'ভালোবাসি তোমাকে ' গল্পের ত্রয়োদশ পর্ব
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আমাদের মাঝে 'ভালোবাসি তোমাকে' গল্পের ত্রয়োদশ পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
অনেকদিন পরে দেখা জয়ের মনিকার সঙ্গে। জয় মনিকা কে দেখে খুবই আনন্দিত হয়। কিন্তু মনিকাকে সে এমন অবস্থায় দেখবে সে কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনি। আর মনিকা যে জয়কে এমন হঠাৎ করে দেখতে পাবে সেও কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনি। জয় মনিকা কে গাড়িতে ওঠার জন্য অনুরোধ করলো। জয় গাড়ির দরজাটি খুলে দিল আর মনিকা ভিতরে প্রবেশ করলো। জয় মনিকা কে বলল সে কেমন আছে? মনিকা তার প্রশ্নের উত্তরে জবাব দেয় সে খুব ভালো আছে। তখন জয় মনিকা কে বলে সে তো আমি দেখতেই পাচ্ছি তুমি কেমন আছো।
যাই হোক, একটা কথা আমাকে বলো। তুমি এখানে কি করছিলে রাস্তার পাশে বসে আর হাতে এগুলা কি কিসের ফাইল? মনিকা বলে জয় তুমি তো আমার ব্যাপারে সবটাই জানো। শুভর চাকরিটা হারিয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে তার চাকরির টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলছে। শুভর সুস্থ হতে আরো অনেক সময় লাগবে। তার জন্য আমি চাকরি খুঁজতে বের হয়েছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় কোথাও একটা চাকরি পেলাম না। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম তাই দোকান থেকে জল কিনে বসে বসে খাচ্ছিলাম আর তখনই তোমার সঙ্গে দেখা। জয় বলে তুমি তো আমাকে একটা বারও জানানোর প্রয়োজন করলে না। মনিকা বলে তোমাকে বলেই বা কি করতাম তুমি তো বিদেশে থাকো। জয় বলে যতই আমি বিদেশে থাকি না কেন তোমার সঙ্গে তো কথা না বলে থাকতে পারেনি।
আর আমি থাকতে তোমার কষ্ট করে রোদে রোদে ঘুরে চাকরি খুঁজতে হবে না। মনিকা বলে চাকরি যদি না খোঁজার চেষ্টা করি তাহলে চাকরিটা পাবো কি করে? আমি তোমাকে দিব যদি তুমি রাজি থাকো। মনিকা অবাক হয়ে যায় অবাক চোখে জয়ের দিকে তাকিয়ে জয়কে বলে তুমি চাকরি দিবে। জয় বলে হ্যাঁ আমি তোমাকে চাকরি দিব।এই বলে ড্রাইভারকে বলে তার বাবার অফিসে যেতে। সঙ্গে সঙ্গে জয় তার বাবাকে ফোন দেয় আর বলে তার একটি ফ্রেন্ডকে চাকরি দিতে হবে আর এখন। তার বাবাও জয়ের বিপক্ষে গেল না সঙ্গে সঙ্গে বলল আচ্ছা ঠিক আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বাবার অফিসে উপস্থিত হল। মনিকা শুধু অবাক চোখে দেখে যাচ্ছিল জয়কে। জয় তার বাবার রুমে যে বাবাকে মনিকার যাবতীয় কাগজপত্র গুলো দেখায়। তার বাবা মনিকার কাগজগুলো দেখে তাকে একটি বড় পোস্টে চাকরি দেয় আর সেলারী ও খুব ভালো ছিল।
মনিকা খুবই খুশি হয় আনন্দে সে ভাষাই খুঁজে পাচ্ছিলো না কিভাবে ধন্যবাদ জানাবে জয়কে। জয় মনিকার আনন্দ দেখে মনিকাকে বলে চলো আজ কোন এক রেস্টুরেন্টে। মনিকা বলে আজ নয় অন্য আরেকদিন। জয় বলে আজ নয় কেন? আজ তুমি চাকরি পেয়েছো আজ এই আনন্দের দিনে তুমি আর না করো না আর অনেকদিন পর তোমার সঙ্গে দেখা প্লিজ না করো না। মনিকা জয়কে বলে জয় তুমি বোঝার চেষ্টা করো অনেক লেট হয়ে যাবে বাড়িতে ফিরতে। শুভ বাড়িতে একা একা রয়েছে কি করছে না করছে কিছুই জানিনা। জয় বলে আচ্ছা ঠিক আছে। মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো জয়ের।সেটা তার মুখেই প্রকাশ পাচ্ছিলো। তখন মনিকা বলে আচ্ছা ঠিক আছে চলো।আজ এই আনন্দের দিনে আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। তুমি যদি আজ না থাকতে হয়তো এই চাকরিটা আমি পেতাম না।
অনেকদিন ধরে আপনি এই গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখলাম। আপনার এই গল্পটা আমি পড়েছি। আজকেও আরেকটি পর্ব পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ কিছু জানতে পারলাম।
এই গল্পের একটি পর্ব পড়েছিলাম আর সেখানে জেনেছিলাম শুভর অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল। শুভ রীতিমতো পঙ্গু হয়ে বাসায় বসে আছে আর এদিকে দেখা যাচ্ছে সংসার চালানোর জন্য মনিকা চাকরির সন্ধান করছে। মেয়েটি মনে তার স্বামী কে সত্যি অনেক ভালোবাসে। তবে এখনও তা বুঝা যাচ্ছে না, যেহেতু সেখানে অন্য একজন লোকের দেখা পাওয়া গিয়েছে। এবার মনে হচ্ছে গল্পের মোড় অন্যদিকে ঘুরে যেতে পারে। দেখা যাক কি হয়, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।