"হঠাৎ করেই নিজের জন্য শপিং করা"
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ।আজ আমি আপনাদের মাঝে হঠাৎ করেই নিজের জন্য কি করে শপিং করলাম সেই ঘটনাটি উপস্থাপন করছি।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই দেরি না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
অনেকদিন ধরেই আমার বন্ধু সত্য জিৎ আমাকে বলেছিল যে সে মার্কেট করতে যাবে। কিন্তু আমার হাতে সময় ছিল না এ কারণে আমি ওকে বলতে পারিনি যে আমি তোর সাথে যেতে পারবো কি পারবো না কিন্তু এইটুকু বলেছিলাম যে কিছুদিন পরে যাব। এমন করে দিনগুলো বয়ে যাচ্ছিল কিন্তু বন্ধুর মার্কেট করা হচ্ছিল না ।একদিন ও হঠাৎ সকালে ও আমার বাড়িতে চলে আসে। এসে দেখে আমার রুমে দরজা বন্ধ আছে তাই আমাকে ফোন দিল আমিও ফোনটা ধরলাম না কারণ আমি তখন গভীর ঘুমে ছিলাম। আমি এমনিতেই খুব ভোরে উঠার চেষ্টা করি কিন্তু সেই রাতে বৃষ্টি হয়েছিল ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া পেয়ে আমি ঘুমের মধ্যে অন্য জগতে চলে গিয়েছিলাম।
যাই হোক আমি যখন ফোন ধরিনি তখন ও আমার রুমে দরজাতে জোরে জোরে আঘাত করতে থাকে। আমি তো গভীর ঘুমে ছিলাম এই কারণে আমিও বুঝতে পারিনি একটু ভয়ও পেয়েছিলাম।কারণ আমি ভেবেছিলাম যে এত রাতে রুমের দরজাতে এত জোরে জোরে আঘাত করছে মনে হয় ডাকাত পড়েছে বাড়িতে। আমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে দরজার খুলে দেখি সে আর কেউ না আমার বন্ধু সত্য জিৎ। দরজা খুলতেই সাথে সাথে আমাকে ধমক দিয়ে বলল যে দোস্ত আজ আর কোন কথা হবে না মার্কেটে যেতেই হবে। আমিও ভাবলাম হাতে যেহেতু আমার সময় আছে সেহেতু আজ যাওয়ায় যায়। আমি দোস্তকে বললাম তুই আমার রুমে এসে একটু বিশ্রাম কর আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
ফ্রেশ হয়ে আসার পর দোস্ত তোর কাছে বাইকের চাবিটা দিয়ে বললাম বাইক টা বের কর আমি রেডি হয়ে আসছি। ও চলে গেল বাইকটা বের করতে আমিও তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে দুই বন্ধু মিলে রওনা হলাম শপিং করতে। ২৫ মিনিটের মতন বাইক চালানোর পর আমরা পৌঁছে গেলাম মূল গন্তব্যে। বাইকটি পার্কিং করে আমরা একটি বয়েজ মার্কেটে ঢুকে পড়লাম। এখানে ছেলেদের সব ধরনের জিনিস পাওয়া যায় তাই আমরা এখানেই ঢুকলাম।
তারিখ:১৬.০৬.২০২৩
সময়:০২.১২মিনিট
আমরা দুজনেই ঢুকে প্রথমে জিন্স প্যান্ট পছন্দ কর চেষ্টা করলাম। দেখতে দেখতে প্রায় ১২-১৩টার মতন প্যান্ট আমাদের দেখা হয়ে গেল কিন্তু একটাও পছন্দ হলো না। অনেকটা সময় ধরে ট্রাই করার পরে একটা প্যান্ট আমাদের পছন্দ হল যেটি দোস্তর। খুব পছন্দ হলো আমারও পছন্দ হলো।
তারিখ:১৬.০৬.২০২৩
সময়:০২.৪৫মিনিট
এখান থেকে বের হয়ে গেলাম অন্য একটি দোকানে কারণ এখানে আমরা যে ধরনের টি শার্ট খুঁজছি সে ধরনের টি শার্ট নাই তাই আমাদের বাধ্য হয়ে অন্য আরেকটি দোকানে যেতে হলো। আর এ দোকানেও আমাদের পছন্দের টি শার্ট টি ও পেলাম না এমন করতে করতে অনেক দোকান আমরা ইতিমধ্যে শেষ করে ফেলেছি তাও আমাদের পছন্দ হচ্ছিল না। একটা সময় ভেবেই নিলাম যে হয়তোবা এই মার্কেটে আমাদের পছন্দের টি-শার্টটি পাবো না তাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। তখন দোস্ত হঠাৎ করেই বলে উঠল তা ট্রাউজার প্যান্ট আর জার্সি লাগবে। আমিও গাড়িটি ঘুরিয়ে খেলাধুলার মার্কেটে চলে গেলাম ওখানে যে আমরা একটি ট্রাউজার প্যান্ট ও একটি জার্সি নিলাম।
এখান থেকে কেনাকাটার পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। গাড়ি চালাতে চালাতে ভাবলাম যেহেতু দোস্ত টি-শার্ট কেনা হয়নি সেহেতু অন্য একটি মার্কেটে আমরা যাব যে বাবা সেই কাজ চলে গেলাম অন্য একটি মার্কেটে। মার্কেটে ঢুকতেই চোখের সামনে পড়লো একটি মোবাইল পার্সের দোকান। হঠাৎ করে মনে পড়ে গেল আমার একটি মোবাইলের ব্যাটারি নিতে হবে তাই শুধু শুধু মোটরসাইকেল থামিয়ে দোকান থেকে একটি মোবাইলের ব্যাটারি কিনলাম।
তারিখ:১৬.০৬.২০২৩
সময়:০৩.২৫মিনিট
ব্যাটারি কেনার পর আমরা একটি জামা প্যান্টের দোকানে ঢুকলাম। আর ঢুকেই দেখলাম এখানে ছেলে-মেয়ে উভয়ের কমবেশি সবই পাওয়া যায়। যাই হোক আমরা টি-শার্ট কেনার উদ্দেশ্যেই আমরা গিয়েছিলাম দোকানে। তাই দোকানদার দাদাকে কিছু টি-শার্ট দেখাতে বললাম। অনেকগুলো টি-শার্ট দেখার পর একটি টি-শার্ট পছন্দ হলো তার সাথে আরও একটি টি শার্ট তার পছন্দ হলো। আমার প্রথমে ভালো লাগে নি কিন্তু ও যখন টি-শার্টটি পড়লো আমি যেন ওর দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। দোস্ত আমাকে বলল তুই একটি নিয়ে নে আমিও দেরি না করে আমিও একটি টি-শার্ট কিনে নিলাম
তারিখ:১৬.০৬.২০২৩
সময়:০৩.৫৪মিনিট
কেনাকাটা শেষ করার পর আমাদের প্রচুর ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল কারণ দুপুরে খাওয়া হয়নি তাই ভাবলাম কিছু খাবার খাওয়া যাক। আমরা কি খাবারের দোকানে গেলাম কিছু খাবার অর্ডার করলাম যেমন সিঙ্গারা, পুরি,পেঁয়াজি, ইত্যাদি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পর পানের দোকানে যে দুজনে দুটি পান খেলাম। খুব বড় বড় পান খেতে খুব অসুবিধা হচ্ছিল কিন্তু আবার খেতেও খুব ইচ্ছা করছিল তাই ফেলে দিতে পারলাম না।
ক্যামেরা পরিচিত:Oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G3
ক্যামেরার দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৬.০৬.২০২৩
সময়:৪.৩৫মিনিট
স্থান: কৈলাস নগর।
দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি শপিংয়ে অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন।হঠাৎ করেই নিজের জন্য শপিং করা। আসলে শপিং করতে কমবেশি সবারই অনেক ভালো লাগে সেই সাথে আমাকে অনেক বেশি ভালো লাগে। শপিং করা শেষে আমরা সত্যিই ছেলেরা কমবেশি রেস্টুরেন্টে কিছু না কিছু খেতে যায় তারপরেও বাড়ির ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
কাপড়চোপড় কেন খুবই মুশকিলের বিষয়। সহজে পছন্দ হতে চায় না। তাছাড়া ছেলেদের টি-শার্টের মধ্যে তো বিভিন্ন ধরণ আছে। আপনার দেখি এক মার্কেট ঘুরা শেষ হয়ে গেল তাও টি-শার্ট পছন্দ হলো না। ভাগ্যিস মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে অন্য দোকানে গিয়েছিলেন জন্যই টি-শার্ট এবং আপনার মোবাইলের ব্যাটারি কিনতে পারলেন। অনেক সময় এমন হয় যে টি শার্ট দেখলে পছন্দ হয় না কিন্তু করার পর দেখতে ভালো লাগে। আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে দেখলাম ভালো লাগলো আপনার কেনাকাটা অনুভূতি পড়ে।
আসলে প্রয়োজন অনুসারে পোশাক কেনাটাই আমাদের জন্য জরুরী। আপনার জিন্সের প্যান্ট এবং টি শার্ট ক্রয় করাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে হঠাৎ পোশাক ক্রয় করতে গিয়ে আপনারা দুজন দুটি পান খাওয়ার কথাটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।