ছোট দাদার বিবাহ জমজমাট খাওয়া দাওয়া ও ফটোগ্রাফি পর্ব:১
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে ছোট দাদার বিবাহের সেই আনন্দের মুহূর্ত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি,আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
ছোট দাদার বিবাহের কথা বলতেই আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন আমি কার কথা বলছি। ছোট দাদা বলতে সে আর কেউ নয় আমাদের সবার প্রিয় ব্লাক দাদা। যেদিন থেকে শুনতে পেয়েছিলাম ছোট দাদার বিবাহের কথা। সেদিন থেকেই মনের ভেতর এক অন্যরকম আনন্দ কাজ করছিল। সেদিন থেকেই দিন গুনতে শুরু করি কবে আসবে সেই শুভ দিন। ছোট দাদার বিবাহে বড় দাদা আমাকে আর নিলয় দাদাকে বড় একটি দায়িত্ব দিয়েছিল। বিয়ের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা সেই দায়িত্ব পালন করেছিলাম। ছোট দিদিকে দেখতে যাওয়া থেকে শুরু করে বিয়ের শেষ পর্যন্ত আমরা আনন্দ করেছি। বিয়ের সময়টাতে কিন্তু অনেক কাজ করতে হয় সেই সব কাজ আমরা নিজের দায়িত্বে করেছিলাম। আর যেখানে ছোট দাদার বিবাহ বলে কথা সেখানে তো কোন কথাই হবে না।
দিন গুনতে গুনতে সেই শুভ দিন চলে এলো। আমাদের কাজের চাপ ও অনেকটাই বেড়ে গেল। ছোট দাদা আমাদের তার বিবাহের মার্কেট করাতে নিয়ে গিয়েছিল। ছোট দাদা আমাদের তার গায়ে হলুদের জন্য একটি করে পাঞ্জাবি দিয়েছিল এবং তার বিবাহের যাওয়ার জন্য আলাদা ড্রেস কিনে দিয়েছিল। নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছিল কারণ দাদার কাছ থেকে কোন কিছু পাওয়া অনেকটাই ভাগ্যের ব্যাপার। দাদার গায়ে হলুদের দিন দাদাদের নিজেদের বাসার ছাদে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।সেখানে খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা হয়েছিল। গায়ে হলুদের দিন খুব সকাল সকাল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। কারণ দাদার গায়ে হলুদ হয়ে যাওয়ার পরপর ছোট দিদির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হবে।
আমরা কিন্তু ছোট দাদার গায়ে হলুদের দিন যে হলুদ পাঞ্জাবি আমাদেরকে দিয়েছিল সেটি পড়ে আমরা দাদার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হাজির হলাম। অনেক আনন্দের মুহূর্ত দিয়ে ছোট দাদার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো। আর আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হল ছোট দাদার গায়ে হলুদের যে হলুদ সেটি আমাদের ছোট দিদিদের বাসায় নিয়ে যেতে হবে। আর আমরা সেই হলুদ নিয়ে যাওয়ার পর ছোট দিদির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হবে। যাই হোক আমরা খুব দ্রুত সেই হলুদ নিয়ে দিদিদের বাড়িতে রওনা করলাম এবং সাথে আরো অনেক মালামাল নিলাম। গায়ে হলুদের দিন দাদা কিন্তু একটি বড় একটি মাছের অর্ডার দিয়েছিল যেটি তত্ত্বের ভিতর যাবে। মাছটি হল কাতলা মাছ ওজন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কেজি। এই মাছটি অর্ডার করতে আমার আর নিলয় দাদার অনেক কষ্ট হয়েছিল। কারণ এত বড় মাছ কোন বাজারে পাচ্ছিলাম না। আর অনেক আগে থেকেই মাছটির অর্ডার করা হয়েছিল যাতে অনুষ্ঠানের দিন কোন প্রবলেম না হয়। দুজনে করে সেই মাছটি আমরা গাড়িতে উঠালাম। আর এই মাছটি কিন্তু ছোট দিদিদের বাড়িতে যাবে।
যাই হোক ছোট দিদিদের বাড়িতে যেতে আমাদের ৪৫ মিনিট সময় লেগেছিল। দিদিদের বাড়িতে তত্ত্ব নিয়ে গিয়েছিলাম আমি, নিলয় দাদা এবং আমাদের এক মামা। আমরা গাড়ি থেকে নেমে একে একে সেই গায়ে হলুদের মালা মালগুলো একে একে নিজেদের হাতে নিলাম। অনেক জিনিস ছিল যা তিনজনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাদের গাড়ির ড্রাইভারও আমাদের মালামাল গুলো নিতে সাহায্য করল। এখানে একটা মজার বিষয় হচ্ছে যে মাছটির কথা বলেছিলাম ।সে মাছটি যখন বের করে নিয়ে আমরা পথ থেকে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম তখন রাস্তার পাশে মানুষ তাকিয়ে দেখছিল। আমার মনে হচ্ছিল তারা যেন এত বড় মাছ কখনো দেখিনি 😀😀😀। যাই হোক আমরা পৌঁছে গেলাম দিদিদের বাড়িতে। দিদিদের বাড়িতে যেতেই আমাদের খুব আদর যত্ন সহকারে বরণ করে নিল। ছোট দাদাদের বাড়ি থেকে আমরা যা এনেছিলাম তা একটি রুমে রেখে দিলাম। তারপর আমাদের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি রুমের ব্যবস্থা করেছিল আমরা সেখানে বিশ্রাম নিলাম। বিশ্রাম নিতে নিতে দেখলাম একে একে আমাদের জন্য খাবার আসতে শুরু করল। আমার প্রথম একটু লজ্জা করছিল কিন্তু পরবর্তীতে লজ্জা শরম বাদ দিয়ে খাইতে শুরু করলাম। কারণ এমন সুযোগ বারবার আসবে না। তাই মনের আনন্দে খাইতে লাগলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সোজা চলে গেলাম বাড়ির ছাদে। ছোট দিদিদের বাড়ির ছাদে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে যেয়ে দিদি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটা উপভোগ করলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি :oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৮.১১.২০২৩
সময়:০১.৩১ মিনিট
স্থান: কলকাতা
ছোট দিদিকে গায়ে হলুদের দিন খুব ভালো লাগছিল। দিদিকে পরিবারের সবাই একে একে হলুদ মাখিয়ে দিল। আমরাও কিন্তু দিদিকে হলুদ মাখিয়ে দিলাম। সারা মুখে হলুদ লাগাতে দিদিকে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। দিদির গায়ে হলুদের দিন সবাই মিলে আমরা নাচানাচি করলাম। আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো। আমাদের কিন্তু যত্নের কোন ত্রুটি ছিল না কারণ আমরা ছিলাম বরপক্ষ। তাই আমাদের আদর যত্নের কোন ত্রুটি ছিল না। বিবাহের প্রথম আনন্দ কিন্তু এই গায়ে হলুদ। সবাই সেদিন গায়ে হলুদ মেখে রং মেখে এই আনন্দ উৎসব পালন করে থাকে। আমার মনে হয় বিয়ের আনন্দটা হচ্ছে এই গায়ে হলুদ। সেটা আমরা পেয়েছিলাম ছোট দিদির গায়ে হলুদে যে এটা আমার কাছে অনেক বড় একটি পাওয়া।