। বোঝাই যাচ্ছে রমজান মাস উপলক্ষে অনেকটাই ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন তারপরেও দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। রমজান মাসে দুপুরের পরে সকলেই নিস্তেজ হয়ে যায়, যাইহোক বড় ভাই কালা ভুনা রান্না করেছিল এবং আপনারা সকলেই উপভোগ করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। এটাই আসলে ব্যাচেলরদের একটা তৃপ্তি যেখানে সকলে মিলে একত্রে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা যায় ক্ষনিকের জন্য। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে ব্যাচেলর পার্টির মুহূর্তটা তুলে ধরার জন্য।
সবাই খুব বেশি আন্তরিক, একজন তো আবার বেশ ভালো রাধুনী। তাইতো আমরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তার রান্না খাওয়ার আবদার করি, তিনিও বেশ আনন্দ পায় তাই তো মাঝে মাঝে ভালোমতো খাওয়া হয়।
আপনার এই পোস্ট দেখার মাধ্যমে আজকে আমার মেস লাইফের কথা মনে পড়ে গেল। মেসে থাকাকালীন যে সকলে মিলে কত মজা করেছিলাম আর কতদিন এভাবে রান্না করে খেয়েছি তা বলে বোঝাতে পারবো না। নিজেরা এভাবে রান্না করে খাওয়ার মধ্যে অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে।
আমি এই এলাকায় মেস এর সন্ধান করেছিলাম তবে নেই এখানে, তাই দুই বন্ধু মিলে একটা ঘর ভাড়া নিয়েছি। তবে এটা ভালো হয়েছে আমার টিমে এমন তিনজনকে পেয়েছি যারা বেশি আন্তরিক তাই তো এরকম আনন্দ করা সম্ভব হচ্ছে।
কিছু করার নেই ভাই, হোস্টেল লাইফ বা মেস লাইফের খাবার এরকমই হয়। বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া আর কি😥। তবে আপনার বন্ধুরা এবং বড় ভাই মিলে রান্না করে খাওয়ার যে প্ল্যান করেছেন, সেটা কিন্তু যথেষ্ট ভালো বলে আমি মনে করছি। যাইহোক, আপনার বড় ভাইয়ের এই মুরগির মাংসের কালা ভুনা রেসিপি আমাদের সাথেও একদিন শেয়ার করেন ভাই , আমারও এই টেস্টি রেসিপিটি শিখে নিতে চাই। সব থেকে ভালো লাগলে এই কথা শুনে যে, ঠান্ডা হওয়ার আগেই আপনারা মাংস খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলেন, এমনটা আমারও করি।
তিনি বেশ সবকিছুই ভালো রান্না করেন, মজার বিষয় হচ্ছে সচরাচর যাদের রান্না করা হয় তিনিও তাই ব্যবহার করেন তবে তার হাতের রান্নাটা অনেকটাই ব্যতিক্রম হয়ে থাকে, সেজন্য আমরা বেশ ইনজয় করি।