বৃষ্টির দিনে হালকা ঘোরাঘুরি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ পোস্ট উপস্থাপন করছি।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
ঘুরতে গিয়েছিলাম সেদিন হঠাৎ করে। এখন বৃষ্টির মৌসুম চলছে তাই বৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। বিকালে যখন ঘুরতে বের হব তখনই বৃষ্টি হয়। তাই আর বিকালে ঘুরতে বের হওয়া সম্ভব হয় না। যেদিন বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেদিন দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর দাদা হঠাৎ করেই বলল বিকালে ঘুরতে যেতে হবে। ভাবলাম এখন তো হাতে অনেক সময় আছে তাই ফোনে মুভি দেখতে দেখতে আমি ঘুমিয়ে পড়ি হঠাৎ নিলয় দাদা এসে বলল রেডি হতে। ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম। বাংলাদেশ থেকে এক দাদা এসেছিল সেই দাদাকে সঙ্গে নিয়েই আমরা বাইরে বের হয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম দাদা হয়তো বাইরে চপ খেতে যাবে। কারণ দাদা মাঝেমধ্যে সন্ধ্যার দিকে চপ খেতে যায় আমিও সেটাই ভেবেছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম দাদা বলল গ্রামের দিকে ঘুরতে বের হবে। গ্রামের ঘুরতে যাওয়ার কথা বললে একটু টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম কারণ যেকোনো সময় বৃষ্টি হতে পারে।
অনেকটা সময়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে ঘুরলাম একটা জিনিস দেখে খুবই খারাপ লাগলো সেটা হল ছয় মাস আগে যেখানে সবুজ মাঠ দেখেছিলাম সেখানে আজ ইট পাথরের বিল্ডিং উঠেছে। এখন গ্রাম আর গ্রাম নাই গ্রাম এখন শহরে পরিণত হচ্ছে। গ্রামে যেখান থেকে টাটকা সবজি কিনতাম সেখানে আজ কল কারখানা শুরু হয়েছে। খুবই খারাপ লাগলো মানুষ আজ টাকার জন্য প্রকৃতিকে নষ্ট করে ফেলছে। যাই হোক বাড়ি আসার পথে রাস্তার পাশে একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পেলাম। আমরা সবাই সেই রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম এবং কিছু খাবার অর্ডার করলাম। ভিতরে তেমন একটি লোক কিন্তু ছিল না। ভেতরের পরিবেশটা আমার কাছে মোটামুটি ভালোই লেগেছিল। আমরা খাবার অর্ডার করেছিলাম চিকেন তান্দুরি, চিকেন পকোড়া, চিকেন সুপ আর চা অনেকক্ষণ বসে থাকার পর আমাদেরকে চা এবং চিকেন পকোড়া দিয়ে গেল।
এগুলো খাওয়ার পর পরের আইটেমের খাওয়ার জন্য বসে থাকলাম। আমি চা খেতে ভালোবাসি কিন্তু এই জায়গার চাটা আমার কাছে একদম ভালো লাগেনি কেমন জানি তিত তিত লেগেছে কেন জানিনা। যাই হোক 20 মিনিট পর আমাদের সেকেন্ড আইটেমগুলো চলে এলো। আমরা দুজনে চিকেন সুপ অর্ডার করেছিলাম এ কারণে আমাদের চিকেন সুপ আমাদের আগে চলে এলো আর সঙ্গে তান্দুরি। দাদা জন্য শুধু তান্দুরি চিকেনটা এলো। দাদা সুপের অর্ডারও করেছিল কিন্তু একটু আলাদা ছিল তার জন্য সেগুলো তৈরি করতে একটু লেট হয়ে গেছিল। আমাদের চিকেন সুচটা খুব দারুণ ছিল। কিন্তু চিকেন তান্দুরি ছিল ভিতরে একটু কাঁচা কাঁচা।
যাই হোক সেখান থেকে খাওয়া দাওয়া করে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আকাশে একটু মেঘ জমে ছিল।যে কোন সময় বৃষ্টি হতে পারতো।তাই আর দেরি না করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। বাড়ি যাওয়ার পথে বাড়ির জন্য কিছু কেনাকাটা ছিল তার জন্য দোকানে গেলাম দোকানে যেয়ে কিছু কেনাকাটা করলাম। এক লিটারের একটি কোলড্রিংস নিলাম কারণ রেস্টুরেন্টে কোলড্রিংস অর্ডার করতে মনে ছিল না। যার জন্য খাওয়া হয়নি তার জন্য দোকানে এসে কোলড্রিংস কিনে খেলাম আর তখন মনে হল খাবার খাওয়া পরিপূর্ণ হল। ভালো কিছু খাওয়ার পর যদি কোলড্রিংস না খাওয়া হয় তাহলে কিন্তু খাওয়ার পুণ্যতা পায় না।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ: ০২.০৮.২০২৪
সময়:০৬.৪৫মিনিট
স্থান: বারাসাত, কলকাতা
যাই হোক বৃষ্টির সময়ে যে এমন করে ঘুরতে পারব এবং খাওয়া দাওয়া করতে পারবো সেটা কল্পনাও করতে পারিনি। আবহাওয়াটা আমাদের সহায় ছিল যার কারণে কোন প্রবলেমে আমাদের পড়তে হয়নি।সবকিছু মিলিয়ে খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু রাতে বাড়িতে তেমন ভাত কিন্তু খেতে পারলাম না যার জন্য একটু বকা ও খেয়েছিলাম।
সত্যই গ্রাম এখন আর গ্রাম থাকছে না। ভরে যাচ্ছে ইট কাঠ পাথরের জঙ্গলে। তবে আপনি যে এত সুন্দর করে একটি দিন কাটালেন তা বড় ভালো লাগলো। এই ছিন্নপত্রের মতো দিনগুলি জীবনে অনেক দক্ষিণী হাওয়া নিয়ে আসে। আর চিকেন তন্দুরি ওভারে চা টি দেখে লোভ হচ্ছে। অসাধারণ কম্বিনেশন। বাকি সমস্ত খাবারও ভীষন সুস্বাদু বলেই মনে হচ্ছে।
বৃষ্টির দিন গুলো আসলেই অনেক সুন্দর হয়।পরিবেশ থাকে খুবই শীতল এবং মনোমুগ্ধকর।বৃষ্টির দিনগুলো আমার খুবই ভালো লাগে।বৃষ্টির দিনে বাহিরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা।
যে কোন চাষআবাদে চাষীরা কোনদিনই খুব একটা প্রফিট পায় না। সেজন্যই তারা চাষবাস ছেড়ে অন্য কিছু করতে শুরু করেছে। আর চাষের জমি গুলো গ্রামের দিকে প্রায় খালি পড়ে থাকে। আগে যেখানে সারা বছর কিছু না কিছু চাষ হতো এখন হয়তো কোন একটা সময় চাষ হয় বাকি সময় পড়ে থাকে। তো জমি কেন পড়ে থাকবে সেই ভেবেই অন্য কিছু তৈরি করে ভরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বা অন্য কোন ইনকামের পথ খুঁজে নেওয়া। তাছাড়া গ্রামের দিকে লোকজন এখন পড়াশোনা চাকরি-বাকরি বা অন্যান্য যে কোন কাজ করার জন্যই বাইরে চলে যাচ্ছে সেটাও একটা বড় কারণ চাষবাসের জন্য লোক না থাকার।
গ্রাম গুলো যেন আর সবুজ নেই । যাইহোক হঠাৎ করেই বৃষ্টির দিনে বেরিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করে বেশ জম্পেশ খাওয়া দাওয়া হয়েছে আপনাদের বুঝতেই পারছি। মাঝে মাঝে এরকম আউটিং খুব দরকার রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য।