এতিমখানার বাচ্চাদের সাথে কিছুটা সময়
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৫ই ফেব্রুয়ারি, সোমবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
এই এতিমখানা আমাদের পরিচিত বেশ কয়েক বছর আগে থেকে আমাদের এলাকায় অনেকগুলো এতিমখানা রয়েছে তবে সবথেকে খারাপ অবস্থায় এখানে, কেননা অন্য এতিমখানাগুলো দেখার জন্য কিছু মানুষ রয়েছে তবে এইখানে দেখার জন্য খুব একটা জনবল নেই। এতিমখানার আন্ডারে কয়েকটা দোকান রয়েছে এ দিয়েই তাদের যতটুক চলে।
আমরা পূর্বেও অনেক সময় ইফতারের টাইমে বিরিয়ানি প্রদান করেছিলাম বাচ্চাদের মধ্যে সেখান থেকে তাদের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আমি অনেকদিন ধরেই আমার বড় আপুকে বলছিলাম একটা মিলাদ পড়ানোর জন্য।
তিনি প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন এজন্য আমি তাকে বলেছিলাম কিছু গরিব মানুষকে খাওয়াতে এবং মিলাদ পড়াতে, আপু তাই করল কিন্তু সেটা আমাদের এলাকায়। তিনি আমাদের উপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন মিলাদ পড়াতে।
যেহেতু আপু একা মানুষ ওইখানে মিলাদ পড়ানোর মতো কেউ নেই, যাই হোক এই পুরো জিনিসটা সম্ভব হয়েছে আমার এক বন্ধুর জন্য। আপু জানেন আমি একটু ব্যস্ত থাকি তাই এতিমখানায় যাওয়া কথা বলা এবং বাজারের সব দায়িত্ব আমার বন্ধুকে দেয়।
আমার বন্ধু এবং ওই এতিমখানার একজন শিক্ষক তারা সবাই মিলে শুক্রবার রাতে বাজার সদাই করে, শনিবার দুপুর বেলা আমি এবং আমার বন্ধু সহ এতিমখানা দুইজন শিক্ষক ও যতগুলো এতিম বাচ্চা রয়েছে একত্রে আমরা দুপুরের খাবার খাব।
আনুমানিক এতিম বাচ্চাদের সংখ্যা ছিল ২৮ দুজন শিক্ষক এবং আমরা দুজন বাবুর্চি বেশ সুন্দর করে খিচুড়ি রান্না করলেন, আমি খুব একটা কাজ করি নিয এখানে আমার বন্ধু সবকিছু কমপ্লিট করে ফেলেছে আমি আসার আগে।
আমি যখন এতিমখানায় গিয়ে পৌছালাম তখন অলরেডি দেখলাম অনেক কাজ শেষ হয়ে গেছে, আমার বন্ধু হয়ে তিন বাচ্চাদের সাথে বেশ মজা করছে, অনেক বাচ্চারাই তেলাওয়াত করে শোনাচ্ছে।
সবার তেলোয়াত শেষ হলে যে কয়েকজন বাচ্চা তেলাওয়াত করেছিল তাদের সাথে একটা সেলফি তুললাম, কিছুক্ষণ পরেই আযান দিয়ে দেয়। সব বাচ্চাদের সাথে আমরা যোহরের নামাজ আদায় করলাম, তোমার মধ্যেই দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হলো।
আমার বন্ধু খুব ইচ্ছা সে সবাইকে খাবার পরিবেশন করে দিবে, যেহেতু বাচ্চারা কতটুক খায় আমাদের ধারণা নেই তাই আমার বন্ধু অল্প কিছু পরিমাণ পরিবেশন করলো, আমি ওখানে একটা সালাত এবং অন্যান্য জিনিস পরিবেশন করলাম।
তারপর আমরাও বাচ্চাদের সাথে বসে খাওয়া দাওয়া করলাম, খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবার জন্য মিষ্টি এবং দই ছিল, শেষের দিকে বুঝতে পারলাম হুজুরদের জন্য কিছু পরিমাণ মিষ্টি কম হচ্ছিল অল্পসংখ্যক, আমি আর আমার বন্ধু আবার বাজারে চলে আসলাম আরো এক কেজি মিষ্টি কিনলাম, যে কয়েকটি মিষ্টি বেশি হয়ে গেছে হুজুরকে বললাম এগুলো রেখে দিন বাচ্চারা খেতে চাইলে তাদেরকে আবার দিয়ে দিয়েন।
বাসায় আসার পর অদ্ভুত ভাবে খেয়াল করলাম, বাচ্চারা যেখানে ঘুমায় অর্থাৎ আমরা আজকে যেখানে খাওয়া-দাওয়া করেছি এখানে দাঁড়িয়ে যতগুলো ছবি তুলেছি বেশিরভাগ ছবি নষ্ট হয়ে গেছে অদ্ভুত ভাবে। বেশিরভাগ ছবি নষ্ট হয়ে গেছে কিংবা সবার চেহারা ঝাপসা হয়ে গেছে, অল্পসংখ্যক ছবি ভালো রয়েছে।
কখনো আমার ফোনে এরকম হয়নি, এটা ফোনের সমস্যা ছিল কিংবা অন্য কিছু জানিনা, তো এই প্রথম আমার ক্লিক করার কোন ছবি অদ্ভুতভাবে নষ্ট হয়ে গেল।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এতিমখানায় বাচ্চাদের নিয়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন শনিবার দিন।বাচ্চা মোট ২৮ জন ছিল।সবাইকে নিয়ে সুন্দর ভাবে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করলেন। খাওয়ার শেষে মিষ্টি, দই ও ছিল।আবার মিষ্টি কম পরাতে বন্ধুকে নিয়ে আনতে গেলেন।বড় আপুর জন্য এই কাজটি ভীষণ ভালো হলো।ইনশা আল্লাহ তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন।আর এ ধরনের কাজ শেষে মনে কিছুটা হলেও তৃপ্তি আসে।আপনার মনটাও ভালো হয়েছে আশাকরি।
হ্যাঁ দিনশেষে ওই সময়টুকু বেশ ভালই লেগেছে, ব্যস্ততম দিন এবং বিরক্তকর সময়ের মধ্যে বাচ্চাদের সাথে খুব চমৎকার একটা সময় কেটেছে। আপনি অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপনাদের এলাকায় অনেকগুলি তিনখানা রয়েছে। সেখান থেকে এই এতিমখানার অবস্থা বেশি খারাপ আর এতিমখানাতে আপনারা খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে এতিম বাচ্চাদের নিয়ে এত আনন্দময় একটি দিন উপহার দেওয়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের এখানে অনেক বেশ কয়েকটি বড় বড় তিনখানা রয়েছে, এবং এলাকার নেতারা আসলে বড় বড় এতিমখানাতেই অনেক কিছু দান করে। সত্যিকার অর্থে ছোট ছোট যেই এতিমখানা রয়েছে সেখানে কোন সাহায্য পৌঁছায় না তাই আমরা সেখানেই যাওয়ার চেষ্টা করেছি।
ভাইয়া আজ আপনার এতিমখানায় বাচ্চাদের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর পোস্ট টা দেখে অনেক খুশি হলাম। আসলে ভাইয়া এমনও অনেক এতিমখানা আছে। যেগুলোতে মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা অনেক প্রয়োজন। আর সে সকল এতিমখানা হয়তো অনেকের অচেনা বা অজানা। আর তাই সে সকল এতিমখানাতে মানুষের সাহায্য পৌঁছাতে পারে না। এটা কোথায় এতিমখানা ভাইয়া।আপনার আপু সবসময় অসুস্থ থাকে। আর সেই উদ্দেশ্যে এতিমখানায় একটি মিলাদ ও তাদের কিছু খাওয়ালেন। দোয়া করি আল্লাহ পাক যেন আপনার আপুকে সবসময় সুস্থ রাখে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
বড় বড় এতিমখানার অনেক বড় বড় ডিমান্ড, কিন্তু ছোট ছোট এতিমখানা গুলো যারা রয়েছে তাদের সত্যিই সাহায্যের প্রয়োজন, আমরা যে কোন প্রোগ্রাম চেষ্টা করি ছোট ছোট এতিমখানা গুলোতে করার জন্য কারণ আমাদের সামর্থ্য ও কমই থাকে।
প্রথমেই আপনার জন্য মন থেকে দোয়া রইল এই এতিম বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য। উপর ওয়ালা আপনাদের নেক ইচ্ছা কবুল করুন। সত্যি আপনার পোস্ট পড়ে ভেতর থেকে কেমন যেন শান্তি লাগছিলো, সেটা বলে বোঝাতে পারবো না।
এই ব্যাপারটা ভুলে যান, হয়তো উপর ওয়ালা চায়নি ঐ ছবিগুলো পোস্ট করেন। যাইহোক আপনি ভবিষ্যতে এধরনের কাজগুলো জারি রাখুন এই কামনা করছি।
আপনি ঠিক বলেছেন এজন্যই হয়তো ছবিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পরামর্শ দেয়ার জন্য, আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
নিঃসন্দেহে একটি ভাল কাজ করেছেন আর এক্ষেত্রে আপনার বন্ধু বড় দায়িত্ব পালন করেছেন। যেহেতু আপনি ব্যস্ত থাকেন তাই আপু আপনার বন্ধুকে দিয়ে সেই কাজগুলো করে নিয়েছে। বাচ্চাদের খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের সাথে দারুন সময় পার করেছেন আর সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
হ্যাঁ এই বিষয়টা আমার বন্ধু করাতে আমার অনেক সুবিধা হয়েছে, আমি জাস্ট সময় গিয়ে সব কিছু দেখে আবার চলে আসতে পেরেছি।
খুব ভালো একটি কাজ করেছেন আপনি। আপনার এই কাজটি দেখে আমি খুব আনন্দিত হয়েছি। আপনার আপু অসুস্থ থাকায় মিলাদ পড়ে এতিম বাচ্চাদেরকে খাওয়ার খাওয়ানোর মুহূর্ত দেখে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। দোয়া করি যাতে এর এতিম বাচ্চাদেরকে খাওয়ানোর উসিলায় আল্লাহ পাক আপনার বোনকে সুস্থ করে দেয়। আপনার সময় কম থাকার কারণে আপনার বন্ধু সব কিছুতে হেল্প করেছে। ধন্যবাদ এতিম বাচ্চাদের সাথে এভাবে সময় কাটানোর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি দোয়া করবেন আমার জন্য এবং আমার আপুর জন্য, আশা করি সকলের দোয়ায় তিনি সুস্থ থাকবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।