"মামার বাড়ি ঘুরতে যে মজার মুহূর্ত "
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন আজ আমি আপনাদের মাঝে মামার বাড়ি যেয়ে মজার মুহূর্ত গুলো আপনাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করছি ।আশা করি, সবার ভাল লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
একদিন মামি আমাকে হঠাৎ ফোন করে বলল তাদের বাড়িতে যেতে ।আমি মামীকে বললাম কেন আমি কিছু হয়েছে? মামী বলল না সামনে তো আমাবতীর অনুষ্ঠান তাই তোমার মামা বলছিল বাড়িতে অনুষ্ঠান করবে ।তুমিও যদি একটু আসতে পারতে তাহলে ভালই হতো সবাই মিলে মজা করা যেত। আমি মামীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলাম কারণ মামা বাড়ি কার না যেতে ইচ্ছা করে আর আমি মামা মামিকে খুবই ভালোবাসি। তারাও আমাকে খুব ভালবাসে মামার বাড়িতে যদি কোন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে তাহলে আমাকে বলবেই আর আমিও যে মামাকে সাহায্য করি।
যাইহোক সেদিন ছিল শুক্রবার হঠাৎ ফোনের রিংটোনে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ফোনের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম মামী ফোন করেছে সাথে সাথে ফোনটি রিসিভ করে মামীর সাথে কথা বললাম। মামি আমাকে সকাল সকাল যেতে বলল আমিও তাই দেরি না করে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবারটা খেয়ে সাথে সাথে রওনা হলাম মামা বাড়ির উদ্দেশ্যে। আমার বন্ধু পল্লব তাকেও সাথে করে নিয়ে গেলাম। কারন আমার একা একা কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না যদি দুজন হয় তাহলে খুব ভালোই হয় একা মানেই বোকা।
মামার বাড়ি অনেকটা দূরে বাইকে করে যেতে হলে এক থেকে দেড় ঘন্টার মতন সময় লাগে। আমি বাইকটি বের করে বন্ধুকে সাথে করে চলতে শুরু করলাম। মাঝপথে আমার গাড়ি তেল রিজাবে চলে এলো কিন্তু কোন প্রবলেম হলো না কারণ কাছাকাছি একটি তেলের পাম্প ছিল সেখান থেকে বাইকের তেল লোড করে আবার চলতে শুরু করলাম। আমার মামার বাড়ি গ্রামের দিকে গ্রামের পথে যখন চলছিলাম খুবই ভালো লাগছিল কারণ রাস্তার দুপাশে গাছপালা আটা মনে হচ্ছিল আমি যেন পাহাড়ি অঞ্চলে এসেছি।
তারিখ:২৩.০৬.২০২৩
সময়:১২:০৯মিনিট
অনেকদিন পর মামার বাড়িতে যাচ্ছি খালি হাতে গেলে কি ভালো দেখায় তাই ভাবলাম কিছু নিয়ে যেতে হবে। বন্ধুকে বললাম বলতো কি নিয়ে যায় ও কিছুই বলতে পারল না আরো আমার পরে সিদ্ধান্তটা চাপিয়ে দিলাম। আমি অনেক ভেবেচিন্তে ভাবলাম যেহেতু মামার বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান আছে সেহেতু টক দধি নিয়া যাক। যেই ভাবা সেই কাজ এক কিলোর মতন টক দধি নিয়ে মামার বাড়ির যে উপস্থিত হলাম। বাড়ির ভেতরে ঢুকেই মামীকে ডাক দিলাম মামী ঘর থেকে বেরিয়ে এলো তার হাতে দধির প্যাকেটটা দিয়ে দিলাম মামী আমাদেরকে বসতে বলল ।আমরা একটু বিশ্রাম নিয়ে মামীকে বললাম খাবার গোছাতে মামী খাবার বোঝাতে শুরু করল আমরা খেতে বসলাম। অনেক রকমের আইটেম করেছিল সেদিন মামি পাঙ্গাস মাছের ভুনা, দেশি মুরগির মাংস, হাঁসের মাংস, এবং সাথে দুধ, দধি,মিষ্টি, আম,কাঁঠাল আমি তো খেতে খেতে সোজা হয়ে গিয়েছিলাম । এত পরিমানে খেয়েছিলাম যে আমি জায়গা থেকে উঠতে পারছিলাম না আর মামীর হাতের রান্নাও খুব অসাধারণ হয় তাই লোভ সামলাতে পারলাম না।
তারিখ:২৩.০৬.২০২৩
সময়:১২.৫৬মিনিট
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আমার এক ভাই এসে বলল দাদা ফুটবল খেলতে যেতে হবে। আমিও কিছু না ভেবে সাথে সাথে বললাম চল যাই ফুটবল খেলতে। আমার বন্ধু তো খুব ভয় পেয়ে গেল কারণ এত পরিমানে খেয়েছি যে আমি নড়তে পারছিলাম না এখন যাচ্ছি খেলতে কোন সমস্যা না হয় তাই নিয়ে খুব টেনশন করছিল। আমি আমার সেই ভাইকে বললাম আমি তো জার্সি প্যান্ট আনি নাই কিভাবে খেলতে যাব। আমাকে বলল দাদা টেনশন করো না আমি আমার একটি গেঞ্জি ও প্যান্ট দিচ্ছে। আমি ভাইয়ের প্যান্ট গেঞ্জি পরে সবার সাথে মাঠে চলে গেলাম ফুটবল খেলতে।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল :oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য: 3.37mm
তারিখ:২৩.০৬.২০২৩
সময় :৫.৩৫ মিনিট
স্থান: মধ্যমগ্রাম।
মাঠে দৌড়াতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল কারণ সবেমাত্র খেয়ে এসেছি তারপরও চেষ্টা করছিলাম একটু দৌড়ে খেলার জন্য কারণ ফুটবল খেলাটা হচ্ছে দৌড়ে খেলা। ফুটবল খেলা এক ঘণ্টা ছিল আর এই এক ঘন্টার ভিতর আমরা বিপক্ষ টিমকে দুইটা গোল দিয়েছিলাম। অবশেষে আমরা জয়ী হয়েছিলাম আনন্দ করতে করতে আমি মামা বাড়ি এসে ফ্রেস হয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলাম ।কারণ আমার বাড়িও অনেকটা দূরে ছিল এ কারণে দ্রুততার সাথে রওনা করার চেষ্টা করলাম। তাও বের হতে হতে প্রায় সন্ধ্যা নেমে এলো। যাইহোক মামার বাড়ি ঘুরতে এসে খাওয়া দাওয়া এবং অবশেষে ফুটবল খেলতে পেরে খুবই ভালো লেগেছিল।
আপনাকে আপনার মামি ফোন দিলো,যাক ভালো। এখনকার সমাজে মামিদের সাথে ভালো সম্পর্ক নেই বললেই চলে। যাইহোক আপনার মায়ায় বেশ ভালো খাবারের আয়োজন করেছে। হাঁসের মাংস দিয়ে বেশ কিছু ভাত খাওয়া যাবে। যাই হোক মামার বাড়ি এসে খাওয়া দাওয়া হল এবং ফুটবল খেলাও হল।
মামার বাড়ি হচ্ছে মধুর হাড়ি সবার কাছে মামার বাড়ি এত প্রিয় মামী ফোন দেওয়াতে আপনি ছুটে গেলেন। বন্ধুকে নিয়ে গেলেন ভাল হলো। তবে খাবারের পরিবেশনা গুলো দেখেতো বেশ ভালো লেগেছে। অনেক লবণীয় খাবার ছিল খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন অনেক ধন্যবাদ।
আসলে মামী বাড়িতে যাওয়ার মুহূর্তটুকু নিঃসন্দেহে সকলের জন্যই আনন্দের হয়। যাহোক আপনার মামী বাড়িতে যাওয়ার সময় টক দধি নেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে মামির বাড়িতে খুবই সুস্বাদু খাবার খাওয়ার মুহূর্তটা নিঃসন্দেহে আপনার জন্য আরও বেশি আনন্দের এবং উপভোগ্যের ছিল। তবে খাওয়া দাওয়া শেষ করে এরকম ফুটবল খেলতে যাওয়াটা ঠিক নয়। এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। যাহোক মামি বাড়িতে যাওয়া এবং মামির বাড়িতে খাবার খাওয়ার সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।