কলকাতা কালী পূজায় ঘোরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি পর্ব:২

in আমার বাংলা ব্লগ12 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে কালী পূজায় ঘোরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি এর দ্বিতীয় পর্বটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



বয়েজ স্কুল থেকে বেরিয়ে আমরা আবার বাইকে করে অন্য একটি পূজা মন্ডপে যাওয়ার জন্য রওনা করলাম। বয়েজ স্কুল থেকে অনেকটাই দূরে হচ্ছিল এই পূজা।আমাদের বাইকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতন সময় লেগেছিল পৌঁছাতে। আমরা বারোটার পরে বেরিয়েছিলাম কিন্তু তার পরেও রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিল।প্রচুর লোক কিন্তু এই সময়টাতে বের হয়েছে। মনে মনে ভাবতে লাগলাম যে আমরা যা চিন্তা করে এসেছিলাম তার উল্টোটা হয়েছে। কারণ আমাদের মতন সবাই চিন্তা করেছে রাত্রে ঘুরবে। তাই অনেকেই সকালে কিন্তু বের হয়নি। যার কারণে এতটা ভিড় হয়েছে। যাই হোক আমরা অনেক কষ্ট করে পূজাটা দেখার জন্য গেলাম। এখানেও একই অবস্থা কারণ ভিতরে গাড়ি নেওয়া যাবে না। পূজা মন্ডপের কিছুটা দূরে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে গাড়ি রেখে আমাদের ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। এটা করার কারণ হলো যাতে পূজার এরিয়াতে কোন যানবাহনের জন্য যারা পূজা দেখতে এসেছে তাদের অসুবিধা না হয়। এটা কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছে। পূজার সময়টাতে বাইক কিন্তু বেশি চুরি হয়ে থাকে।কারণ এখানে সেখানে রেখে দিয়ে সবাই পূজা দেখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে।আর এদিকে সেই দুষ্ট ব্যক্তিরা সেই সময়টা কাজে লাগায়। পার্কিংয়ের ব্যবস্থাটা খুবই ভালো কারণ যারা বাইক নিয়ে এসেছে তারা নিশ্চিন্তে বাইক রেখে মনের আনন্দে পূজা দেখতে পারবে।


আমরা বাইক রেখে সবাই পূজা মণ্ডপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। এই মন্দিরটি সাজানো ছিল শুধু মাক্স দিয়ে। একটা জিনিস বলে রাখি এখানে যে প্যান্ডেল গুলো তৈরি হয়ে থাকে সব কিন্তু আলাদা আলাদা। কোন ডিজাইনের সাথে কোন ডিজাইন ম্যাচ করবে না। যেমন প্রথম পর্বে প্যান্ডেল দেখে বলেছিলাম কোন একটা রাজপ্রাসাদে এসেছি। আর এখানে প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাক্স দিয়ে। যাইহোক আমরা মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করলাম আর বিভিন্ন ধরনের মাক্স এখানে দেখতে পেলাম যা শিল্পীরা বিভিন্নভাবে তৈরি করেছে। একটা জিনিস এই পূজার সময়টিতে আমরা কিন্তু মৃৎশিল্পের সুন্দর সুন্দর কাজ কিন্তু দেখতে পারি। তারা কিন্তু তাদের হাতের নিখুঁত কাজের দাঁড়ায় ফুটিয়ে তোলেন আমাদের মাঝে। মৃৎশিল্প যদি আমাদের মাঝে না থাকতো তাহলে আমরা কিন্তু এত সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের কাজ কখনোই দেখতে পেতাম না। তাই আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে তাদেরকে সম্মান দেওয়া উচিত। তাদের কাজকে সম্মান দেওয়া উচিত। এখানে যে মা কালীর প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। একটু খেয়াল করে দেখলে বুঝতে পারবেন এখানে কিন্তু প্রতিমার পিছনে মাক্স দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমি আগেই বলেছিলাম যে এই মন্দিরের প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে মাক্স দিয়ে সেহেতু ভিতরে প্রত্যেকটা ডিজাইন মাক্স হয়ে থাকবে।

IMG20231113015518.jpg

IMG20231113020215.jpg

IMG20231113020112.jpg

IMG20231113020052.jpg

IMG20231113020011.jpg

IMG20231113015958.jpg

IMG20231113015930.jpg

IMG20231113015914.jpg

IMG20231113015902.jpg

IMG20231113015851.jpg

ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৩.১১.২০২৩
সময়:০১.০৪ মিনিট
স্থান: কলকাতা


এখানে যে মা কালীর মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে খুবই ছোট। কিন্তু প্রতিমার যে মুখটি তৈরি করা হয়েছে খুব হাসিখুশি লাগছিল আমার কাছে। এখান থেকে বের হয়ে আমরা সোজা চলে গেলাম বাজারে ঘুরতে। এখানে বড় একটি মাঠে এই পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল আর এখানে মেলা বসেছে। অনেক দোকান এসেছে বিনোদনের জন্য ও অনেক দোকান এসেছে। আমরা সে সবের দিকে গেলাম না আমরা সোজা একটি চায়ের দোকানে গেলাম। দোকানের নাম ছিল পাঞ্জাব চা। আমরা এখানে চায়ের অর্ডার করলাম আর সেই পাঞ্জাব চা খেলাম। আমি কিন্তু চা প্রিয় লোক তাই কোথাও গেলে চায়ের দোকান দেখলে আমি সঙ্গে সঙ্গে কোন কিছু না খেয়ে আগে চা খেয়ে থাকি।অনেক জায়গায় চা খেয়েছি বিভিন্ন সাধের চা। কিন্তু এই বাজারে যে চা খেয়েছিলাম সেটা একটু অন্যরকম লাগছিল। চায়ের উপরে অনেক মোটা দুধের সর ছিল। আসলে এটি দুধের সর কিনা আমি জানিনা হতে পারে টিস্যুর সর😀😀😀। কারণ এই কথা কেনো বলছি অনেক জায়গায় দুধের সরের বদলে টিস্যু ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা দোকানদাররা দুধের সর বলে চালিয়ে দেয়। আমি এমন অনেক দেখেছি তার জন্য এই কথাটা বললাম। তাই আপনারা চা খাওয়ার আগে সব সময় একটু দেখে শুনে খাবেন। আমরা বাজারে অনেকটা সময় ঘুরাঘুরি করলাম। অনেক বড় জায়গা জুড়ে এই মেলাটি বসেছিল। আর যেহেতু আমরা সারারাত ধরে পূজা দেখব সে হেতু বাড়িতে যাওয়ার কোন চিন্তা ভাবনা আমাদের মাথার ভেতর ছিল না।তাই অনেক সময় নিয়ে আমরা ঘুরে ছিলাম এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার কিন্তু খেয়েছিলাম। ঘুরতে গেলে আর যেমন তেমন আমাদের খাওয়া-দাওয়া খুব ভালো হয়ে থাকে। আরো যদি হয় পূজার মেলা তাহলে তো কোন কথাই হবে না বিভিন্ন ধরনের খাবার দেখে জিব্বা লক লক করতে থাকে 🫢🫢🫢।

আজ পরবর্তী এখানেই শেষ করছি বাকি পর্ব খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Sort:  
 12 days ago 

ওয়াও জায়গাটা এত সুন্দর লাইটিং করে সাজিয়েছে যে দেখি চোখটা জুড়িয়ে গেল। আমি মাঝেমধ্যে এমন প্রতিমা গুলো দেখার চেষ্টা করি কারণ এগুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। যাই হোক কালীপূজো দেখার অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালই ছিল আপনার, খুব সুন্দরভাবে এটি আমাদের মাঝে আপনি প্রকাশ করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 61227.58
ETH 3437.75
USDT 1.00
SBD 2.56