"ক্রিকেট খেলার অনুভূতি"
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার ক্রিকেট খেলার অনুভূতি তুলে ধরছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
তারিখ:০৩.০৬.২০২৩
সময়:৫.১১ মিনিট
খেলাধুলা করতে কার না ভালো লাগে সবার ভালো লাগে। আমারও খেলাধুলা করতে খুব ভালো লাগে। খেলাধুলা করলে শরীর মন সবকিছুই ভালো থাকে। আমার সব থেকে প্রিয় খেলা ক্রিকেট আর ফুটবল কিন্তু ফুটবল খেলাটা আমার কাছে অতটাও প্রিয় না যতটা না ক্রিকেট। এই ক্রিকেট খেলার জন্য আমি ছোটবেলায় স্কুল ফাঁকি দিয়ে মাঠে ক্রিকেট খেলতাম। এর জন্য স্কুলের স্যারদের কাছে বকা খেতাম মায়ের কাছে বকা খেতাম। কিন্তু তারপরেও আমার এই নেশাটা যেন আজও যায়নি।
তারিখ:০৩.০৬.২০২৩
সময়:৫.২৯ মিনিট
আমাদের এলাকায় ছোট্ট একটি মাঠ আছে। সেই মাঠে বিকাল হলে ছেলেরা খেলাধুলা করে থাকে আমি যখন ওদের কাছে যাই তখন ওরা আমাকে বলে দাদা আসো খেলতে। কিন্তু ইচ্ছা করলেও খেলতে যেতে পারতাম না। কারণ আমার বয়সি কোন ছেলে এখন আর তেমন খেলাধুলা করে না তাই আমিও আর ওদের সাথে খেলতে যেতে পারতাম না। হঠাৎ একদিন খুব ইচ্ছা করছিল একটু ক্রিকেট খেলতে আমার কিছু দাদারা আর বন্ধুরা দেখি আজ মাঠে তারা ক্রিকেট খেলতে এসেছে। তাই আমিও ভাবলাম আজ একটু ক্রিকেট খেলাই যাক যেই ভাবা সেই কাজ সাথে সাথে নেমে পড়লাম ক্রিকেট খেলার জন্য মাঠে।
তারিখ:০৩.০৬.২০২৩
সময়:৫.৫৫ মিনিট
ছোটবেলায় যেমন আমরা নাম ডেকে ডেকে ভাগ করতাম দু দলে ঠিক এখনো তাই করে আমাদের জুনিয়র ভাইয়েরা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এটি দেখে আমার পুরনো দিনের কথাগুলো খুব মনে পড়ে যাচ্ছিল। আমি অনেক ছোটবেলা থেকে বড়দের সাথে ক্রিকেট খেলে আসছি কারণ আমার ক্রিকেটের প্রতি একটা ভালোবাসা ছিল এবং আমি ভালো খেলতে পারতাম। এইজন্য বড়রা আমাকে তাদের দলে নিয়ে নিয়েছিল।
যাইহোক ছোট ভাইদের সাথে অনেকদিন পর ক্রিকেট খেলতে পেরে খুবই ভালো লাগলো আর খেলাধুলার ফাঁকে ফাঁকে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম কারণ আমার ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালো লাগে।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল :oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য :3.37mm
তারিখ:০৩.০৬.২০২৩
সময়:৬.৩৬ মিনিট
স্থান: কৈলাস নগর।
সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা খেলাধুলা করলাম। খেলাধুলা শেষ করে আমি সবাইকে ডাক দিয়ে সবাই উদ্দেশ্যে কিছু কথা বললাম। আমাকে সবাই সম্মান করে তাই ডাক দিতেই ওরা সবাই আমার কাছে চলে এলো আমি ওদেরকে বললাম। আমরা যখন খেলাধুলা করতাম তখন মাঠে প্রচুর ছেলেরা আসতো সবাই খেলাধুলা করতে ভালোবাসতো।কিন্তু বর্তমান স্মার্টফোন আসার পর থেকে আমাদের খেলাধুলার প্রতি যে ভালোবাসাটা ছিল সেটি হারিয়ে গিয়েছে। আজ যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে চলে গিয়েছে। আমি স্মার্টফোনের অপব্যবহার করছি না এটি আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এটি আমাদের কাছ থেকে আমাদের শৈশব কে কেড়ে নিয়েছে।
ক্রিকেট খেলা আমার ছোট বেলায় থেকে প্রিয়। যখন আমরা খেলতাম তখন কোন খেলার ভালো ব্যাট ছিলো না। পরে আমরা ছোটবেলায় বন্ধুরা মিলে কাঠের ব্যাট তৈরি করে ক্রিকেট খেলতাম। ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। আর ছোট বেলায় ক্রিকেট খেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমানে স্মার্টফোনের ব্যবহারের ফলে বর্তমান সময়ের ছেলেরা খেলার প্রতি তেমন আর আসক্ত হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের সময় খেলার মাঠে খেলোয়ারদের জায়গা দেওয়া যেত না। ক্রিকেট খেলার সম্পর্কে আপনার অনুভূতির কথাগুলো খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।