সোনালী বিকেল || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৪শে জুলাই, রবিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।মাঝে মাঝে এই ব্যস্ত শহর বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাই বিকেল বেলা মাঝে মাঝে একটু দূরে কোথাও ঘুরে আসি। তেমনই একটি সোনালী বিকেল আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে
এই ব্যস্ত শহরে চার দেয়ালের মাঝে থাকতে অনেক সময় ভালো লাগেনা, প্রচন্ড গরম তাই বাহিরে তেমন একটা বের হয় না। শুয়ে বসে থাকলেও কেমন যেন একটা ক্লান্ত ফিল করি। সবসময় একটা ঘুম ঘুম ভাব শরীরে যেন অলস হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এই গরমে দুপুরবেলা যেন কোন কাজে মন বসে না। সাধারণত আমরা সন্ধ্যার দিকে আড্ডা দিতে বের হয়ে, আজকে কেন যেন ঘুম আসছে না তাই বিকেল বেলায় বের হয়ে গেলাম হাঁটার জন্য। কখনো কখনো নিজেকে একা সময় দিতে হয় কথায় আছে যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে, মাঝে মাঝে একা ঘুরতে বের হও প্রয়োজন।
সন্ধ্যার পরে হয়ত চায়ের দোকানে কিংবা মাঠে আমরা বসে আড্ডা দেই, কিন্তু সেই মাঠেও এখন বিশাল বড় বড় দালান কোঠা তৈরি হচ্ছে। আর খুব বেশিদিন নেই এখানে বসে আর আড্ডা দেয়া যাবে না, এমনিতেই আমি শব্দদূষণ পছন্দ করিনা, কিছুদিন পরে এখানে কাজ শুরু হবে তখন আমি এমনিতেও আসবোনা।
আজ মনে হল যেহেতু দুপুরে ঘুম আসেনি তাই বিকেল বেলা টা আমার পছন্দের একটা জায়গায় যাওয়া যায়, আমাদের এলাকায় শহর এবং গ্রাম দুটোর মাঝখানে একটা সেতুর মতো রয়েছে, কেন যেন আমার এই জায়গাটা বেশ ভালো লাগে। একদম মাঝখানের একটা জায়গা না এটা শহর না এটা গ্রাম।
এই ব্রিজের এক প্রান্তে রয়েছে শহর এবং অন্য প্রান্তে থেকে শুরু গ্রাম, একটা সময় এখানে অনেক পানি ছিল কিন্তু এখন খুবই কম পানি রয়েছে, এখানে সব সময় প্রবল বাতাস বয়ে, এখানে একটু শান্তিপূর্ণ জায়গা হওয়াতে প্রায় মানুষই বিকেলবেলা এখানে এসে বসে।
ওই যে দেখতে পাচ্ছেন ব্রিজের এক প্রান্তে রয়েছে বিশাল বড় বড় দালান কোঠা, ঠিক এই ব্রিজের অপর পাশে রয়েছে গ্রামের সৌন্দর্য, দিনদিন সেখানেও কেমন যেন কংক্রিটের মত দেয়াল তৈরি হয়ে যাচ্ছে, আধুনিকতার ছোঁয়া তে সেই জায়গা গুলো কেমন যেন অভিশপ্ত হয়ে গেছে। আগে এইখানটাতে আসলে মাটির সুগন্ধ, পানির শীতলতা বাতাসে বয়ে আনতে, এখন যেন শীতলাতার পাশাপাশি আবর্জনার দুর্গন্ধ যুক্ত হয়েছে।
এইযে দেখছেন এই ব্রিজটা, এখানে বসে অনায়াসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়া যায়, যদি এখন অটোরিক্সার যন্ত্রণায় স্বস্তি নেই, তবে যখন অতিরিক্ত রিকশা এবং অটো ছিলনা তখন বেশ নিরিবিলি জায়গাটি। শহরের ছোঁয়া যেন এখানে লেগেছে সবাই কেমন যেন ব্যস্ত হয়ে গেছে।
যখন কোন কিছু ভাল লাগেনা সবকিছু বিরক্ত লাগে, যখন কোন কিছু করার থাকে না কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ থাকে না, তখন হাঁটতে হাঁটতে এখানটাতে চলে আসি। শুধু যে আমি চলে আসি তাই নয়, আমার বাকি বন্ধুদের যখন মন খারাপ হয় কিংবা একটু একা থাকার প্রয়োজন হয় সবাই আমরা একই জায়গাতেই আছি। শহর অঞ্চলের মধ্যে এরকম একটা জায়গা রয়েছে এতেই মানুষ খুশি।
সারা বিকেল এখানটাতে বসে রয়েছিলাম হালকা-পাতলা নাস্তা ছিল সাথে, বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা হচ্ছিল তখন আকাশের রং অনেকটা সোনালী রঙের মতো হয়ে যাচ্ছিল। অনেকদিন পর খোলা আকাশ দেখতে ভালই লাগছিল। মনে হচ্ছিল আকাশ গুলোকে ক্যামেরাবন্দি করে ফেলে।
শহরের বুক চিরে যেন সোনালী মেঘগুলো উড়ে বেড়াচ্ছে খোলা আকাশে, এ যেন সোনালী রঙের মেলা। হঠাৎ করেই অনেক গাড়ি চলে আসলো, আগেই বলেছিলাম শহরের মতো এখানেও রূপ পরিবর্তন হচ্ছে, খুব কম সময়ের জন্যই এই ব্রিজটা ফাঁকা পাওয়া যায়। যখন অতিরিক্ত গাড়ি এবং অটো রিক্সা চলে আসে তখন এই জায়গাটা বিরক্তিকর জায়গাতে পরিণত হয়।
সন্ধের অন্ধকার যেন চারদিকে ঘনিয়ে আসছে, পাখিরা ফিরে যাচ্ছে তাদের নীড়ে, হঠাৎ করে ঠান্ডা পরিবেশ যেন ব্যস্ততার একটি রাস্তায় পরিণত হল। খুব একটা বেশি সময় নেই আমার এখান থেকে চলে যেতে হবে, গাড়ির হর্নের শব্দে যেন আমি বিরক্ত হচ্ছি।
একদম যখন অন্ধকার হয়ে গেল আমি আর বসে থাকলাম না ব্রিজ থেকে নেমে আসলাম, মাঝে মাঝে একা একা নিজেকে সময় দেয়ার প্রয়োজন বোধ করি, এই একলা সময়টা ভাবা যায় নিজেকে নিয়ে, নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা যায় নিজের জন্য ভাবা যায়। সবাইকে ভালো রাখতে গিয়ে নিজের জন্যই ভাবার সময় হয়না, তাই খুব বেশি প্রয়োজন নিজেকে সময় দেয়ার।
পোস্ট এর ধরন | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @sajjadsohan |
ডিভাইস | Xiaomi redmi Note 10 Pro Max |
লোকেশন | https://w3w.co/underline.solved.happy |
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনার শেয়ার করা সোনালী বিকেলের ফটোগ্রাফিগুলো তো চমৎকার হয়েছে। যা দেখে একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আর সাথে লেখাগুলো বেশ চমৎকারভাবে লিখেছেন। দুটো মিলে আপনার পোস্টটি একদম পরিপূর্ণ হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ফটোগ্রাফির পাশাপাশি আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য।
পাশে থেকে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
সোনালী বিকেল বা গোধূলি বিকেলের ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এ সময় আকাশটা একটু ভিন্ন রকম দেখায় যার কারণে ফটোগ্রাফি করার পরে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
ঠিকই বলেছেন এসময়ের ছবিগুলো একটু ব্যতিক্রম হয়ে থাকে যা সত্যি যে কারো মন ভালো করে দিতে পারে ,আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই সময়ের অগণিত ফটোগ্রাফি আমার কাছে রয়েছে মাঝেমাঝে আমি শেয়ার করি। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
ফটোগ্রাফিতে অনেক দিন বিরতি নিয়েছিলাম, তবে এখন আবার আপনাদের মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব, আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়ে থাকেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লাগে জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
সোনালী বিকেলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলেই ফটোগ্রাফি করতে দক্ষ হাতের প্রয়োজন হয় আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন যা দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
বেশ অনেকটা দিন পরেই ফটোগ্রাফি করলাম, খুব ভালো লাগলো আপনাদের উৎসাহ পেয়ে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে আসলপ শরীর এমনিতেই ঘুম ঘুম হয়ে থাকে। এ জন্য আসলে নিজের কাছে নিজেকে অলস অলস মনে হয়। আর অলসতা ও আসলে বেড়ে যায়। সব সময় মনে হয় যে শুয়ে বসে থাকি। তো এজন্য যদি একটু মাঝে মাঝে বিকেল বেলা ঘুরতে যাওয়া যায় তাহলে খুব ভালো হয়।
ঠিক বলেছেন ভাই কেমন যেন অলসতা এই বোধ করছি, কোন কিছু তেই যেন মন বসছে না, তাই একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসলাম ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সোনালী বিকেলের অপরূপ সৌন্দর্যময় মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো আমার ভালো লেগেছে। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে এই সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, দেখে ভালো লাগলো।
বেশ অনেকদিন পর এই ফটোগ্রাফি করা, আগে প্রায় সময়ই ফটোগ্রাফি করা হত কিন্তু এখন তা করা হয় না। খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।