বিদ্যুৎবিহীন একটি শহর
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৪ঠা অক্টোবর, মঙ্গলবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।এই ব্যস্ত শহরে বিদ্যুৎ ছাড়া একটি মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। যেখানে পুরো দেশটি বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল, বিদ্যুৎ ছাড়া একটি দিন কিভাবে কাটল তারে অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব, তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য কিছু মজার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এখন যুগটাই হচ্ছে অনলাইনের হাতের মুঠোয় রয়েছে মোবাইল কম্পিউটার। সারা দিন-রাত এটির নিয়েই আমরা বেশি ব্যস্ত থাকে। সারা রাত মোবাইল ব্যবহার করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম, ভাগ্য ভালো ঘুমানোর আগে কিছু এসাইনমেন্ট শেষ করেছিলাম যেগুলো কম্পিউটার দ্বারা তৈরি করা দরকার। তারপর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মোবাইল নিয়ে শুয়ে ছিলাম। সারারাত এবং সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যাকআপ দেয়ার পর আমার মোবাইলে চার্জ ছিল মাত্র ৫% চার্জ ছিল, দুপুর দুইটায় মাত্র মোবাইল ফোনটি চার্জে লাগাবো এমন সময় লোডশেডিং। বাসায় কিছু সময় থাকার পর যেহেতু আমার ক্লাস হয়েছে আমি চলে গেলাম ক্লাস করার জন্য, সাথে চার্জার টা নিয়ে নিলাম আর না হলে সারা দিন চলা মুশকিল।
আমাদের ল্যাবে জেনারেটর আছে, দেখলাম সবার ফোনে চার্জ নেই, আমি ও চার্জ দিতে থাকলাম। আজ সব কম্পিউটার অফ থাকবে, আমাদের দেয়া হলো, খাতা কলম , আর্ট করার জন্য। আমি স্যার কে বলাম, আমাদের হাতের আর্ট তেমন ভালো না, স্যার বললো, হাতের আর্ট ও ভালো করতে হবে। কিছু ডিজাইন হাতে করতে হবে, পরে কম্পিউটারে।
আমাদের মিকিমাউস তৈরি করতে দেয়া হলো। আজ থেকে প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে লাস্ট ড্রইং করেছিলাম খাতা-কলমে। এরপর থেকে খুব একটা সময় হয়ে উঠেনি, আজ এত বছর পর আবার ড্রইং করছি পেন্সিল ধরতেই হাত কাঁপছিল। দিব্যি মাউস ঘুরিয়ে ড্রইং করতে পারি পেন্সিল দিয়ে কেন যেন দাগদিতে পারছিলাম না।
তবুও আস্তে আস্তে একটি একটি অংশ তৈরি করতে করতে কাল্পনিক ভাবেই একটি মিকি মাউস এর চিত্র কল্পনা করেছিলাম, দেখলাম ১০ মিনিটের মধ্যে বেশ ভালো একটি চিত্র অঙ্কন করতে পেরেছি। খুব একটা সুন্দর না হলেও এত বছর পর আমি ড্রইং করলাম নিজের কাছেই ভালো লাগছে।
আমি যেখানেই যাই সেখানেই বেশ বন্ধুবান্ধব জমিয়ে ফেলি, দেখা যায় যেখানে একজন দুজন করে বসে আমার সাথে চার-পাঁচজন বসার জন্য হইচই লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি আমি বিরক্ত বোধ না করে বেশি ইনজয় করি। দু একটি গ্রুপ বিরক্ত হলেও আমি বাকি মানুষদের না করি না কারণ তারা আমাকে ভালোবেসে আমার পাশে বসার চেষ্টা করে।
স্যার আরো একটি অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছিল সেখানে বসে করার জন্য, আমাদের ধৈর্য হচ্ছিল না। তারপর আমরা সারকে রিকোয়েস্ট করলাম তিনি আমাদেরকে এটি বাসায় করার জন্য বললেন।
আমাদের পরীক্ষার রেজাল্ট আসলো মাত্র ৫ নাম্বার বেশি পেয়ে আমি ক্লাসে ফার্স্ট হয়েছি ফটোশপে পরীক্ষায়। স্যার অভিনন্দন জানালেন এদিক থেকে পুরো ক্লাস আমার কাছে ট্রিট নেয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগলো
যেহেতু বিদ্যুৎ নেই পুরো ঢাকা শহর টায় অন্ধকার, আমাদের তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে গেল আমি সবাইকে বললাম নিচে এসে দাঁড়াতে কিন্তু তারপর দেখলাম অন্ধকারে সবাই হারিয়ে গেল। যাই হোক তাতে আমার কি আমার টাকা বেঁচে যাবে। একজনকে ফোন করলাম নেটওয়ার্ক প্রবলেমের কারণে ফোন ঢুকলোনা আমি আরো বেঁচে গেলাম 😁😂।
আমরা মোট চারজন ছিলাম আমরা একসাথে চা খেলাম আড্ডা দিলাম, ভেলপুরি খেলাম, টুকটাক আরো অনেক কিছু খাওয়া হলো এবং বেশ ভালো একটি সময় কাটলো।
এদিকে যারা আসেনি তারা মিস করে গেলো, গ্রুপে সবাই বেশ হইচই করছে, অথচ আমি সবাইকেই বলেছিলাম আসার জন্য সবাই আসতে দেরি করেছিল এতে আমার কিছু করার ছিল না।
আজ এ পর্যন্তই, পরবর্তী অভিজ্ঞতাগুলো অন্য পোস্টে জানানো হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
আহারে কি হিরো,সবাই বসার জনয় হইচই লাগিয়ে দেয়😉😉।যাই হোক আমাদের টিট্র কই?.।কাল সারারাত কারেন্ট ছিলো না এমনকি এখন অব্দি আসেনি।কি যে একটা বাজে অবস্থা। ৫ নম্বরই কম কিসে।শুভ কামনা আপনার জন্য।ধন্যবাদ
হিরোগিরি নয় আপু, বোরিং ক্লাসটা আমি বেশ মাতিয়ে তুলি দুষ্টুমি করে। দুষ্টুমি করলেও ক্লাসগুলো আমি বেশ ভালো করে বুঝতে পারি, ক্লাসের অন্য কেউ না বুঝলে তাকে আমি সাহায্য করার চেষ্টা করি এর জন্য সবাই একটু আমাকে ভালোবাসেন।
আমি জানি আপনি যে দুষ্টর সেরামনি
আসলে গতকালের বিদ্যুৎ বিভ্রান্তির জন্য অনেকের পায় খুব কষ্ট হয়েছে। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট এবং পাঁচ নাম্বার বেশি পেয়েছেন জেনে খুবই আনন্দিত হলাম। আমাদেরও কিন্তু ট্রিট দিতে হবে। সবাই মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমি ভাবি নি আমি ফার্স্ট হবো কারণ আমার থেকে একটিভ আরো একজন ছিল, কিন্তু সব মিলিয়ে ভালো কিছু হল, ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই কাল সবাই বুজতে পেরেছে বিদ্যুৎ এর কি মুল্য। কি একটা অবস্থা তৈরি হয়েছিলো। যাক এর মধ্যেও ক্লাসে যেয়ে এসাইনমেন্ট এ প্রথম হওয়া তারপর বন্ধুদের ট্রিট দেওয়া। ভালো একটি দিন পার করেছো বন্ধু।
এসাইনমেন্ট না বন্ধু, এডোবি ফটোশপ পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়েছিল। এটা তো আমাদেরকে বলল ডিজাইন শিখতে হলে হাতে ড্রয়িং করার প্রয়োজন রয়েছে তাই আমাদেরকে করতে দিয়েছে এখানে পঞ্চম হয়েছি।
ওহ আমি ভাবছি এসাইনমেন্ট হিসেবেই পরীক্ষা নিয়েছিলো।
অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে যেটি সেখানে ড্রইং করতে হয়েছিল, সেখানে আমি সাত পেয়েছিলাম, শুধুমাত্র মেয়েগুলো 10-10 পেয়েছে 🥴
মাইয়ারা এক এক টা বিল্ডিং স্টুডেন্ট। ওরা না পারলে কারা পারবে?
একটি রাতি তো মাত্র আপনাদের বিদুৎ ছিলনা আর আমাদের জেলা শহর গুলোতে তো বিদ্যুৎ থাকে না তাই প্রায় সময়ই ।
ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ না থাকাটা অনেক বড় একটি বিষয়, একটানা এত ঘন্টা কোন কারণ ছাড়া বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে না। কারণ এখানে অফিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছুই নির্ভর করে এই বিদ্যুৎ এর উপর।
সামান্য একদিন এইরকম ভাইয়া। আমাদের গ্রামে তো একবার যদি যায় তাহলে আসার কোন নামেই নেই। তাছাড়া যেখানে যান সেখানে সবার সাথে মিশিয়ে ভালো বন্ধুবান্ধব তৈরি করা অনেকটাই ভালো। আর আপনি সেই বন্ধুদের সাথে সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি অনেক সুন্দর ভাবে কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
গ্রামের তো প্রায় সময় কারেন্ট থাকে না এটা স্বাভাবিক, কিন্তু ঢাকা শহরে একটানা এত ঘন্টা কারেন্ট বন্ধ থাকে না বিনা কারণে। গ্রামের পরিবেশটা অন্যরকম সেখানে মানুষ চাইলেই গাছের নিচে বসতে পারে খোলা মাঠে যেতে পারে। কিন্তু শহরাঞ্চলে গাছ কিংবা মাঠ কোনটি নেই।