বিকাশ থেকে নাহিদ বলছি 🙄
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
১৯ আগস্ট, শনিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
শুধুমাত্র যে বিকাশ থেকেই নাহিদ ফোন দেয় তা কিন্তু নয় ক্ষেত্রবিশেষে নগদ থেকেও নাহিদরা ফোন দিতে পারে। তেমনি একটা ঘটনা ঘটেছে যেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব, যদিও টাইটেলে লেখা হয়েছে বিকাশ তবে আজকের ঘটনাটা নগদ নিয়ে।
আমার নানা মোবাইলের তেমন কিছু বোঝেনা এবং একাউন্টের ঝামেলাগুলো তিনি তেমন একটা বোঝেন না, অর্থাৎ শুধুমাত্র ফোন করা এবং ফোন রিসিভ করাই যায় প্রধান উদ্দেশ্য মোবাইল চালানোর। কিন্তু এর পরেও তার মোবাইলে বিকাশ নগদ রকেট ইত্যাদি রয়েছে যদিও এটা ফিচার ফোন।
এ বিষয়গুলো বুঝুক কিংবা না বুঝুক লেনদেন সবসময় নিজের একাউন্টে করবেন। বেশি অনেক বছর ধরেই ব্যবহার করছেন আমি তাকেকে অনেকবার সতর্ক করে দিয়েছি কখনো কাউকে পিন নাম্বার দিতে যাবেন না।
যেহেতু মোবাইল সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই তাই পরিচিত দোকান থেকেই সব সময় টাকা ক্যাশ আউট করেন পিন নাম্বার তাদেরকে বলেন তারা টাকাটা উত্তোলন করে দেয়, সমস্যাটা হলো জনসাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটা বয়স্ক ভাতা তিনি পেয়ে থাকেন যেখান থেকে ফোন করেছেন সে পরিচয় দিয়েছে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ফোন করা হয়েছে, নগদ নাম্বার পরিবর্তন করতে হবে। নতুন কোন নাম্বার থাকলে সেটাই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
যেহেতু সরকারি অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়েছে এবং নামটা ঠিকঠাক বলতে পেরেছে, এমনকি প্রতি মাসে কয় টাকা করে পায় এটাও সে বলেছে কালকে টাকা আসবে এই তথ্য তার কাছে রয়েছে, নানা সরল মনে তাকে পিন নাম্বারটা দিয়ে দিয়েছে, সেই সাথে যত ধরনের ভেরিফিকেশন কোড ছিল তাও প্রদান করা শেষ।
বিপত্তিটা তখন হলো যখন বলা হল নতুন কোন নাম্বারটা সেভ করতে চান, নানা তখন আমার শরণাপন্ন হল ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম যে লোক সরকারি অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে কথা বলছেন এইটা একটা কুয়েত ফোন নাম্বার, বুঝতে আর বাকি রইল না ব্রিলিয়ান্ট সফটওয়্যার দিয়ে কল করা হয়েছে। আমার ভেরিফিকেশন কোড ইত্যাদি যখন চাইলো তখন আমি তাকে বললাম আমার টাকার প্রয়োজন নেই, যে সমস্যা হয়েছে আমি অফিস থেকে ঠিক করে নেব আমি আপনার অফিসেই আসবো, আমাকে একটু তাড়া দেয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু আমি তাকে সাহায্য জানিয়ে দিলাম আমি আপনার অফিসে এসেই সকল ঝামেলা সমাধান করে যাব।
ফোনটা রেখে দেয়ার পর নানাকে বললাম এটা বাটপারি ছিল, তখন জানতে পারলাম অলরেডি আমার নানা তার অ্যাকাউন্ট এর সকল তথ্য ওই মানুষকে দিয়ে ফেলেছে, এক অ্যাকাউন্ট এর তথ্য পাওয়ার পর ওই লোক আরো একটা একাউন্টের তথ্য চাইছিল, কিন্তু অলরেডি একটা অ্যাকাউন্ট আমরা হারিয়ে ফেললাম।
যখন নানাকে সবকিছু খুলে বললাম আজ সারাদিন এই নিয়েই বাসার মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছে, যেহেতু ঘটনাটা বিকেলের আমরা হেল্পলাইনে কল করেও কিছু করতে পারবো না তাই পরবর্তী দিন হেল্পলাইনে কল করতে হবে কিংবা তাদের অফিসে যেতে হবে।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে সরকারি অফিসারদের মধ্যেই কিংবা তাদের থেকে তথ্য পেয়েই এ মানুষেরা টাকাগুলো মেরে দেয়ার চিন্তা করছেন, অনেকেই এগুলো সম্পর্কে বোঝেনা তারা অবশ্যই তাদের একাউন্ট হারিয়েছে।
আমি যতটুকু জানি আগামীকাল কিংবা তার পরের দিন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ আরো অনেক ধরনের সরকারি অনুদান প্রদান করা সময়। মানুষ কতটা বিবেকহীন হলে এই মানুষগুলোর টাকা মেরে দেয়, এই তালিকায় এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের এই টাকাটা খুবই প্রয়োজন, কিন্তু যারা ফ্রড তাদের বোধহয় মনুষত্ববোধ নেই, হয়তো আজকেও নগদ থেকে নাহিদ অনেককেই ফোন করেছে, না বুঝে অনেক সহজ সরল মানুষ তাদেরকে তথ্য দিয়েছেন।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এমন ঘটনা সচরাচর সব জায়গাতেই হচ্ছে।আসলেই খুবই দুঃখজনক। এদেশের মানুষ সত্যি ই মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছে।নয়ত সবকিছু নিয়ে এদের এই কর্মকান্ড কেন চলবে।এর পেছনে বড় কোন শক্তিশালী চক্র আছে ঠিকই।
যদিও কোন ক্ষতি করতে পারেনি, কিন্তু আমি ভাবছি যে মানুষগুলো এতটা আধুনিক নয় এই মানুষগুলো হাজার হাজার টাকা লোকসান হয়ে যাবে, তারা মূলত গরিব মানুষদেরকেই টার্গেট করে যারা মোবাইল ফোন সম্পর্কে এতটা ধারণা রাখেনা।
বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে কিছু অসাধু চক্র প্রায়ই অনেক নিরীহ লোকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলা হলেও, তাদের প্রলোভনে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এসব প্রতারকদের মধ্যে মনুষ্যত্ব বলতে কিছুই নেই। তারা যেভাবেই হোক টাকা ইনকাম করতে পারলেই খুশি। যাইহোক এমন সতর্কতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যত দিন যাচ্ছে মানুষের মধ্যে মনুষত্ব করতেই কমে যাচ্ছে, মানুষ শুধু ইনকাম করতে চায় কিন্তু কিভাবে তার ইনকাম হচ্ছে সে দিকটা খুব একটা ভেবে দেখে না, ঠিক বলেছেন মানুষের এখন বিবেক বলতে কিছু নেই।
আপনার পোস্টের টাইটেল টা অনেক মজার কিন্তু ভেতরের গল্পটা অনেকটাই দুঃখজনক কেননা একজন মানুষকে ঠকিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নেওয়া সেটা আসলে কতটা বিবেকহীন কাজ আমি বলে বোঝাতে পারবো না। আপনার নানা বয়স্ক মানুষ বলে এই বিষয়ে এতটা বুঝতে পারেনি বলে সব তথ্য দিয়ে দিয়েছে।
যদিও আমি তাকে পূর্বে সতর্ক করেছিলাম, কিন্তু জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ফোন করেছে এবং নামসহ ডিটেলস বলে দিচ্ছে এ কারণে মূলত সে বিশ্বাস করেছিল।
বিকাশ কিংবা নগদ যাই হোক না কেন এই ধরনের বাটপারি এখন প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে বয়স্ক অথবা গ্রামের সাধারণ মানুষেরা এই ধরনের বাটপারিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাগ্য ভাল ছিল যে আপনার নানা আপনার শরণাপন্ন হয়েছিল না হলে তো অনেক বড় বিপদ হয়ে যেতো।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন যেই মানুষরা এই বিষয়গুলো কম বুঝে এই মানুষদেরকে টার্গেট করা হয়, গ্রামের অসহায় মানুষ কিংবা বৃদ্ধ এদের মৃত্যুর পর যে কি হবে সৃষ্টি করতে ভালো জানে।
আসলে ভাই আমাদের দেশে এখন বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে প্রতারণা করার বড় একটি ফাঁদ পেতেছে কিছু অসাধু লোক। আসলে আমাদের দেশের কিছু মানুষের কাছে তারা খুব সহজেই তাদের ফাঁদ বিলিয়ে দিচ্ছে কিন্তু তারা না বুঝেই ভুল করে ফেলছে। আসলে তারা মানুষের কাছ থেকে অনেক চেষ্টা করে তাদেরকে বড় কিছুর আশা দিয়ে ভুলিয়ে-ভালিয়ে কিছু টাকা ইনকাম করছে এটা কিন্তু একজন ভালো মানুষের কাম্য নয়। এই বিকাশ চক্রদের ফাঁদে আমার বাবাও একবার পা দিয়েছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগলো এই তথ্যগুলো তো একটা সরকারি অফিস থেকেই বের হয়েছে, অর্থাৎ শিক্ষিত মানুষরাই এই কাজের সাথে জড়িত ছিল।