ইফতার বিতরণ
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২১শে মার্চ, বৃহস্পতিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
প্রতিবছরের মত এবারও আমরা আমাদের এলাকায় বন্ধুদের সাথে ইফতার বিতরণের প্রোগ্রামটি সফলভাবে করতে পেরেছি, যদিও বর্তমান সময়ে আমাদের অধিকাংশ বন্ধু-বান্ধব চাকরি করছে, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে এরকম একজন ব্যবসা করছে, কেউ প্র্যাকটিস করছে, আমি ঢাকার বাইরে থাকছি এভাবে আমাদের ইমপর্টেন্ট কিছু মানুষরাই ব্যস্ত হয়ে গেছে।
তারপরও আলহামদুলিল্লাহ আমরা আজকে বৃহস্পতিবার সবকিছু ম্যানেজ করে সবাই একত্রিত হলাম, আমি তিন দিন আগেই ঢাকাতে এসেছি নিজের কিছু ব্যক্তিগত কাজ ছিল, সময় হলে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। মোটামুটি আজকে দুপুরবেলা আমি ফ্রি হয়েছি কিন্তু এর পূর্বেও অনেক কাজে রয়েছিল আজকের জন্য, যাইহোক নিজে না থেকেও কিছু মানুষ দেখতে পালন করেছে যার ফল আজকে এটা সফল হয়েছে।
দুপুর নাগাত ফ্রি হলে আমি যখন আমাদেরকে কমিউনিটি সেন্টারে আসলাম তখন মোটামুটি সব কিছু শেষ চুলায় মাংস বসানো হয়েছে। এলাকার আরো অনেক মানুষ রয়েছে এখানে মূলত একই সঙ্গে দুইটা ইফতারের প্রোগ্রাম চলছে। বসুন্ধরা গ্রুপ বেশ ভালো একটা পরিমাণ ইফতার বিতরণ করে, তার মাঝখানে আমাদের আড়াইশো জনের ইফতার খুবই ছোট মনে হচ্ছে।
যাইহোক যার যেমন সামর্থ্য তিনি একটা গ্রুপের মালিক তার ইফতার বিতরণের জন্য বেশ কয়েকটি গাড়ি আসলো এবং এলাকার পাতি নেতারা এটা দেখাশোনা করে সেই নেতাদের তালিকায় আমার স্কুল জীবনের অনেক বন্ধুদের দেখলাম। তাদের সাথে যখন বসলাম রাজনৈতিক আলাপে বুঝতে পারলাম আমি এই জগতের মানুষ নই, কেননা আমার বন্ধুরা রাজনৈতিক এত বড় বড় পদে রয়েছে আমার ধারণা ছিল না।
বুঝতে পারলাম এই রাজনৈতিক আলাপের মাঝখানে আমার খুব ভালো লাগবে না, তাই আমি আমার টিমের সাথে আবার সময়টা শুরু করলাম। তবে হ্যাঁ এটা বুঝতে পারছি নিজে দায়িত্ব নিয়ে কাজ না পারার কারণে অনেক কিছুতেই গাফিলতি হয়েছে, তার কিছু বলতে পারছি না কারণ উপস্থিত ছিলাম না।
এরপর আমরা প্যাকেটিং শুরু করলাম, যেহেতু আমি জানতাম না প্রোগ্রামটি কিভাবে করা হচ্ছে তাই খাতা বের করে দেখলাম বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা উল্লেখ রয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কয়েকটি টিম ভাগাভাগি করে নির্দিষ্ট মসজিদ মাদ্রাসায় পৌঁছে দিলাম এবং আশেপাশে যারা সাহায্য করেছিল তাদেরকেও পরিমাণমতো প্যাকেট সরবরাহ করলাম।
তারপরে এসে বুঝতে পারলাম হিসাবে কিছুটা শর্ট পড়েছে, কোন কিছু বলার নেই কারণ আমি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করিনি, তার কারণে সময় দিতে পারিনি। তাৎক্ষণিক আমরা প্রায় ১৫শ টাকার ইফতারি কিনে নিয়ে আসলাম, আমাদের পরিবার মত রাখলাম এবং পাশে আরেকটা মসজিদ ছিল সেখানেও বাকিগুলো পাঠিয়ে দিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল অসহায় এতিমদের খাওয়ানো, যাই হোক শেষে আমাদের খাবার শর্ট পড়েছিল তাই ভাজাপোড়া ইফতারির আইটেম দিয়ে এ বছর আমাদের ইফতার প্রোগ্রামটি সমাপ্ত করা হলো।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
গত বছরে ও দেখেছিলাম আপনি আপনাদের বন্ধুদের কে নিয়ে ইফতার বিতরণ করছিলেন। আজকেও দেখে ভীষণ খুশি হলাম। মহৎ কাজ। আপনাদের এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানাই। আশাকরি এভাবেই প্রতি বছর দিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবার জন্য দোয়া রইল।
আমি আপনাদের এই মহান উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। উপর ওয়ালা তার গায়েবি খাজানা থেকে আপনাদের সমস্ত মনো কামনা পূর্ণ করুন 🤲
অসাধারণ একটি উদ্যোগে সাথে ছিলেন এবং যতটুকু সম্ভব ইফতার বিতরন করেছেন। পুরো পোস্টটি পড়ে এতোটাই ভালো লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না। সবাইকে ইফতার দেয়ার পর আপনারা ভাজাপোড়া দিয়ে ইফতার সেরেছেন। যাইহোক এরকম উদ্যোগ জারি রাখবেন ইনশাআল্লাহ, নিশ্চয়ই এটা সোয়াবের অন্তর্ভুক্ত।
আপনাদের প্রোগ্রামটি আমার কাছে দারুন লেগেছে। লিস্টে আশপাশের কিছু মাদ্রাসা উল্লেখ করে সেই মাদ্রাসার ছেলেদের কে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। আমি প্রতিনিয়ত এরকম উদ্যোগে সাধুবাদ জানাই। তবে এরকম উদ্যোগে কিছু কিছু মানুষের দায়িত্ব পালন করাতে সেটা পরিপূর্ণভাবে হয় যেমনটা আপনি যদি দায়িত্ব পালন করতেন তাহলে হয়তো বিষয়টা পরিপূর্ণভাবে হত।
রমজান মাসে রোজা রাখার পরে সব থেকে আনন্দের মুহূর্তগুলো ইফতারি। আর ইফতারি যদি সবাই মিলে একত্রিত খাওয়া হয় তাহলে আনন্দটা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। সেখানে মূলত দুইটা প্রোগ্রামই চলছিল অর্থাৎ এখন সময় দুইটা ইফতারের কাজ চলছিল। প্যাকেট করা থেকে শুরু করে মসজিদ-মাদ্রাসা দেওয়া সব কিছু মিলিয়ে খুবই সুন্দর। এ ধরনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে নিশ্চয় অনেক খুশি হয়েছেন।
এরকম উদ্যোগ গুলো দেখলে মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি কাজ করে ভাইয়া। আপনি এবং আপনার বন্ধুরা যদিও বা এখন কর্ম ব্যস্ততায় বিভিন্ন জন বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত আছেন। কিন্তু এর মাঝেও আপনারা এরকম একটি ইফতারের আয়োজন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আর সামর্থ্য অনুযায়ী সবাই সবার কাজ করে। বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে তুলনা করলে তো আর হয় না। যেকোনো কাজের দায়িত্বটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাইয়া। আপনি যদি নিজ দায়িত্বে সব বিষয়গুলোও পরিবেশন করতেন তাহলে হয়তো ইফতারের শর্ট পড়তো না। যাই হোক শেষ অব্দি আপনারা ইফতারের কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন সেটা দেখে খুশি হলাম। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
যাগ পোষ্ট টা পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ যদি এভাবে করে কমবেশি সবাই এসব মানব কাজে লিপ্ত থাকে ৷ তাহলে চারদিকে মানুষ গুলো মিলে একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হতো ৷ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাই ৷ আপনার মন মানসিকতা আরও বড় হোক এমনটাই প্রতার্শা ব্যাক্ত করছি ৷
আপনার পোষ্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনারা প্রতি বছর ই ইফতার বিতরণ করে থাকেন। বিষয় টি বেশ ভালো লেগেছে। আসলেই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো কাজ করে যেতে পারাটাই অনেক ইতিবাচক দিক। আর এর মাঝেও অনিয়মের কিছু আভাস পেয়ে খারাও ও লাগলো বটে। তবুও আপনাদের উদ্দেশ্য যে ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে, আপনাদের ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
আপনারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে ইফতারি বিতরণ করেছেন, সেটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো একটা কাজ। আপনার বন্ধুদের মত এরকম বন্ধু-বান্ধব আসলেই খুব দরকার। আপনারা সবাই উদ্যোগী হয়ে এরকম অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন, এটা তো খুবই ভালো কথা। যাই হোক, অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।