"আই টি সি রয়েল বেঙ্গলে ভ্রমণ ,খাওয়া-দাওয়া ও ফটোগ্রাফি"
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি কলকাতার "আই টি সি রয়েল বেঙ্গল" ভ্রমণের কিছু আনন্দের মুহূর্ত সবার মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি ,আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করেছি।
বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আমাদের কলকাতা আই সি টি রয়েল বেঙ্গল যাওয়ার কথা ছিল। আমার ঘুরতে খুব ভালো লাগে যেদিন থেকে শুনেছি আমরা কোন ফাইভ স্টার হোটেলে ভ্রমণ করতে যাচ্ছি সেদিন থেকে আমার কৌতূহলটা বেড়ে যায়। আর বেড়ে যাবেই না কেন কারণ কলকাতার বিখ্যাত একটি ফাইভ স্টার হোটেল আইপিসি রয়েল বেঙ্গল। বেশিরভাগ পর্যটকরা এই হোটেলেই রাত কাটিয়ে থাকে। আসলে সাধারণ মানুষ এখানে যাওয়াটা একটু অসম্ভব কারণ এক কাপ কপির দাম এখানে ৫০০ টাকা তাই বুঝতে পারছেন যেটা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
যাই হোক যেদিন যাব সকালে অল্প পরিমাণে কিছু খেলাম কারণ আইটিসি রয়েল বেঙ্গল বুফে আগে থেকে বুকিং দেয়া ছিল। বিকাল হতেই আমার কৌতুহলটা যেন বেড়েই চলেছে কখন যাবো কখন যাবো শুধু ভাবছি এর মধ্যে হঠাৎ দিদি আমাকে বলল তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিতে একটু বাদেই আমরা বের হব। আমিও তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিলাম আর সবার আগে গাড়িতে উঠে পড়লাম। বাসা থেকে আইটিসি রয়েল বেঙ্গল এ যেতে আনুমানিক এক ঘন্টার মতোই লাগে। আমি গাড়িতে বসে বসে গান শুনছি আর ভাবছি এখনো দাদারা কেন আসছে না কখন যাব কখন খাওয়া দাওয়া করব আর এমনিতেই সকালে একটু কম খেয়ে ছিলাম এই জন্য ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। একটু পরেই দাদারা এল আর সঙ্গে সঙ্গেই আমরা রওনা হলাম । দীর্ঘ এক ঘন্টা গাড়িটি চলার পর আমরা পৌঁছে গেলাম আমাদের মূল গন্তব্যে। গাড়ি থেকে নামতেই আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম কারণ আমি যা ভেবেছিলাম তার থেকে অধিক সুন্দর এই হোটেলটি দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোন রাজপ্রাসাদ এসেছি । অল্প আলোতে সাজানো হোটেলটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।
তারিখ:২৫.০৩.২০২৩
সময়৭.০০ মিনিট
স্থান: আইটিসি রয়েল বেঙ্গল কলকাতা।
আমরা সবাই গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে যাওয়ার জন্য চেকিং সেরে নিলাম। একটু যেতেই আবার দেখলাম দরজার সামনে আরো দুজন গার্ড দাঁড়িয়ে আছে । আমরা দরজার সামনে যেতেই দরজাটি খুলে দিল এবং আন্তরিকতার সাথে আমাদের স্বাগতম জানিয়ে ভিতরে প্রবেশের জন্য অনুমতি দিল। ভেতরে ঢুকতেই আরো অবাক হয়ে গেলাম কারণ আমার দেখা সবথেকে সুন্দর এই ফাইভ স্টার হোটেলটি । যাইহোক আমরা সবাই ওয়েটিং রুমে কিছু সময় অপেক্ষা করলাম কারন আমাদের কিছু গেস্ট ছিল যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে। তাদের আসতে অনেক সময় লেগে গেল তাই সময় কাটানোর জন্য কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।
তারিখ:২৫.০৩.২০২৩
সময় :৭.৪০মিনিট
স্থান: আইটিসি রয়েল বেঙ্গল কলকাতা।
এরপর বুফে যাওয়ার জন্য আমরা তৈরি হলাম । কিন্তু আমাদের জানা ছিল না কোথায় বুফে রয়েছে তাই আমরা হোটেলের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীর সাহায্য নিলাম আর সে সুন্দরভাবে আমাদেরকে পৌঁছে দিল সেই স্থানে। বুফে যেতে যেতে আমি খেয়াল করলাম কিছু পুরাতন নকশা, ছবি দেখি অনেক ভালোই লাগছিল ।আমার কাছে মনে হচ্ছিল এটি হোটেল নয় কোন জাদুঘরে এসেছি।
তারিখ:২৫.০৩.২০২৩
সময়:৮.০৩মিনিট
স্থান: আই টি সি রয়েল বেঙ্গল কলকাতা।
কয়েক মিনিট পরেই আমরা পৌঁছে গেলাম বুফে আগে থেকেই আমাদের বুকিং করা ছিল তাই আর কোন সমস্যা হলো না। আমারা যেতেই কথা বললাম তারপর আমাদেরকে বসবার জন্য আমাদের টেবিলটি দেখিয়ে দিল। আমরা বসেই গল্প করছিলাম হঠাৎ দাদা বলল খাবারগুলো একটু পর্যবেক্ষণ করে আসতে । আমি সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলাম আর এমনিতেই আমার খুব ক্ষুধা লেগেছিল তাই বলাতে আর দেরি করলাম না। আর একটা কথা বলে রাখি এই বুফে ১৫০ প্রকারের খাবার রয়েছে। আমি যে কোনটা থেকে কোনটা খাব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। যখন অনেক খাবার সামনে থাকে তখন কিন্তু বুঝা যায় না কোনটা থেকে কোনটা খাব। যাই হোক আমি প্রথমেই কিছু ভেজিটেবল খাবারের দিকে গেলাম আর এখান থেকেই কিছু পছন্দ মত খাবার প্লেটে তুলে নিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল :oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য :3.37mm
তারিখ :২৫.০৩.২০২৩
সময় :৮.৩০
স্থান: আইসিটি রয়েল বেঙ্গল কলকাতা।
বুফেতে কিন্তু নিজের খাবার নিজেই গুছিয়ে খেতে হয় এতে কিন্তু আলাদা একটা মজা আছে যাই হোক আমি খাবারগুলো খাওয়ার পর আবারও চলে গেলাম কিছু খাবার আনতে খুব ক্ষুধা লেগেছিল মনে হচ্ছিল সবগুলো খাবারই আমি খেয়ে ফেলবো। কিন্তু ১৫০ প্রকারের খাবার রয়েছে এখানে এত প্রকারের খাবার খাওয়া কি সম্ভব ।আমি কোন মতে অল্প অল্প করে ১৯ প্রকার খাবার খেয়ে আমার পেট ভরে গেল। যাই হোক সেদিন আমরা সবাই ভালই মজা করেছিলাম সুন্দর একটা সময় কাটালাম আইসিটি রয়েল বেঙ্গলে।