বাংলাদেশে দুর্গাপূজা দেখা ভ্রমণ ও ফটোগ্রাফি পর্ব:৩"
হ্যালো বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে বাংলাদেশে দুর্গাপূজা দেখার তৃতীয় পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
আগের পর্বেই বলেছিলাম যে সময় যত পার হচ্ছিল ততই মানুষের ভিড় বেড়েই যাচ্ছিল। আমার ইচ্ছে ছিল সবগুলো প্রতিমার ফটোগ্রাফি করার কিন্তু সেই ইচ্ছাটা পূরণ হলো না। ৩০ সেকেন্ড ও একটা জায়গায় দাঁড়াতে পারছিলাম না। একটু দাঁড়ালেই পেছন থেকে ধাক্কা দিতে শুরু করে। মানুষের ধাক্কায় ধাক্কায় কোনমতে তিনটা গলি শেষ করলাম। এরপরের যে শেষ গলিটা ছিল সেটি একটু বড় ছিল এ কারণে লোকের ভিড়টাও একটু কম মনে হচ্ছিল। এখানে দেখতে পেলাম শ্রী কৃষ্ণের বাল্যকালের কিছু শিল্পকলা। এখানে শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের তার সখীদের সাথে খেলা করার। শ্রীকৃষ্ণের এক আঙুলে গোবর্ধন পর্বত তুলে ধরার সেই চিত্রটিও এখানে তুলে ধরা হয়েছে। যখন হঠাৎ করে বৃন্দাবনে প্রবল ঝড়ের সৃষ্টি হয়েছিল বৃন্দাবন বাসির আশ্রয়স্থল ঝড়ে ভেঙ্গে গিয়েছিল। তখন তারা কোথাও আশ্রয় পাচ্ছিল না তখন শ্রীকৃষ্ণ এই গোবর্ধন পর্বত উঁচু করে রেখে সবাইকে তার তলে আশ্রয় দিয়েছিল।
এরপর দেখলাম বিশাল বড় একটি প্রতিমা যেখানে দেখা যাচ্ছে কিছু লোক তার শরীরের উপর দাঁড়িয়ে বিভিন্ন কৌশলে তাকে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করছে। আসলে এটি তখনই হয়েছিল যখন রাম রাবণের যুদ্ধ হয়। রাবণের ভাই ছিল কুম্ভকর্ণ। কুম্ভকর্ণ ৬ মাস খাবার খেত আবার ছয় মাস ঘুমিয়ে থাকতো। রাম যখন লঙ্কায় আক্রমণ করে তখন কুম্ভকর্ণ ঘুমিয়ে ছিল। আবার এদিকে লঙ্কায় রাম আক্রমণ ও করেছিল তাই রামের সাথে যুদ্ধ করবার জন্য কুম্ভকর্ণকে জাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তখনকার সেই চিত্রটি এখানে ধারণ করা হয়েছে।
এরপর চলে গেলাম আমরা মূল মন্ডপের সামনে যেখানে মা দুর্গার পূজা হচ্ছে। আলোকসজ্জা দিয়ে খুব সুন্দরভাবে সাজানো ছিল মায়ের মন্ডপ। এখানে কেউ প্রিয়জনের সাথে সেলফি তুলছে আবার কেউ নিজের সেলফি তুলছে কেউ মায়ের ছবি তুলছে যে যার মতন পূজার সময়টা কাটাচ্ছে। মা দুর্গার মুখের হাসি দেখে সত্যিই মন ভরে গেল শিল্পী খুব নিখুঁতভাবে প্রতিমা গুলো গড়েছে। আমার মনে হয় এই মৃৎশিল্পীদের মাঝে সৃষ্টিকর্তা আলাদা শক্তি দিয়েছে যার কারণে তাদের দুহাত দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর প্রতিমা তৈরি হয়ে থাকে।
ক্যামেরা পরিচিতি :oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:২১.১০.২০২৩
সময়:০৮.৫০ মিনিট
স্থান: শিকদার বাড়ি, বাংলাদেশ
আমরা মূল মন্দিরের সামনে অনেকটা সময় পার করি। এখানে বসবার জন্য আলাদা একটি জায়গা ছিল। কারণ কেউ যদি ঠাকুর দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে তাহলে এখানে সে একটু বিশ্রাম নিতে পারবে তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দিরের চারিপাশে খুব সিকিউরিটির নিয়ম কারণ ছিল কারণ এখানে আগে একটি হামলা হয়েছিল যার কারণে কিছু বছর শিকদার বাড়িতে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ কারণে দেখতে পেলাম চারি পাশে সিসি ক্যামেরা ছিল পুলিশের সমাগম ছিল প্রচুর।
বাংলাদেশের দুর্গাপূজা দেখে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার তোলা প্রতিমাগুলোর ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। আসলে মৃত শিল্পীরা খুবই সুন্দর ভাবে এবং নিখুঁতভাবে দুর্গার তৈরি করেছেন। যেটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।