রেলস্টেশনের অসহায় মানুষ
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৯শে জানুয়ারি, সোমবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
.jpg)
লাস্ট দুই তিন দিন ধরে নাওয়া খাওয়া বাদ ঠিকভাবে পোস্ট করতে পারছি না, নিজের সকল ব্যক্তিগত কাজকে খানিকটা বিরতি দিয়ে শীত বস্ত্র বিতরণের কর্মসূচির দিকে বেশি নজর দিতে হচ্ছে, সারা বছর আমরা গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও বছরের নির্দিষ্ট তিন চারটি সময় আমরা একটিভ থাকার চেষ্টা করি, তার মধ্যে অন্যতম এই শীত বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি।
যেহেতু আমি ফোন কলে যোগাযোগ কম করেছি এবং কম্বল ক্রয় করার সময় ছিলাম না তাই নিজ দায়িত্বে বিতরণের সকল ঝামেলা বিষয়গুলো দেখে থাকি, এটার জন্য মাঝে মাঝে বাসায় বকা খাই কারণ আমার নিজের সংগঠন এবং আমার পার্শ্ববর্তী এলাকার যে বন্ধুরে রয়েছে তাদের সংগঠন সবার কম্বলগুলো আমার বাসায় রাখা হয়।
আমার বাসার জায়গাটা একটু বড় এবং গ্যারেজেও বেশি জায়গা রয়েছে এজন্য এই দায়িত্বটা আমার, বকা খাওয়ার পরেও এই কাজ করতে আমার ভালই লাগে। যাইহোক আজকে আমরা দুইটা গ্রুপ একসাথে বের হলাম। একটু বেশি রাত হয়ে গেল কারণ আমার বন্ধু আকিবের টিম আসতে খানিকটা দেরি করেছে।
আমার সাথে একটা প্রাইভেট কার এবং বাইক ছিল, যতজন সম্ভব গাড়িতে উঠানো হয় বাকি সবাইকে অটো একসাথে উঠিয়ে দিলাম এবং আমি ও @razuahmed বাইকে করে চলে আসলাম।
কঠিন বিষয় হচ্ছে এয়ারপোর্টের রেলস্টেশনের এই এরিয়াতে কোমল বিতরণ করা, কারণ আপনি দুই মিনিট সময় পাবেন না একটা প্লান তৈরি করার। এর ইতিমধ্যেই আপনার উপর আক্রমণ শুরু হবে কম্বলগুলো নেয়ার জন্য। এজন্য আজকে আমরা মূলত ১৫-১৬ জন এসেছি।
আমরা প্রত্যেকে চারটি পাঁচটি করে কম্বল হাতে করে নিয়ে একেক জন একেক দিকে চলে গেলাম, এতে করে আমরা একজন একেক দিকে কভার করতে পারলাম, আমি কয়েকজনকে নিয়ে আমার টিম গঠন করে স্টেশন এবং মেইন রোডের কিছু অংশ কভার করার চেষ্টা করলাম।
এভাবে সকলের টিম অনুযায়ী বিতরণ করার চেষ্টা করেন, তবুও আমাদের কাজ শেষ হতে হতে রাত দশটা বেজে যায়। ভেবেছিলাম কাজ শেষ করে সব বন্ধুরা একটু ঘুরতে যাব যেহেতু আজকে গাড়ি ছিল আমাদের সাথে, কিন্তু তা আর হলো না। শুধু মাত্র কম্বল বিতরণ করতে করতেই আমাদের অনেক রাত হয়ে গেল।
তবে আমরা খুশি ছিলাম মোটামুটি অর্ধেকটা আমরা বিতরণ করতে পেরেছি, কিন্তু পরিস্থিতি যখন খারাপ হয়ে যায় একসাথে অনেক মানুষ চলে আসে তখন আমাদের একটু কষ্ট করতে হয়, খারাপ লাগে একটা বিষয় একটা মানুষ একাধিক বার নেয়ার চেষ্টা করে।
যাইহোক অনেক রাত হয়ে যাওয়াতে দূর থেকে যারা এসেছে তাদের বিদায় দিয়ে দিলাম, প্রত্যেকের হাতে আরও কয়েকটি করে কম্বল দিয়ে দিলাম তারা তাদের এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এগুলো বিতরণ করবে।
আমরাও বাকি যারা ছিলাম হালকা পাতলা নাস্তা করলাম এবং চা খেলাম। তারপর এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম, প্রস্তুতি পরের দিনে কাপড় বিতরণের জন্য। কাপড় বিতরণের অভিজ্ঞতার পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করার চেষ্টা করব।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
.gif)
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
𝕋𝕙𝕒𝕟𝕜 𝕪𝕠𝕦 𝕖𝕧𝕖𝕣𝕪𝕠𝕟𝕖
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
টুইটার
আপনারা খুবই সুন্দর এটি কাজ করেছেন। আসলে রেল ইস্টিশনে অনেক গরীব দুঃখী মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। যারা সেখানেই রাত কাটায়। কিন্তু তাদের শীতের কাপড় থাকে না। আপনারা সত্যিই অসাধারণ একটি কাজ করেছেন। এটি মানব সেবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমরা আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছি আপনারাও চেষ্টা করবেন আপনাদের এলাকায় এরকম কার্যক্রম করার জন্য।
আপনারা খুবই সুন্দর এটি কাজ করেছেন। আসলে রেল ইস্টিশনে অনেক গরীব দুঃখী মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। যারা সেখানেই রাত কাটায়। কিন্তু তাদের শীতের কাপড় থাকে না। আপনারা সত্যিই অসাধারণ একটি কাজ করেছেন। এটি মানব সেবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমরা আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি আপনারাও চেষ্টা করবেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
এমন মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই ভাই। শীতের সময় শীত নিবারনের জন্য কম্বল বিতরণ করেছেন। এয়ারপোর্ট স্টেশন এর আশেপাশে যে সকল দরিদ্র মানুষ রয়েছে তাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে যেটা দিয়ে তারা শীত নিবারণ করতে পারবে। তবে আলাদা আলাদা টিম গঠন করায় কম্বল বিতরণ করতে অনেকটাই কম ভোগান্তি হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আমরা আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি। টিম অনুযায়ী কাজ করলে খানিকটা সুবিধা হয় এবং সময় বেঁচে যায়। একসাথে অনেকগুলো কম্বল দেখলে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকেই টিম অনুযায়ী ভাগ হয়ে যায় আমরা।
আপনাদের এই মহান উদ্যোগকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হয়। তবে কম্বলগুলো আপনার নিজের বাড়ি রাখার কারণে বকা খাওয়ার পরেও যে আপনি সেটা নিজের দায়িত্বে রেখেছেন, শুধুমাত্র গরিব মানুষদের সাহায্য করার জন্য, এটা খুব বড় মনের মানুষ না হলে করা সম্ভব নয়। তাছাড়াও এই ব্যাপারটা আমিও ফেস করেছি যে, একজন দুটো তিনটে করে কম্বল নেওয়ার চেষ্টা করে। কারণ তাদের বাড়িতে তো আরো লোকজন থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত আপনারা যে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করতে পেরেছেন কম্বল, এটাই অনেক বড় ব্যাপার। যদিও আরেকটা ব্যাপার খুব ভালো সেটা হল, আপনার কাছের মানুষগুলো বা বন্ধুবান্ধবগুলো আপনাকে অনেক উৎসাহিত করে এবং তারাও অনেক ভালো।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন এখন বাছাই করা খুবই কঠিন, কি যে আসল অসহায় আর কে যে অভিনয় করছে একটা বোঝা খুবই কঠিন।
এটা তো সত্যি কথা বলেছেন ভাই, এই কথার সাথে আমিও একমত।