কলকাতা মেলার মাঠে আনন্দ ঘন মুহূর্ত শেষ পর্ব
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি কলকাতা মেলার মাঠে আনন্দ ঘন মুহূর্ত শেষ পর্বটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
মেলার মাঠে ঘুরতে ঘুরতে সামনে পড়ে গেল অনেকগুলো খাবারের দোকান। আপনারা তো জানেন যেখানে মেলা হয় সেখানে খাবারের দোকান আসবে না এমনটা কি হয় কখনো। যেখানে মেলা বসবে সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান কিন্তু অবশ্যই আসবে। যাই হোক মেলার মাঠে ঘুরতে ঘুরতে একটু ক্ষুধা লেগে গেছিল। এই দোকানগুলো বসেছিল মেলার অপর সাইডে। প্রত্যেকটি দোকানের সামনে বসার জন্য টেবিল চেয়ার দেওয়া রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখানে এত পরিমানে মানুষ যে বসার মতন কোন সিট ফাঁকা ছিল না। তাই আমরা হাতে করে দাঁড়িয়ে খেলাম। দুঃখের বিষয় হলো সপ্তাহের একটা দিন আমি নিরামিষ খেয়ে থাকি। আর আমার সেদিন মেলাতে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেদিন ছিল সেই নিরামিষ খাবার দিন। তার জন্য সেদিন আর আমার খাওয়া হলো না। এমনটি অনেকবারই হয়েছে বেশিরভাগ কোথাও ঘুরতে গেলে এই দিনটাতেই বেশি যাওয়া হয়। যার কারণে আমি কোথাও যে খেতে পারি না। যাই হোক খাওয়াটা তো মেইন বিষয় নয় বিষয়টা হচ্ছে সবাই মিলে একসাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। কারণ পরিবার সবাই একসঙ্গে কোথাও ঘুরতে গেলে তার মজাটাই অন্যরকম।
যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা আবারো মেলায় ঘুরতে লাগলাম। এবার হলো আমাদের বাড়ি যাওয়ার পালা। তাই এখন কিছু মালামাল আমরা কিনবো। আগে থেকে কোন কিছু মেলা থেকে কেনা হয়নি। কারণ হলো আগে থেকে কোন কিছু কিনলে সেগুলো সঙ্গে করে রাখতে হত। যার কারণে ভালোভাবে মেলাটা ঘুরে দেখতে পারতাম না। যার কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম বাড়ি ফেরার সময় আমাদের পছন্দের মালামাল গুলো মেলা থেকে কিনব। মেলা থেকে আমার কেনাকাটা কোন কিছুই ছিল না। দাদা একটা ফ্রেম কিনেছিল অনেক বড়। অনেক দাম নিয়েছিল ৫০০০ টাকার মতন।একটি থ্রিডি ফটো, বাঁশের তৈরি চায়ের কাপ, পিতলের মূর্তি ইত্যাদি মালামাল। আমারতো কেনাকাটা কিছুই ছিল না। তাই আমি দাদার পিছন পিছন থেকে সেই মালামাল গুলো নিচ্ছিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরার দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১২.১২.২০২৩
সময়:১০.০৫মিনিট
স্থান: কলকাতা
এই মেলাতে যাওয়ার পর সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। কারণ এখানে অনেক মৃৎশিল্পের কাজ গুলো দেখতে পেরেছি। ফেলে দেওয়া জিনিস সেইসব দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর জিনিস বানানো যায় তা এই মেলাতে না আসলে কখনোই জানতে পারতাম না। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটালাম মেলাতে এসে। অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। আমার মতে এইসব মেলাতে এসে এইসব শিল্পীদের একটু উৎসাহ দেওয়াটা দরকার।কারণ তারা এখনো আছে বলে।আমরা এইসব সুন্দর সুন্দর শিল্প কাজ গুলো দেখতে পারি। শিল্পী টাকা পয়সা চায় না শিল্পী শুধু চায় তার প্রতিভা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যাক। শিল্পী শুধু চায় তার শিল্প কাজের একটু সম্মান। এই মেলাতে সাধারণত বেশি দেখা যায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মেলায় ঘুরে খুব দারুন লেগেছে।