"শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে ঘুরতে যাওয়া"steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।

IMG20230907141250.jpg


শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর এই দিনটাতে সারা বিশ্বে নানান ভাবে উদযাপন করা হয়। আমাদের বাড়ির পাশে ও একটি শ্রীকৃষ্ণের মন্দির রয়েছে এখানেও এই দিনটাতে মন্দিরটি ভালোভাবে সাজানো হয়। ছোট ছোট লাইটিং এর মাধ্যমে রাতের বেলাতে মন্দিরটি অসাধারণ লাগে দেখতে। জন্মাষ্টমীর দিন অনেকেই উপবাস করে ঈশ্বরের নাম দেন করে থাকে। আমিও তাদের বাইরে নয়। এই দিনটাতে সরকারি ছুটি হওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটা সবাই খুব ভালোভাবেই উপভোগ করতে পারে। বর্তমান মানুষের ব্যস্ততার কারণে ঈশ্বরের নাম করাই ছেড়ে দিয়েছে। তাই এই দিনটাতে সরকারি ছুটি হওয়ার কারণে সবাই একটু ঈশ্বরকে ডাকতে পারে মন খুলে।


যাই হোক শ্রীকৃষ্ণের এই জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানের আগের দিন আমার কিছু বন্ধুরা মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নেই মন্দিরে ঘুরতে যাব। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রওনা করলাম মন্দিরে যাওয়ার জন্য। আসলে আমরা যেখানে যাওয়ার কথা ভেবেছি সেখানে এই মন্দিরটি সেদিন উদ্বোধন হবে। আমরা জেনেশুনেই এই মন্দিরটি দেখতে যাচ্ছি। শুধু আমরা না অনেকেই এই মন্দির দেখার জন্য গিয়েছিল। আমরা দুইটি বাইক নিয়ে রওনা করলাম প্রায় ৪০ মিনিট বাইক চালানোর পর আমরা পৌঁছে গেলাম মন্দিরে। এখানে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা ছিল তাই আর গাড়ির ভিতরে নিয়ে যেতে পারলাম না ওখানেই পার্কিং করে সোজা চলে গেলাম মন্দিরে।
IMG20230907152239.jpg

IMG20230907134647.jpg

IMG20230907133850.jpg

IMG20230907125850.jpg


মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতেই শীতলতা অনুভব করতে পারলাম। মন্দিরের পরিবেশটা এত সুন্দর করে সাজানো ছিল মনটা জুড়িয়ে যাওয়ার মত। মন্দিরে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি আলাদা জায়গা ছিল । কেউ যদি ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে যায় তাহলে এখানে এসে বিশ্রাম নিতে পারবে এই কারণেই এই ব্যবস্থা করেছে। আমার কাছে এটি ভালোই লেগেছিল। আমার একটা প্রবলেম সবসময় হয়ে থাকে মন্দিরে গেলেই আমার প্রসাদ খেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আজ প্রসাদ পেতে অনেকটাই দেরি হবে কারণ আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন সবেমাত্র পূজা শুরু হয়েছে। আর পূজা না শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রসাদ গ্রহণ করা সম্ভব। তাই ভাবলাম মন্দিরের বাইরে সৌন্দর্যটা একটু উপভোগ করে আসা যাক। যেই ভাবা সেই কাজ সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলাম মন্দিরের চারিপাশটা ঘুরে দেখার জন্য।
IMG20230907190244.jpg

IMG20230907183334.jpg

IMG20230907133913.jpg

IMG20230907131732.jpg
কিন্তু বাইরে ভালো করে ঘুরতে পারলাম না কারণ সেদিন প্রচন্ড গরম পড়েছিল। কোথাও একটু বাতাস হচ্ছিল না তাই সঙ্গে সঙ্গে চলে এলাম মন্দিরে। কিন্তু মন্দিরে একটি অদ্ভুত কান্ড ঘটেছিল। সেটি হল যখন আমরা মন্দির প্রাঙ্গণে বসেছিলাম তখন অনেকটা ঠান্ডা হওয়া আসছিল। কিন্তু বাইরে একটুও বাতাসের কানা করিও পেলাম না কিন্তু মন্দিরের ভিতরে যেন এসি ফিট করা রয়েছে তেমনটাই মনে হলো। কিন্তু মন্দিরে কোথাও কোন রকম এসি ছিল না।যাইহোক কেন জানি না এমনটি মনে হল। আমরা মন্দিরের চারিপাশটা ঘুরে আসতে আসতে পুজাও প্রায় শেষ। আমার তো খুবই আনন্দ লাগছিল কারণ পূজা শেষ হলে প্রসাদ গ্রহণ করতে পারবো। কিছুক্ষণ পরেই পূজা শেষ হয়ে গেল আর ওখানে যারা দায়িত্বে ছিল তারা আমাদেরকে বলল পাশে একটি রুমে প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই আমরা সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলাম প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য। কিন্তু ওখানে যে দেখলাম এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে তারপর প্রসাদ গ্রহণ করতে হবে। যেটি আমার কাছে খুবই যন্ত্রনা দরকার ছিল। কারণ একদিকে যেমন বড় একটি লাইন আবার অন্যদিকে সূর্যের তাপ। যাই হোক অনেক কষ্ট সহ্য করে তারপর ঢুকে পড়লাম রুমের ভেতর। সেখানে যে দেখলাম প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য এনারা চেয়ার টেবিলের ব্যবস্থা করেছে। যেখানে বসে প্রসাদ ভালোভাবেই গ্রহণ করা যাবে আর প্রত্যেকটি টেবিলের সামনে ফ্যানের ব্যবস্থা করা ছিল যাতে ভক্তদের প্রসাদ গ্রহণ করতে কষ্ট না হয়।
IMG20230907135200.jpg

IMG20230907135030.jpg

IMG20230907134855.jpg

IMG20230907134556.jpg

IMG20230907134022.jpg

IMG20230907203846.jpg

IMG20230907141424.jpg

ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরার দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:০৮.০৯.২০২৩
সময়:৪.৫০মিনিট
স্থান: তালতলা।
প্রসাদ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা আবার মন্দিরে গেলাম সেখানে যেয়ে আরো কিছু সময় থাকলাম। তারপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম কিন্তু আমার ইচ্ছা করছিল না মন্দির থেকে আসতে। ইচ্ছা করছিল আরো কিছু সময় মন্দিরে এই পবিত্র স্থানে থাকতে। কিন্তু আমাদের যেতেই হতো কারণ ওই যে আগেই বলেছি আমাদের বাড়ির পাশে একটা মন্দির আছে সেখানেও এই দিনটাতে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে সেখানেও আমাদের অংশগ্রহণ করতে হবে।

আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Sort:  
 11 months ago 

আসলেই বাস্তব জীবনের ব্যস্ততার কারনে মানুষ ইশ্বরকে ডাকতেই ভুলে গেছে। মন্দিরের পরিবেশই এমন যে গেলেই মন শান্ত হয়ে যায়,একটা স্বর্গীয় অনুভূতি চলে আসে। এই প্রসাদ পাওয়ার ইচ্ছা মন্দিরে গেলে আমারো হয়। আপনার মন্দির ঘোরাঘুরির অনুভূতি পড়ে অনেক ভাল লাগল।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

বাহ ভাই! খুবই ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে। ঠিক যেমন মন্দিরের ভেতরে আপনি ঠান্ডা শীতল হাওয়ার অনুভব পাচ্ছিলেন। ওখানে প্রসাদ বিতরণেরও দারুণ ব্যবস্থা করেছে কতৃপক্ষ যা আপনার ছবি দেখে বুঝলাম। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

বাহ্ দাদা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে বেশ ঘোরাফেরা করেছেন দেখছি। প্রতিবছর নিজের পাড়ায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানের সকল দায়িত্ব পালন করি বলে কোথাও যেতে পারি না তবে এখানে আমি খুব উপভোগ করি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59596.75
ETH 2659.83
USDT 1.00
SBD 2.45