'ভালোবাসি তোমাকে ' গল্পের দ্বাদশ পর্ব
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আমাদের মাঝে 'ভালোবাসি তোমাকে' গল্পের দ্বাদশ পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
শুভ ঘরের ভিতরে ভিতরে জীবনে কাটাতে শুরু করে। একদিন সে বারান্দায় বসে প্রকৃতিকে উপভোগ করছিল। মনিকা মনিকার কাজ করছিল। হঠাৎ শুভর ফোনে ফোন এলো। ফোনটি এসেছিল শুভর অফিস থেকে। শুভর অফিসের বস তাকে বলে তাকে আর তাদের কোম্পানিতে রাখতে পারছে না। তার জন্য অনেকগুলো প্রজেক্ট লস হয়েছে তার জন্য বাধ্যতামূলক চাকরি ছাড়ার কথা বলেন। শুভ অনেক রিকোয়েস্ট করে কিন্তু তার স্যার কোন কথাই মানতে রাজি না। বস থেকে বলে তোমার সুস্থ হতে আরো অনেক সময় লাগবে এই সময়ের মধ্যে আমি তো আর লস করতে পারিনা। তাই তোমার এখানে আমি অর্পাকে সুযোগ করে দিয়েছি। আশা করি,শুভ তুমি ভালোভাবে বুঝতে পারছ সবকিছু তাই আমাকে রিকোয়েস্ট করো না। এই বলে তার বস ফোনটি কেটে দেয়। শুভ ফোনটি রেখে ভাবতে থাকে যে কোম্পানির জন্য সারাটা রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করেছি আজ আমার বিপদে সেই কোম্পানি আমাকে দূরে সরিয়ে দিলো।
মনিকা আসে শুভকে ওষুধ খাওয়ানোর জন্য। এসে দেখে শুভর দু চোখ ছল ছল করছে। মনিকা জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে আপনার? কার ফোন ছিল? শুভ বলে আমার অফিসের। মনিকা বলে তার জন্য আপনার মন খারাপ উনি কি বলেছে? শুভ বলে কোম্পানি থেকে আমাকে রিজেক্ট করে দিয়েছে। আমার জন্য কোম্পানির অনেক ক্ষতি হয়েছে তারা আর ক্ষতিপূরণ দিয়ে পারছে না।তার জন্য আমার জায়গায় নতুন একজনকে বসিয়েছে। মনিকা বলে এটা কেমন কথা আপনি এই কোম্পানির জন্য কত কষ্ট করেছ আর আপনার বিপদে তারা এইটুকু মানবতা দেখাবে না। শুভ বলে এমনটাই হয়,সব ঠিক হয়ে যাবে শুধু একটু সময়ের অপেক্ষা। মনিকা বলে আমি একটা কথা বলবো আপনাকে? শুভ বলে নির্বিধায় বলতে পারো। মনিকা বলে অনেকটা দিন তো হয়ে গেল আপনি অসুস্থ। আপনার চাকরির জমিয়ে রাখা টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলছে। এমন ভাবে চললে পরবর্তীতে আমাদের চলতে প্রবলেম হবে। শুভ বলে মনিকা তুমি কি বলতে চাচ্ছ একটু খুলে বলো আমি বুঝতে পারছি না? মনিকা বলে আমি যদি চাকরি করি তাহলে প্রবলেমটা একটু কমবে আর আপনার জমিয়ে রাখা টাকা ও থাকবে।
শুভ বলে মনিকা তুমি কি পাগল হয়ে গেছো। তুমি আমার ঘরের বউ আর তুমি কিনা বাইরে চাকরি করতে যাবে। আমার জমিয়ে রাখা টাকা তুমি সংসারে খরচ করো আমি তো সুস্থ হয়ে যাব তখন কোন একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করতে পারব। তাই বলে তুমি বাইরে যে কাজ করে টাকা ইনকাম করবা এটা হয় না। মনিকা বলে কেন হবে না আমিও তো শিক্ষিত মেয়ে আমারও তো অধিকার আছে নিজে কিছু করার। আমি তো ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনাকে বললাম আপনি সুস্থ হয়ে গেলে আমি তো আর তখন করবো না চাকরি। আপনি প্লিজ না করেন না আমাকে অনুমতি দেন। মনিকার রিকোয়েস্টে শুভ আর না করতে পারে না কারণ সেও জানে তার সুস্থ হতে অনেকটা সময় লাগবে। মনিকা খুবই খুশি হয়। কিন্তু শুভ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় সে চিন্তা করতে থাকে মনিকা হয়তো এই সুযোগটা খুঁজছিল আমার থেকে দূরে যাওয়ার। কারণ শুভ জেনে গেছে মনিকার অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
মনিকা পরের দিন সকালে বাড়ির সব কাজকাম সেরে। শুভকে ঘুম থেকে উঠিয়ে তাকে ঔষধ খাইয়ে বেরিয়ে পড়ে চাকরি খোঁজার জন্য। মনিকা সারা শহরে চাকরি খুঁজতে থাকে কিন্তু কোথাও একটি চাকরি সে পায় না। সে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে রাস্তার একটি চায়ের দোকান থেকে এক বোতল জল কিনে রাস্তার পাশে বসে পান করতে থাকে। ঠিক তখন তার সামনে একটি গাড়ি থামে। মনিকার সামনে গাড়িতে খামার সঙ্গে সঙ্গে সে তাকিয়ে পড়ে গাড়ির দিকে। গাড়ির গ্লাসটি নামাতেই মনিকা দেখে তার সেই বন্ধু জয়। জয়কে দেখে মনিকা অবাক হয়ে যায় কারণ সে কল্পনাও করতে পারিনি এমনভাবে জয়ের সঙ্গে তার দেখা হয়ে যাবে। এখানে একটা কথা বলে রাখি আসলে মনিকা যার সঙ্গে কথা বলতো সে ব্যক্তিটির নাম ছিল জয়। জয় তার স্কুল বন্ধু। জয় এই শহরের মস্ত বড় ধনীর পরিবারের সন্তান। সে বিদেশে থাকতো আজ দেশে ফিরেছে। জয় হঠাৎ করে দেখে রাস্তার পাশে একটি মহিলা বসে আছে তাকে খুব চেনা পরিচিত লাগছিল। তাই সে গাড়িটি থামায় আর সেও দেখে বসে থাকা মানুষটি তার বন্ধু মনিকা।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!