কলকাতা মেলার মাঠে আনন্দ ঘন মুহূর্ত পর্ব: ১

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি কলকাতা মেলার মাঠে আনন্দ ঘন মুহূর্ত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



আমি যে মেলাটির কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি আসলে প্রতিবছর এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আগে পরেও আমি এই মেলাতে গিয়েছি। এই মেলাটিতে গেলে দেখতে পাওয়া যায় শিল্পীদের দক্ষ হাতের নকশা। কারণ কেনো বলছি এই মেলাটিতে বিভিন্ন জায়গার শিল্পীরা তাদের নিখুঁত হাতের নকশাগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরেন। মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আশবাশ পাত্র, বাঁশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র, নকশি কাঁথা, শাড়িতে বিভিন্ন ধরনের নকশা ইত্যাদি। এই মেলাতে অনেকেই সেই সব জিনিসপত্র কিনে নিয়ে তাদের বাড়িঘর সাজিয়ে থাকেন।


হঠাৎ করে জানতে পারি আমরা সেই মেলাতে যাব। আর যখন থেকে শুনেছি মেলাতে যাব তখন থেকেই যাওয়ার জন্য ছটফট করতে থাকি। আমাদের বাসা থেকে সেই মেলাতে যেতে প্রায় ৩৫ মিনিটের মতন সময় লাগে। আমাদের যাওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যার দিকে। কারণ সন্ধ্যার দিকে মেলাতে গেলে সৌন্দর্যটা আরো বেশি ভালো লাগে। কারণ বিভিন্ন ধরনের লাইটিং পরিবেশটাকে আরো সুন্দর করে তোলে। যার কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সন্ধ্যার দিকে যাওয়ার জন্য। যাই হোক সন্ধ্যা হতে আমরা রেডি হয়ে রওনা করলাম মেলার উদ্দেশ্যে। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম থাকার কারণে মেলার মাঠে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় এক ঘন্টার মত সময় লেগে গিয়েছিল। মেলার মাঠে যেয়ে আমাদের গাড়িটি পার্কিংয়ে রেখে আমরা মেলায় যাওয়ার জন্য সবাই মিলে হাঁটতে শুরু করলাম।


প্রথমে চোখে পড়লো বিভিন্ন ধরনের বাঁশের গুড়ি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের চায়ের কাপ। তাতে আবার বিভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করা ছিল। সেগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। বিভিন্ন ধরনের কাঠের টুকরো দিয়ে মাছ তৈরি এবং সেই কাঠে খোদাই করে বিভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করেছে এই শিল্পীরা। রাস্তার দুপাশে এমন অনেক শিল্পীরা বসে সেগুলো বিক্রি করছে। আমরা প্রথমে সেই দোকানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। আর সেগুলোর ফটোগ্রাফি করছিলাম। ফটোগ্রাফি করতে একটু প্রবলেম হচ্ছিল কারণ অনেক লোকের ভিড় এখানে ছিল যার কারণে অনেক সময় নিয়ে ফটোগ্রাফি করতে হচ্ছিল। আমরা যেসব খালি বোতলগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেই। এই মেলাতে এসে দেখলাম সেই সব বোতল গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে তার ভিতরে মিউজিক বাতি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন কিন্তু শিল্পীরা করেছে। যার প্রতি পিসের মূল্য ১৫০ টাকা করে। যখন সচরাচর কারেন্ট বা সৌর বিদ্যুৎ আসেনি তখন গ্রামের মানুষ হাত পাখার সাহায্যে বাতাস খেতো। আর এখন সেই হাতপাখা সচরাচর দেখা যায় না কারণ সব জায়গাতে এখন ইলেকট্রিক ফ্যান,এসি চলে এসেছে। কিন্তু এখনো গ্রামের দিকে এই হাত পাখার প্রচলন কিন্তু রয়েছে। এই মেলাতে হঠাৎ করে চোখে পড়ল সেই হাতপাখা আর সেই পাখাতে বিভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করা যার মূল্য প্রতি পিস ২০০ টাকা করে।
IMG20231212191542.jpg

IMG20231212192226.jpg

IMG20231212191856.jpg

IMG20231212191754.jpg

IMG20231212191722.jpg

IMG20231212191701.jpg

IMG20231212191627.jpg

IMG20231212191553.jpg

IMG20231212191519.jpg

IMG20231212191514.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরার দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১২.১২.২০২৩
সময়:৮.৪৫
স্থান: কলকাতা


এই মেলাতে যেসব শিল্পীরা এসেছে তারা সবাই ক্রেতাদের সামনে সেইসব জিনিস বানিয়ে কিন্তু বিক্রি করছে। যেটি অনেকেই দাঁড়িয়ে থেকে তাদের নিখুঁদ হাতের কাজ গুলো দেখছে। এই মেলাতে কিন্তু তারা গ্রামের আঞ্চলিক ভাবটি প্রকাশ করেছে। কারণ গ্রামের মানুষ একসময় এইসব কাজ করে তাদের জীবন জীবিকা চালিয়ে থাকতো।

আজ এখানেই শেষ করছি। বাকি পর্বগুলো খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 68394.30
ETH 2644.71
USDT 1.00
SBD 2.69