আ _{^{মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।আমার দেখা চমৎকার একটা ওয়েব সিরিজ আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব আশা করি ভালো লাগবে।}}

📋 কিছু তথ্য

গ্যাং অফ ওয়াসিপুর, এই মুভিটা যদি তৈরি না হতো ফেসবুক ফানি ভিডিও অনেক ক্লিপস তৈরি হতো না, আমার দেখা ফেসবুকে মেমস কিংবা ফানি ক্লিপ হিসেবে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে যে ভিডিওগুলো সেটা এই মুভি থেকেই নেয়া হয়েছে, বলা যাবে এখানে বেশ মসলাদার অনেক কনটেন্ট রয়েছে।

মেমস ভিডিও দেখেই মূলত আমার এত আগের একটা মুভি দেখতে খুবই ইচ্ছে হলো, ঘটনাটা বেশ অনেক আগের, এই মুভির হিরো কে সেটা বোঝা অনেক কঠিন কেননা এই মুভি থেকে যে কয়েকজন বের হয়েছে তারা প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা একজন স্টার। এই মুভির মধ্যে সবচেয়ে যে জিনিসটা ভালো লেগেছে মনোজ বাজপেয়ী, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, রাজকুমার রাও এই মুভির মাধ্যমে এতগুলো নতুন ক্যারেক্টার যারা পপুলার হতে শুরু করে।

এই মুভিতে এতগুলো হিরো ছিল কিন্তু তারা খানিকটা বোকা ছিল যতটা বুদ্ধি ছিল এই মুভির ভিলেনের তার থেকে হিররা খানিকটা কম, কেননা শুধুমাত্র একজন ভিলেন কে মারার জন্য প্রায় তিন প্রজন্ম চলে এসেছিল, অনেকগুলো ছোট ছোট দল তৈরি হয় তারপর ভিলেনের মৃত্যু।

ঘটনার শুরু ১৯৪১ সাল থেকে তখন ওয়াসিপুরের কুরাইশী এবং পাঠানদের মধ্যে একটা ঝামেলা থেকে শুরু হয় এত যুদ্ধ, কুরাইশী বা সুলতানরা ঐ সময় ছিল ডাকাত তাদের নাম ব্যবহার করে পাঠানরা নিজেরাও ডাকাতি করা শুরু করে।

স্বাভাবিকভাবেই সুলতানরা এটা মেনে নেয়নি, সুযোগ বুঝে তারা দূরে চলে গেলেও তাদের বংশের একজনকে মেরে ফেলা হয়, এবং তার দুজন ছেলে ছিল তাদের মধ্যে একজন সরদার খান তিনি বড় হয়ে অনেক বড় একটা গুন্ডা হয়।

তার মৃত্যুর পর তার ছিল পাঁচ সন্তান এবং দুজনের স্ত্রী, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই এবং পরবর্তীতে মেজ ভাই নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ওরফে ফেজাল খান তার বাবা ভাইয়ের মৃত্যুর বদলা নেয়ার জন্য সেও অনেক চেষ্টা করেছিল।

ফেজাল খান তিনি কোন ঝামেলা যায়নি কিন্তু পরিবারের বদলা নেয়ার জন্য সেও একজন ছোটখাটো ডন হয়ে যায়, এদিকে পাঠান এবং কুরাইশে তারা ছোট ছোট দল হয়ে যায় নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ হয়, কিন্তু মেইন ভিলেন রামাদির সিং যেখানে প্রথমে কয়লার থেকে দাবি করত আস্তে আস্তে সে রাজনীতিতে চলে আসে এবং সবকিছু কন্ট্রোল করে।

যার মাধ্যমে এই প্রথম এই ঝামেলাটা শুরু হয় সে সব কিছুর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, এটা একটা সময় এই ছোট ছোট দলগুলো যখন নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় তৈরি করে, তিনি তার রাজনৈতিক ক্ষমতা দিয়ে যখনই একপক্ষকে সাপোর্ট করতে যায় তখনই ঝামেলার সৃষ্টি।

এতকিছুর পরেও সর্দার খান যখন মারা যায় যে রামাদির সিং কে ক্ষতি করতে পারেনি, নিজে এত পাওয়ারফুল হয়েও যখন পেট্রোল পাম্পে তাকে দিন নিয়ে দুপুরে অপর গ্যাং এসে অনবরত গুলি করে হত্যা করে এবং তার প্রতিশোধ নেয়া হয়নি, এমন একটা অংশে এসে মুভিটা শেষ হয়ে যায় এবং মুভির বাকি অংশ পরবর্তী দ্বিতীয় অংশে দেখানো হয়।

মুভি ট্রেলের ভিডিওটাই অসাধারণ আপনার মুভিটা দেখার আগ্রহ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেবে।

_{আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।}

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---