নিজেকে সুস্থ রাখতে ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে কিছু কথা শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।

pexels-ketut-subiyanto-4546117.jpg
সোর্স



নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমানো প্রয়োজন। কারন আমরা কমবেশি সবাই জানি ঘুম আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই কিন্তু বলে এত ঘুমানোর কি দরকার আগে কাজ করো তারপর ঘুমাও। এখানে আমি বলব আমাদের দৈনন্দিন কাজ যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন ঘুমের ও কিন্তু গুরুত্ব অবশ্যই রয়েছে। আমরা কেনো ঘুমাই এটা একটা প্রশ্ন? সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়লে আমরা তখন ঘুমিয়ে পড়ি। আমাদের যখন ক্ষুদা লাগে তখন আমরা ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য কিছু খেয়ে থাকি। তেমন আমাদের মস্তিষ্ককে খাবার দিতে হলে তার বিশ্রামের দরকার হয়। আর এই বিশ্রাম নেওয়াটা কে আমরা বলি ঘুম। মানুষ কেন ঘুমায় আজ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি।


ধরুন একটা মানুষকে টানা ৫ দিন ঘুমাতে দেওয়া হলো না। পাঁচ দিন পর একটা সময় আসবে, সে আর কোনভাবে না ঘুমিয়ে থাকতে পারবে না। আমরা দেখেছি যখন আমাদের ঘুম আসে তখন হাজার বাদ্যযন্ত্র আমাদের কানের কাছে বাজলে ও আমরা কিন্তু ঘুমিয়ে পরি। আমাদের যদি শরীরের প্রজত্ত পরিমাণে ঘুম না হয়।তাহলে আমাদের কিন্তু কোন কিছুই ভালো লাগবে না। কাজ করতে ভালো লাগবে না,কোন তার প্রতি মনোযোগ থাকবে না, খিটখিটে মেজাজ হয়ে থাকবে ইত্যাদি। কেউ কেউ আট ঘন্টা ঘুমায় আবার কেউ চার ঘন্টা ঘুমিয়ে দিব্যি সুস্থ জীবন যাপন পালন করছে। এখানে কথা হলো আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাবার ও নিঃশ্বাস যতটা প্রয়োজন ততটাই প্রয়োজন ঘুমের। ঘুম ছাড়া মানুষ কতদিন জেগে থাকতে পারে যদিও এর কোন পূর্ণাঙ্গ বৈজ্ঞানিক মাপকাঠি নেই তবে এই ক্ষেত্রে বিশ্ব রেকর্ড হচ্ছে ১১ দিন।


এখানে আমার কিছু অভিজ্ঞতার কথা আমি আপনাদের মাঝে বলছি। কিছুদিন হলো আমার ভালো ঘুম হচ্ছে না রাতে মাত্র আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার মতো ঘুম হচ্ছে। যার কারণে আমার শরীরে আমি একটু দুর্বলতা অনুভব করছি। কাজে মনোযোগ দিতে পারছি না। কেউ ভালো কথা বললে তার ওপর রেগে যাচ্ছি। এমন নানান দিক থেকে আমি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এর একমাত্র কারণ হলো আমার শরীরের যতটা প্রয়োজন ঘুমের আমি কিন্তু ততটা ঘুমাতে পারছি না। যার জন্য আমার এই সমস্যাগুলো হচ্ছে। একদিন আমি আর আমার বন্ধু দুজনে গল্প করছি বসে বসে। গল্প করতে করতে আমি কখন ঘুমিয়ে পড়েছি আমি কিন্তু নিজেই জানি। আমি যখন ঘুমিয়ে পড়েছি আমার বন্ধু তখন আমাকে ধাক্কা দেয় তখন আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি তখনই বুঝতে পারি যে আমার শরীরের ঘুমের অনেক ঘাটতি রয়েছে।


বিশ্বের অনেক দেশ আছে তারা কিন্তু ঘুমকে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যেমন ধরুন জাপান তারা কিন্তু তাদের শরীরের উপর খুব যত্নশীল হয়ে থাকে। তাদের সময় মতন খাওয়া সময় মতন ঘুমানো সময় মতন কাজ সবকিছু তারা টাইম মাফিক করে থাকে। আমরা অনেকেই আছি যারা বিনা কারণে রাত জেগে থাকি। যেটি আমাদের শরীরের উপর খুব চাপ সৃষ্টি করে। জাপানের অধিকাংশ মানুষ তারা কিন্তু রাত দশটার ভেতর সব কাজকাম সেরে ঘুমিয়ে পড়ে। তাদেরকে ফলো করলেই বুঝতে পারা যায় যে তারা কত উন্নত।


আমাদের শরীরটা একটা ইঞ্জিনের মতন সব সময় রানিং থাকে। কিন্তু ইঞ্জিন যদি সব সময় চলতে থাকে তাহলে সেটি কিন্তু দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মাঝে মধ্যে ইঞ্জিনটাকে কিছু সময়ের জন্য রেস্ট দেওয়া হয়। যাতে করে পুনরায় ইঞ্জিনটি আবারও তার শক্তিতে চলতে পারে। আমাদের মানব শরীর যেমন সব সময় রানিং থাকে তাই তাকেও একটু রেস্ট দেওয়া দরকার। যাতে সে পুনরায় আবার তার পূর্ণ শক্তিতে চলতে পারে আর এই রেস্ট হল ঘুম। বর্তমান যুগে আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে আমাদের শরীরের উপর আমরা খেয়াল রাখতে পারিনা। যার জন্য আমরা এত অসুস্থ হয়ে পড়ছি নানা ধরনের রোগ আমাদের শরীরে ধীরে ধীরে বাসা বাঁধছে।


আমাদের এই পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদের অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এই পরিশ্রম করার জন্য আমাদের দরকার ঘুমের। আমরা যদি প্রতিদিন প্রজত্ত পরিমাণে ঘুমাইতে পারি তাহলে আমরা কঠোর পরিশ্রম করতে পারব। ঘুমের কারণে আমাদের ব্রেন তার সঠিক কাজটা সে করতে পারবে। আমাদের কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়বে। যার ফলে আমরা কঠোর পরিশ্রম করতে পারব। তাই অযথা রাত না জেগে দিনের ভেতর কাজকাম সেরে রাতে সঠিক সময় ঘুমিয়ে পড়া উচিত।

আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Sort:  
 last month 

আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাই। শুধু তাই নয় এই বিষয়ে আপনি খুব সুন্দর করে পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন যেটা ভালো লাগলো। আসলে ঘুমের প্রয়োজন অপারেশীম। কেননা সুস্থ জীবন যাপন করার জন্য ঘুমের কোন বিকল্প নেই। তাছাড়া ভালো না হলে মন ভাল থাকে না। সব মিলিয়ে ঘুম মাস্ট থাকতে ই হবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 last month 

খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আপনি। আমাদের কিন্তু প্রতিনিয়ত ঘুম কম হয় বিভিন্ন কারণে। তবে একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আট ঘণ্টার মতো ঘুমাতে হবে। তাই ঘুম আমাদের শরীরের জন্য রোগবালার দূর রাখার জন্য অনেক উপকারী।

 last month 

আমরা যদি ভালোভাবে ঘুম না যেতে পারি, তাহলে আমাদের শরীর অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে। আর এর ফলে আমরা কোনো কিছু ভালোভাবে করতে পারবো না। শরীর সুস্থ থাকার জন্য ঘুমানোটা আসলেই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মাথায় অনেক চাপ থাকে এমনিতেই প্রতিনিয়ত। আর যদি আমরা ভালোভাবে ঘুমাতে না পারি, তাহলে চাপটা আরো বেশি বেড়ে যাবে। এর ফলে আমরা অসুস্থ হবো। কমপক্ষে ছয় ঘন্টা আর বেশি হলে আট ঘন্টা অবশ্যই আমাদেরকে ঘুমাতে হবে। নিজের শরীরকে প্রথমে ভালো রাখতে হবে।

 last month 

দাদা আপনার মত এই সমস্যাটা বর্তমানে আমারও হয়েছে। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকি কিন্তু ঘুম আসে না তারপর অল্প দুই তিন ঘণ্টা ঘুমালেই ঘুম ভেঙে যায়। আর কয়েকদিন লক্ষ্য করছি শরীরও ভীষণ ক্লান্ত। শরীরের এনার্জি ধরে রাখার জন্য এত ঘুমের প্রয়োজন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.17
JST 0.029
BTC 69585.15
ETH 2499.56
USDT 1.00
SBD 2.56