শখের ছবিওয়ালা,❇️📸🎈♨️ -পর্ব: ১৮
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৯ই জানুয়ারি, সোমবার ।
শখের ছবিওয়ালা
শখের ছবিওয়ালা❇️📸🎈♨️ - পর্ব: ১৮
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আমার তোলা কিছু ছবি আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি আমার একটা পোষ্টে বলেছিলাম [] ঐদিনের আরো কিছু ছবি নিয়ে একটা পোস্ট করব, ওই দিনের ঘটনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে কিন্তু কয়েকটি ফটোগ্রাফি তোলা হয়েছিল যেগুলো শেয়ার করা হয়, অনেকদিন হলো আমার কোনো ফটোগ্রাফি পোস্ট আসছে না তাই ভাবলাম পাহাড়ের যেই ছবিগুলো আমি আমার গল্পের মধ্যে ইউজ করতে পারছি না সে গুলোকে আমি ফটোগ্রাফি হিসেবে আপনাদের দেয়ার চেষ্টা করব।
আমরা যখন পাহাড়ে ওঠা শুরু করলাম তখনই এরকম একটা সিঁড়ি এবং গেটের অবস্থান দেখলাম, আমরা মূলত পাহাড়ে উঠবে তাই ঠিক এর বাম পাশের রাস্তা দিয়ে উপরে উঠা শুরু করলাম, এখানে যারা পুজো দিতে আসে তারা এই রাস্তা দিয়ে উপরে উঠবে এমনটাই নির্দেশনা ছিল। যাই হোক এই গেট আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে তাই ফটোগ্রাফি করে রাখলাম।
এই ভাস্কর্য টা কেন তৈরি করা হয়েছে সে সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া নেই, রানিং অবস্থায় ছবিটি তুলতে হয়েছে কারণ আমাদের অনেকটা পথ হাঁটতে হবে, এটা বোধহয় দেশ স্বাধীনতা নিয়ে এ ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে পাহাড়ি অঞ্চলে রকম একটা জিনিস দেখতে পেয়ে আমি ফটোগ্রাফি করে রাখলাম।
যদিও এ রাস্তা গুলোর মধ্যে সিঁড়ি রয়েছে কিন্তু সিঁড়িগুলো আপনার ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, সিঁড়িগুলো খুবই উঁচু উঁচু ওঠা কিংবা নামা দুটোই খুবই রিক্স, দেখতেই পাচ্ছেন এর শুরু আছে কিন্তু শেষ দেখা যাচ্ছে না।
আমি চাচ্ছিলাম শিকড়সহ গাছের পুরাটা ছবি তুলতে, ছবিতে বোঝা যাচ্ছে না হয়তো কিন্তু গাছগুলো এত বড় দুটোকে একসাথে ফ্রেমে বন্দী করা সম্ভব হচ্ছে না। শিকড় গুলো আমার খুব ভাল লাগল তাই ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা।
এখানে এসে মনে হচ্ছে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি মনে একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে।
পাহাড়ের সিঁড়ি গুলোর মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর মনে হয় এটাই লেগেছে আমার কাছে, একবার যদি পা পিছলে যায় কোন কারনে সে কয়েক মিনিট নিচের দিকে পড়তেই থাকবে, নামার সময় যখনই বারবার ডানপাশে চোখ যাচ্ছিল একটা অন্যরকম ফিলিংস হচ্ছে কারণ এখান থেকে একবার নিচে পড়লে সোজাসুজি উপরে চলে যেতে হবে।
মনে মনে ভাবছি আর হয়তো ঘন্টাখানেক এরমধ্যে উপরে উঠলে পৌঁছে যাব আমাদের গন্তব্য স্থানে, কিন্তু পথ যেন শেষ হয় না যতটুকু পিছনে ফেলে এসেছি ততটুকুই সামনে দেখা যায়, দূরত্ব যেন একই রকম দেখা যায় একটা অন্যরকম ধাঁধার মধ্যে রয়েছি যাই হোক আমাদের গন্তব্য স্থান কে ক্যাপচার করতে পেরেছিলাম, প্রকৃতি সত্যিই খুব সুন্দর এটা উপভোগ করার জিনিস, ক্যামেরাতে বোধহয় এর আসল সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়।
পোষ্টের ধরন | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @sajjadsohan |
লোকেশন | https://w3w.co/hurdling.takeout.refuges |
ডিভাইস | Xiaomi Redmi Note 10 Pro Max |
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই আসলে কী বলবো বলার নেই ৷ আমি শুধু বারংবার ফটোগ্রাফি গুলো দেখছিলাম ৷ সত্যি বলতে প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন ভাবে ক্যাপচার করেছেন ৷ তবে সিড়ি নিয়ে কিছু কথা বলি ৷ আসলে সিড়িতে উঠতে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও ৷ যখন নিচে নামি ওরে বাবা বুকের ভিতর ঢোল বাজে ৷ আপনার সিড়ির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমনিতেই পা কাপছে ৷
যা হোক অনেক ভালো ছিল ৷
ধন্যবাদ
যাক বোঝা যাচ্ছে আপনার এই প্লেসে ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা রয়েছে, সত্যি উঠতে গেলে তেমন একটা কিছু বোঝা যায় না তবে নামার সময় অনেক ভয় করে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ফটোগ্রফিক বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো ভাই। পাহাড়ের সিঁড়ি বেয়ে উপর দিকে উঠতে খুবই কষ্ট হয়। আমি এই জায়গায় অনেক আগে গিয়েছিলাম একবার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই অসাধারণ দেখে মন ভরে যায়।
ওঠা যেমন কষ্ট নামাটা আরো বেশি ভয়াবহ, কোনরকমে উঠেতে তো পারা যায় কিন্তু নামার সময় একটা অন্যরকম ভয় কাজ করে ।
এই জায়গা গুলোতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এখনো হয়নি,ভালো লাগিলো আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে আর ছবিগুলো দেখে।
উপস্থাপনা ভালো ছিল, শুভ কামনা জানাই।
আমিও এর আগে কখনো যায়নি তাই এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি, হয়তো পরবর্তীতে ঘুরতে যেতে পারবো কিন্তু এই মানুষগুলোকে আর পাওয়া যাবে না তাই এই সুযোগে ঘুরে আসলাম, আপনিও সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন মন ভালো হয়ে যাবে।
দারুণ ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।পাহাড়ী রাস্তাগুলো খুবই ভয়ঙ্কর লাগে।এই সিড়িগুলো দেখে তো আমারই ভয় লাগছে,মনে হচ্ছে যেন নিচে পড়ে যাব।এরকম জায়গাগুলো ছবিতেই দেখা হবে হয়ত কখনো যাওয়া হবে না।আর গেলেও ফিরে আসবো কিনা সন্দেহ আছে,হাহাহা। ভালো লাগলো ভাইয়া,সবগুলোই সুন্দর ছিল।
ছবিতে যদি এরকম লাগে তাহলে নিশ্চয়ই অনুভব করতে পারছেন বাস্তবে এগুলো কতটা ভয়াবহ হতে পারে, যেমন আনন্দ পেয়েছি ঠিক তেমনি রোমাঞ্চকর একটা অনুভূতি হয়েছিল এই পাহাড়ে।
তবে শখের ছবিওয়ালা যেমন হবে হউক কিন্তু ছবি গুলো বেশ দক্ষতার সাথে তুলেছেন বোঝা যাচ্ছে। তবে ছবিগুলো দেখে বিস্মিত হলাম কারণ আপনার সেই ছবি গুলো যেগুলো আপনি বিপদে পড়েছিলেন সে রাস্তা দিয়ে তোলা ছবিগুলো।অনেক সুন্দর কিছু দৃশ্য ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বন্দি করেছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন বেশ ভালো লেগেছে।
এমন কিছু সিচুয়েশনে পড়েছিলাম যার ছবি আমি তুলতে পারিনি কারণ দাঁড়ানোর মতই অবস্থা ছিল না সেই ছবিগুলো যদি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারতাম নিজের কাছে খুব ভালো লাগতো, ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ভাই। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ। দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করেন অসংখ্য।
এই ছবিগুলোর পিছনে অনেক পরিশ্রম এবং গল্প লুকিয়ে আছে যেগুলো আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। আজকের ফটোগ্রাফিতে অচেনা সব সৌন্দর্য ছিল কারণ সাধারণত আমরা এই পাহাড়ের প্রকৃতির সৌন্দর্যটা সবসময় দেখতে পাই না এই জন্য এই পর্বটা বেশি ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই সব অঞ্চল গুলো একটু দুর্লভ সবাই হয়তো চাইলেও যেতে পারে না সিচুয়েশন থাকে না, আমার সুযোগ হয়েছিল তাই ঘুরে আসলাম এবং চেষ্টা করছি আপনাদেরকে দেখানোর জন্য।