"তুমি যে আমার আলো গল্প পর্ব:১"
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে 'তুমি যে আমার আলো'গল্পের প্রথম পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি,আপনাদের গল্পটি ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
একটি ছেলে একটি মেয়ে দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসতো। আমরা সবাই বলি ভালোবাসি কিন্তু ভালোবাসাটা যতটা সহজ তার থেকে কঠিন সেটাকে রক্ষা করা। ভালবাসতে গেলে কাজে লাগে বিশ্বাস। তারপরে আসে তার সুখে দুঃখে সব সময় তার পাশে থাকা। বেশিরভাগ সবাই বলে থাকি একটি ছেলের শূন্য পকেট দেখে যে মেয়েটি তাকে ভালোবেসে তার পাশে সারা জীবন থাকে সেই প্রকৃত ভালোবাসে। আসলে এটি কয়জনে করতে পারে শতকরায় এক থেকে দুইজন আর বাকি ৯৮ পারসেন্ট মানুষ সেটি পারেনা। বেশিরভাগই আমরা দেখে থাকি মেয়ে অথবা ছেলে উভয় যখন প্রেম ভালোবাসার মধ্যে থাকে তখন তারা পৃথিবীর সবথেকে ভালো দেখায় তাদেরকে পছন্দ করে থাকে। মেয়েরা দেখে যে ছেলেটি হ্যান্ডসাম যার একটি বাইক আছে এইসব ছেলেদের তারা পছন্দ করে থাকে আর ছেলেরা যেসব মেয়েদের সুন্দর দেখায় তাদের সাথে সম্পর্ক করে থাকে। কিন্তু একটা গরিব ছেলে অথবা মেয়েকে তারা ভালোবাসে না।
আসলে আমার গল্পের যেহেতু নাম দিয়েছি তুমি যে আমার আলো সে হেতো বুঝতেই পারছেন একজন ভালোবাসার মানুষ তার জীবনে আলো হয়ে এসেছে। কতটুকু ভালবাসলে একটি পথের মানুষকে রাজমহলে স্থান দিতে পারে। গল্পের প্রথম লাইনেই বলেছিলাম যে একটি ছেলে একটি মেয়ে দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসতো। মেয়েটি কোটিপতি বাবার একমাত্র মেয়ে আর ছেলেটি ছিল বাবা-মা হারানো এতিম ছেলে। ছেলেটি যখন সাত বছর বয়স তখন তার মা মারা যায়।যখন ১৮ বছর বয়স তার বাবা-মার যায়। ছেলেটির বাবার ইচ্ছা ছিলো তার ছেলেটি পাইলট হবে। কিন্তু ক্যান্সারের কারণে তার সেই স্বপ্নটা আর পূরণ হলো না। বাবা মাকে হারিয়ে ছেলেটি এতিম হয়ে পড়ে আত্মীয়-স্বজন তেমন ছিলো না। যখন তার বাবা মারা গিয়েছিল তার দূর সম্পর্কের এক মামা তাকে একটি গ্যারেজে কাজে ঢুকিয়ে দেয়। ছেলেটির মেধা খুবই ভালো ছিলো তাই সে কাজের ফাঁকে ফাঁকে কলেজ করত আর কলেজ থেকে ফিরে এসে আবার কাজ করতো আর রাত্রে পড়াশোনা করত। ছেলেটি এতটাই গরিব ছিলো তিনটা মাত্র জামা ইউজ করতো। বেশি ভাগ সময় একই পোশাক পড়ে কলেজে যেত যেটি সবাই একটু অন্য চোখেই দেখতো। ছেলেটির শরীর থেকে প্রচন্ড ঘামের গন্ধ বের হতো তাই সে ক্লাসে সবার পেছনে বস্তু। সবাই যখন ক্যাম্পাসে খেতে যেত তখন ছেলেটি বাড়ি থেকে আনা দুটো রুটি খেতো। এসব বিষয় সেই মেয়েটি সব সময় খেয়াল করত। ছেলেটি কখন কি করছে না করছে সবকিছু মেয়েটি দেখতো। দেখতে দেখতে মেয়েটি ছেলেটির প্রতি একটু দুর্বল হয়ে পড়ল। কারণ কেন বলছি যখন ছেলেটিকে নিয়ে সবাই ক্লাসে হাসাহাসি করত তখন সেই মেয়েটি সবাইকে ধমক দিতো। আর এটি তখনই হয় যখন কারো প্রতি আমরা দুর্বল হয়ে পড়ি তখন তার নামে কোন বাজে কথা আমরা শুনতে পারি না।
ছেলেটা তার বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছিল এটা শুনে সত্যি খুবই খারাপ লেগেছে। একটা গ্যারেজে চাকরি করতো সে, আর তার পাশাপাশি সে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিল শুনে ভালো লাগলো। যেহেতু তার কাছে মাত্র তিনটা জামা ছিল তাই সে একই জামা গুলো সব সময় পড়ে। আর এর কারনে সবাই তাকে অনেক ধরনের কথা বলতে এবং কি তার সম্পর্কে অনেক রকমের সমালোচনা করত। ওই মেয়েটা তো দেখছি তার জন্য অনেক বেশি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাইতো কেউ কিছু বললেই সে তাদেরকে ধমক দিত। এখন দেখা যাক এই গল্পের পরবর্তী পর্বে কি হয়।
ঠিক বলেছেন আপনি ভালোবাসার মধ্যে কখন কার কোন দিকে মন চলে যায় সেটা কেউই বুঝতে পারে না। কখনো শূন্য পকেটে ভালোবাসা হয় আবার কখনো সেটাও হয় না। কিন্তু আপনি একটি ছেলে ও একটি মেয়ের গল্পের কিছু অংশ শেয়ার করেছেন সেটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। বিশেষ করে ছোটবেলায় ছেলেটার মা-বাবা মারা গিয়েছে। সেটা জেনে অনেক খারাপ লাগলো। তাছাড়া ছেলেদের আত্মীয়-স্বজন ও খুবই কম ছিল কিন্তু তার এক মামা তাকে একটি কাজে দিয়ে দিলেন। কিন্তু ছেলেটি কাজ করলেও পড়াশোনায় ভালো ছিল তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে কলেজে যেত এবং রাতে পড়াশোনা করত। কিন্তু এটা ঠিক বলেছেন একজন মানুষ তখনই তার উপর দুর্বল হয়ে পড়ে যখন অন্য কেউ তাকে নিয়ে সমালোচনা করে তখন যদি সে তার ওই কথাগুলো সহ্য করতে পারে না তখনই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আসলেই খুব কম রয়েছে। অনেকে রূপ দেখে প্রেমে পড়ে আবার অনেকেই টাকা দেখে। একটা ছেলে যদি গরীব হয় অথবা মেয়ে যদি গরিব হয়, তাহলে তাকে কেউ ভালোবাসে না এবং ভালোবাসতে চায়ও না। ভালোবাসা সত্যি বড়ই অদ্ভুত। মেয়েটা অনেক বেশি বড়লোক পরিবারের মেয়ে হলেও, ওই ছেলেটাকে সে ভালোবেসে ফেলেছিল। যদিও ছেলেটা এরকম কিছু ধারণাও করতে পারিনি এখনো। এখন দেখা যাক তাদের ভালোবাসার সম্পর্কটা হয় কিনা।
ছেলে এবং মেয়েদের পছন্দের ব্যাপারটা আলাদা আলাদা। এক একজনের এক এক রকমের ডিমান্ড থাকে প্রেমের ক্ষেত্রে, ভালোবাসার ক্ষেত্রে। যাই হোক, তোমার গল্পের নায়ক সম্রাটের জীবন নিয়ে বেশ কিছুটা জানলাম, যে স্কুলে তার বন্ধুরা তার সাথে কি রকম খারাপ ব্যবহার করত। তাছাড়া অল্প বয়সে তার বাবা-মা মরে যাওয়ার জন্য তাকে গ্যারেজে কাজের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। তারপরে আবার এটাও জানলাম এখানে, এই গল্পের নায়িকা রানী, সম্রাটের প্রতি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে যখন তার বন্ধুরা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে তখন। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
আসলে দাদা বর্তমান যুগে প্রকৃত ভালোবাসা নেই বললেই চলে। তাইতো মেয়েরা খোঁজে বড়লোক এবং সুদর্শন ছেলে,আর ছেলেরা খোঁজে সুন্দরী মেয়ে। আসলে এগুলোকে ভালোবাসা বলে না,বরং এগুলো হচ্ছে টাইম পাস। যাইহোক সম্রাটের জন্য ভীষণ খারাপ লাগলো। আসলে এতিমের কষ্টের কোনো শেষ নেই। তবে রাণী এতো খেয়াল রাখে সম্রাটের, এই ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে। গল্পটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।