অসময়ে অফিসের কাজে টাঙ্গাইল

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.

১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

৩১শে মে,শুক্রবার।



মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।


অসময়ে অফিসের কাজে টাঙ্গাইল

Beige Torn Paper Vision Board Life Goals Photo Collage (3).jpg


ইউনিভার্সিটির পড়াশোনার শেষ ধাপে এসে ইন্টার্ন করতে হয়, তবে আমরা ইন্টারশীপ এমনভাবে করছি যেন আমরা অফিসে জব করছি। টেক্সটাইলের অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট রয়েছে সবচেয়ে মজার বা ক্রিয়েটিভ কাজ হচ্ছে মার্চেন্ডাইজার, মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে ও যাওয়া যায় অফিসের কাজে যেটা অন্য কোন সেক্টরে হয় না।

একসময় নিজেই ভেবেছিলাম জিনিসটা কত মজার, কেননা একমাত্র এই সেক্টরেই স্বাধীনভাবে কাজ করা যায় এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও যাওয়া যায়। কিন্তু কাজ যে সবসময়ই কষ্টের হয়ে থাকে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি, এই ঘটনাটা আমার সাথে দুদিন আগেই ঘটে গেল।


IMG_20240529_204121.jpg

IMG_20240529_210657.jpg

IMG_20240529_210713.jpg


একটি পলিব্যাগের স্টিকার এর স্যাম্পল প্রয়োজন, একটা প্রোডাক্টের কোন কিছু প্রয়োজন হলে সেটা ম্যানেজ করার দায়িত্ব আমাদের। পলিব্যাগের একটা স্টিকার প্রয়োজন ইমারজেন্সি স্যাম্পল টা আমাদেরকে হেড অফিসে পাঠাতে হবে। মজার বিষয় হচ্ছে এইরকম ইমারজেন্সি কাজগুলো সব সময় অফিস শেষে আসে। যেমন সারাদিন অফিস করে যখন বাসায় যাওয়ার সময় হয় খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নেয়ার সময় হয় ওই সময় কেউ একজন বলে উঠবে আজকে হেড অফিসে যেতে হবে।

আজকে ওই ফ্যাক্টরিতে যেতে হবে একটা স্যাম্পলের জন্য, সবসময় এই ধরনের কাজগুলো আমি এড়িয়ে চলেছি তবে সেদিনের এড়াতে পারলাম না। সন্ধ্যা সাতটার সময় আমাকে বলা হলো গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল যেতে হবে, ঐদিন অন্য ইন্টার যারা ছিল তারা আসেনি তাই আমাকে যেতে হলো।


IMG_20240529_210849.jpg

IMG_20240529_212142.jpg

IMG_20240529_214026.jpg


ফোনে মাত্র 3% চার্জ ছিল, আগে বাসায় আসলাম ফোন চার্জে লাগিয়ে ফ্রেশ হতে হতে ৩০% চার্জ হল, ফাস্ট চার্জ এজন্য অনেকটাই বেঁচে গেলাম, বর্তমান যুগে মোবাইল এবং ইন্টারনেট ছাড়া অপরিচিত জায়গায় যাওয়াটাও মুশকিল। বাসা থেকে বের হতে হতে প্রায় সাড়ে সাতটা বেজে গেল। মাথায় চিন্তা ছিল আজকে রাতের খাবারটা বাইরেই খেতে হবে জানিনা কত রাতে বাসায় ফিরব।

আমি আসলে ভেবেছিলাম অরজিনাল যে জায়গাটাকে টাঙ্গাইল বলা হয়, পরে বুঝতে পারলাম ওইটা টাঙ্গাইল রোড ওইখান থেকে টাঙ্গাইল শুরু। যাইহোক কোনাবাড়ি থেকে পরপর দুটা বাস চেঞ্জ করলাম দুইবার অটো চেঞ্জ করলাম তারপর আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলাম, যেখানে বলা ছিল মেইন গেটে আমার সিম্পল দেয়া হয়েছে সেখানে দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করতে হলো।


IMG_20240529_220635.jpg

IMG_20240529_220643.jpg

IMG_20240529_221200.jpg


আমি তো সেই ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা তাদেরকে পেশার দেওয়া শুরু করলাম তাড়াতাড়ি আমার স্যাম্পল রেডি করার জন্য, এদিকে আমার অফিসের ম্যানেজার তাদের কেউ প্রেশার দিচ্ছে। যাইহোক সাড়ে নটার পরে আমি আমার স্যাম্পল হাতে পেলাম, এর মধ্যে কোথাও লেগেছিল হালকা পাতলা নাস্তা করে নিলাম।


IMG_20240529_231213.jpg

IMG_20240529_231231.jpg


ওই ফ্যাক্টরি থেকে বের হতে হতে প্রায় দশটা বেজে গেল, আবার একই ভাবে অটো এবং বাস পরিবর্তন করতে করতে গাজীপুর আসতে পেরেছি, মজার বিষয় হচ্ছে বাসে আমি ছিলাম একজন যাত্রী। রাত দশটা যেখানে কত রাত তা ঐদিন বুঝতে পারলাম। বাস ইচ্ছে করেই এক ঘন্টা দেরি করলো জায়গায় জায়গায় দাঁড় করিয়ে। এই সময় মনে হচ্ছিল নিজের যদি একটা বাইক থাকতো আফসোস করতে করতে বসে আছি বাসার মধ্যে।

এরপর একটা সময় সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমি আমার অফিসে পৌঁছাতে পারলাম, স্যাম্পলটা অফিসের গেটে জমা দিয়ে হোটেলে চলে গেলাম রাতের খাওয়া দাওয়া করতে। বারোটা নাগাদ বাসায় আসতে পারলাম, মাঝে মাঝে অফিস থেকে বের হয়ে ঘুরতে ভালোই লাগে কিন্তু সেটা অফিস ছুটির টাইম এর পর হলে একটু মন খারাপ হয়ে যায় কারণ তখন শরীর খুব বেশি পরিমাণে ক্লান্ত থাকে, এছাড়াও যখন শুনলাম এটা শুধুমাত্র একটা স্টিকার আর তার জন্য এত কষ্ট করতে হয়েছে তখন খানিকটা বিরক্ত লেগেছে। তবে রাতের বেলা নতুন একটা জায়গা একা একা ঘুরছি এটাও নতুন একটা অভিজ্ঞতা।


আমি কে?

আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।


@sajjadsohan (1).gif


image.png



logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


image.png

𝕋𝕙𝕒𝕟𝕜 𝕪𝕠𝕦 𝕖𝕧𝕖𝕣𝕪𝕠𝕟𝕖

115.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last month 

কাজ যদি কষ্টের না হয় তাহলে কি আর সেটা কাজ হতো ভাইয়া। তবে আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে বুঝলাম সত্যিই অনেক বেশি কষ্ট করেছেন। এতদূর পর্যন্ত যেতে হয়েছে আপনাকে। আর এটাও ঠিক বর্তমানে ফোন ছাড়া আমাদের একদম চলে না। ভালোই করেছেন ফোনে চার্জ করে নিয়েছেন কিছুক্ষণ। তবে অনেকটা সময় ধরে দেখছি অপেক্ষা করতে হয়েছে আপনাকে। শেষ পর্যন্ত স্যাম্পল টা নিয়েছেন এটা দেখেই ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 57653.41
ETH 3122.86
USDT 1.00
SBD 2.41