বাণিজ্য মেলা
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
১২ই ফেব্রুয়ারি, সোমবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
আজকে সকাল থেকে খানিকটা ব্যস্ত ছিলাম, কাজ শেষ করে বাসায় আসতে আসতে তাই দুপুর হয়ে গেল। সেই যে মোবাইলের ডাটা অফ করেছিলাম আর অন করিনি। বাসায় আসার পর ওয়াইফাই কানেক্ট হওয়ার সময় দেখলাম বন্ধু মেসেজ করেছে, রিপ্লাই করলাম।
বন্ধু মেসেজ দিয়েছিল আমরা বাণিজ্য মেলা যাবো, যেহেতু সাথে গাড়ি আছে এজন্য আমি রাজি হলাম। বাসায় আর দুপুরের খাবার খেলাম না, বাহিরে রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয়েছিল, আর বাসার জন্য একটা পার্সেল নিয়েছিলাম পাস্তা। সে পাস্তা টাও খেয়ে ফেললাম এবং তাড়াতাড়ি বের হলাম কারণ তখনি বন্ধু গাড়ি বের করবে এমনটা বলল।
তিনটার সময় বাসায় এবং তিনটা দশের মধ্যে আমি বের হয়ে গেলাম, ৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা পৌঁছে গেলাম বাণিজ্য মেলায়, বাণিজ্য মেলায় এসেছি ঠিকি কিন্তু কখনোই আমার বাণিজ্য মেলা খুব একটা ভালো লাগেনি। এখানে ঢুকতেও টিকেট লাগে কিন্তু এখানে দেখার মত কিছুই নেই।
সবকিছুর প্রাইস অনেক বেশি আর এমনিতেও আমরা কেনাকাটা করতে যাইনি হাহাহা, মেয়েদের শপিং এর জন্য অনেক অনেক জিনিস রয়েছে। আমি শুধু খাবারের জিনিস কিনছি এবং খাচ্ছি, চটপটি ফুচকার ড্রিংকস ইত্যাদি আমাদের খাওয়া-দাওয়া চলছে।
আমি আগে মোমো এবং ওয়াফেল খাইনি, আজকে এ দুটো ট্রাই করলাম, আমি ভেবেছিলাম ওয়াফেল এটা খুবই মজার হবে। আজকে সারাদিনের খাবার মধ্যে সবথেকে ফালতু ছিল এটি, দেখতে খুবই সুন্দর কিন্তু এটা খেতে একদমই বাজে।
কেমন যেন তেলে ভাজান এবং তার উপর চকলেট, তেল আর চকলেট কম্বিনেশন কেমন হবে সেটা একবার কল্পনা করে দেখতে পারেন, খাওয়া দাওয়া করতে করতে বাণিজ্য মেলার পুরো হল এবং বাহিরে সব কিছু ঘোরাঘুরি করলাম।
অনেক কিছু রয়েছে এখানে তবে খুব একটা ফটোগ্রাফি করা হয়নি, ইচ্ছে ছিল এখানে রেডিমেড ঘর পাওয়া যায়, তো সেগুলোই দেখার চেষ্টা করেছিলাম। যদিও আমরা বিকেলবেলা গিয়েছিলাম জমজমাট হয়ে ওঠে রাতের বেলা।
আগে ঢাকার মধ্যে ছিল বেশ জমজমাট ছিল, এখন অনেকটা দূরে চলে গেছে এখন এত দূরে যাতায়াত ব্যবস্থাটা খুব একটা ভালো নয়। যাওয়ার সময় বাস পাওয়া গেলেও আশার সময় খুব ভোগান্তি করতে হবে। নিজস্ব যানবাহন থাকলে সেটা অন্য বিষয়।
তবে হ্যাঁ এদিকের বেশ কয়েকটা প্রকল্প রয়েছে এগুলো যখন বাস্তবায়ন হয়ে যাবে তখন এই অংশটাও অনেক বেশি জমজমাট হয়ে যাবে, যাইহোক বছরে একবার বাণিজ্য মেলা হয় ঘুরে আসা দরকার, আর কয়েকটা দিন বাকি তাই ঘুরে আসলাম।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বন্ধুদের সাথে বাণিজ্য মেলায় খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। বাণিজ্য মেলায় কোন কিছু কিনতে যাননি শুধু দেখতে গিয়েছেন। তবে খাবারের অনেক আইটেম কিনেছেন আসলে মেয়েদের জিনিসগুলো অনেক বেশি বাণিজ্যমেলার। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
আসলে যা দেখি তাই তো মেয়েদের জিনিসপত্র, আর এমনিতেও আমরা শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া আর দেখার জন্য যাই। মূলত ড্রাইভিং করাই আমাকে আসল টার্গেট।
এই দূরের কারনেই এখন আর আমার বানিজ্য মেলায় যাওয়ার ইচ্ছে হয়না।আপনি বন্ধুদের সাথে গেলেন আর ঘুরে ঘুরে দেখলেন আর খেয়েছেন।তবে ওয়াফেল গরম গরম খেতে হয়।বাচ্চাদের কাছে ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে গরন গরম চিকেন মোমো কিন্তু আমার বেশ পছন্দ। আশাকরি সময়টা সুন্দর কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে বানিজ্য মেলায় গিয়ে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমি জানিনা তবে ওয়াফের আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না। বাচ্চাদের কাছে হয়তো ভালো লাগতে পারে। তবে মোমো মোটামুটি ঠিক ছিল।
আসলে বন্ধুরা ছাড়া ঘোরাঘুরি করে কোন মজা নেই যেমন আপনার বন্ধুর জন্য বাণিজ্য মেলা ঘুরে আসলেন তবে পোস্ট পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম সারাদিন তো শুধু খাওয়ার উপরে ছিলেন হা হা হা। আর এর আগে নিউজে দেখেছিলাম আসতো বাড়ি বাণিজ্য মেলায় বিক্রি হচ্ছে সেটা আপনার প্রথম ছবিতে মনে হয় দেখতে পেলাম।
হ্যাঁ হঠাৎ করে খাওয়া-দাওয়া ঘুরাঘুরি, একদিনেই টাকা শেষ , হ্যাঁ দেখার মধ্যে ওই বাড়ি দেখার ইচ্ছে ছিলো।
অনেক বছর হয়ে গেল বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরি হয় না। আজকে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে যেভাবে বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরি করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত সেখানে উপভোগ করেছেন৷ চারপাশে ঘুরে ঘুরে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এবং অনেকগুলো খাবার খেয়েছেন যা দেখে অনেক ভালো লাগলো৷ আপনার কাছ থেকে সুন্দর পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷
সত্যি বলতে এখন আর আগের মত মজা নেই, ভিতরে ঢুকলেই মনে হয় শুধু শুধু টাকা নষ্ট। কারণ দেখার মত তেমন জিনিস খুব কমই থাকে।
আমরাও বানিজ্য মেলা যখন কাছে ছিল ভাইয়া তখন কয়েকবার গিয়েছি। কিন্তু এখন দূরে নিয়ে যাওয়াতে যাওয়া হয় না। আপনি ওখানে কোন কিছু কিনতে যাননি। কিন্তু বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছেন আর এই যে, বানিজ্য মেলায় ঘুরে অনেক কিছু উপভোগ করলেন আর এটাতেও কিন্তু মন মানুসিকতা ভালো থাকে। ঘুরে ঘুরে খাবার খেলেন। আর কিছু সুন্দর মূহূর্ত বন্ধুদের সাথে কাটালেন। তার সাথে বানিজ্য মেলার অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া বানিজ্য মেলায় ঘুরার সুন্দর কিছু মূহূর্ত ও বনর্না আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমরা শুধু খাবার কিনেছি আর পুরো জায়গাটা ঘুরে দেখেছি, কিছু নুডুলস কিনে আনা হয়েছে যেগুলো ফেসবুকে ইউটিউবে দেখেছি অতিরিক্ত ঝাল। এছাড়া যে দাম কেনা সামর্থ্য নেই 😁
বানিজ্য মেলা যখন কাছে ছিল তখন যাওয়া হতো এখন আর যাওয়া হয় না। আর তেমন ভালোও লাগে না। বানিজ্য মেলার মুল থিম থেকে অনেকটা সরে এসেছে মেলাটি। সাধারন জিনিস দিয়ে স্টলগুলো সাজানো। তাই আর যেতে ভালো লাগে না। আর এখন যাতায়ত ব্যবস্থাও সুবিধার না। তবে আপনি বন্ধুদের নিয়ে বেশ মজাই করেছেন। আর বন্ধুরা সাথে থাকলে এমনিতেইসব ভালো লাগে। বানিজ্য মেলায় ঘুরার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন একে তো যাতায়াত নেই, তার উপর দেখার মতো কিছু নেই। আস্তে আস্তে বাণিজ্যমেলার ঐতিহ্যটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
যখন ঢাকার মধ্যে ছিল তখন প্রতিবছরই যাওয়া হতো কিন্তু বর্তমানে ঐদিকে চলে যাওয়ায় যেতে পারিনা। তবে এটা ঠিক বলেছেন সেখানে জিনিসপত্রের অনেক দাম আর সেজন্য আমার মনে হয় মার্কেটেই কেনাকাটা করা বেশি ভালো। আমিও সেখান থেকে জিনিসপত্র তেমন কিনি না তবে ঘোরাঘুরি আর খাওয়া দাওয়া করতে খুব ভালো লাগে। ভেবেছিলাম একদিন যাবো কিন্তু আপনার কাছ থেকে যাতায়াত ব্যবস্থার কথা যা শুনলাম এখন আর যাওয়ার ইচ্ছে নেই। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।