পুরী জগন্নাথ মন্দিরে ভ্রমণ পর্ব:১
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে পুরী জগন্নাথ মন্দিরে ভ্রমণ প্রথম পর্বটি উপস্থাপন করছি ।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
অনেকদিন আগে পরিবারের সবাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সবাই মিলে পুরী জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়া হবে। আমি কোনদিন পুরী জগন্নাথ মন্দিরে আগে পরে যায়নি আমার প্রথম যাওয়া। জগন্নাথ মন্দিরের অনেক কথাই শুনেছি বইয়ের পড়েছি আর বর্তমান অনলাইনের যুগ সবকিছু ইন্টারনেটে দেখা যায়। তাই একটু আগে থেকেই জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে ইন্টারনেট থেকে একটু দেখে নিলাম। যাতে ওখানে গেলে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। কারণ প্রথম যাওয়া ছিলো তাই সবকিছুই অপরিচিত একটু সমস্যা হতেই পারে কারণ অপরিচিত জায়গা। কারণ এটাই স্বাভাবিক আমরা যদি অপরিচিত জায়গায় যে থাকি তাহলে আমাদের একটু হলেও সমস্যা হয়ে থাকে। কারণ সেই পরিবেশের সাথে আমরা কখনোই অভ্যস্ত না নতুন পরিবেশের সাথে মিশতে গেলে কিছুটা সময় অবশ্যই লাগে। আমার একটু ভয় ছিলো কারণ কলকাতার আবহাওয়া আর পুরীতে আবহাওয়া একটু হলেও আলাদা। পুরীতে যে অসুস্থ হয়ে পড়লে ভ্রমণ করা সবকিছু নষ্ট হয়ে যাবে।
আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন খুব শীত ছিলো। পুরী জগন্নাথ মন্দির সমুদ্রের কাছেই অবস্থিত আর সমুদ্রে গেলে অবশ্যই ঠান্ডা লাগবে। সমুদ্রের যেকোনো সময় আবহাওয়া চেঞ্জ হয়ে থাকে। এ কারণে বলা যায় না আবহাওয়া কমন পরিস্থিতি মধ্যে থাকবে। তাই দিদি বলো কিছু গরম জামা কিনে নিতে আর শপিং করতে। আমার এমনিতেই ঠাণ্ডা খুব কম। এই কারনে দিদিকে বলি যে শপিং করা লাগবে না। কিন্তু দিদি জোর করাতে আমি আর নাও বলতে পারলাম না কারণ দিদি বলছিলো যে পুরীতে আবহাওয়া চেঞ্জ হতে থাকে ওখানে খুবই ঠান্ডা পড়বে। আমিও দিদির কথার অমতে গেলাম না।
পুরীতে যাবার চারদিন আগে মার্কেট করলাম। আমরা বেশিরভাগ মার্কেট করে থাকি স্টার মল থেকে। বলতে গেলে বাড়ির কাছেই বলা যায় পায়ে হেঁটে ও যাওয়া যায় পায়ে হেঁটে স্টার মলে যেতে 10 মিনিটের মতো সময় লাগে। ঘরে যাবতীয় মালামাল এখান থেকেই বেশি নেওয়া হয়ে থাকে। আজ আমরা গিয়েছিলাম বাজার কলকাতাতে। প্রথমে যে কিছুই পছন্দ হচ্ছিল না অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরির পর নিজের জন্য দুইটি জ্যাকেট কিনলাম। আর দুটি টি শার্ট কিনলাম। শীতের সময় শরীর খুবই শুষ্ক হয়ে যায় এজন্য কিছু লোশন, মুখের ক্রিম,ফেসওয়াশ কিনলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১০.০১.২০২৪
সময়:০৯.১০মিনিট
স্থান: কলকাতা।
এগুলো কিনতে কিনতে মার্কেটে প্রায় দু ঘন্টার মতন সময় কাটিয়ে ফেললাম। বাড়ি থেকে যে সিদ্ধান্ত করে যেয়ে ছিলাম মার্কেট থেকে এইটা কিনব এটা কিনব।কিন্তু মার্কেটে যাওয়ার পর সবকিছু যেন এলোমেলো হয়ে যায়। এত মাল জিনিস এখানে চোখের সামনে দেখে যে কোনটা থেকে কোনটা নেব সবকিছুই যেন ভালো লাগতে শুরু করলো। ইচ্ছা করছিলো তখন সবকিছু একসঙ্গে কিনে নিয়ে যেতে কিন্তু উপায় নেই টাকার দিকেও তো তাকাতে হবে 😀😀😀😀। সামান্য এগুলোই কিনেছিলাম তাই প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা হয়ে গিয়েছিলো। বিল দেওয়ার সময় আমার মাথা ঘুরে গিয়েছিলো কারণ এত টাকা কখন খরচ করে ফেললাম🙆🙆। যাইহোক বাড়িতে আসার পর প্যাকেট খুলে আবারো দেখলাম কেমন লাগে আমাকে আর সে গুলো একটু পরে নিজের কিছু সেলফি ও তুললাম। মার্কেট শেষ হওয়ার পরে বাড়ি আসার পর আমার যেন কিছুতে আর বাড়িতে মন বসছিল না। মাথার ভেতর একটাই বিষয়ে সব সময় ঘুরপাক খাচ্ছিল কবে কখন পুরীতে যাব আর জগন্নাথ দেবের মুখ দেখতে পাবে।
জগন্নাথ মন্দিরে ঘুরতে যাওয়ার সময় আপনার যেন কোন সমস্যা না হয় এই জন্য আপনি ইন্টারনেট থেকে আগে থেকেই এটা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ছিলেন এবং আপনারা যখন ঘুরতে গিয়েছিলেন তখন একটু ঠান্ডা আবহাওয়া ছিল যার জন্য আপনি শপিং থেকে দুইটা শার্ট ক্রয় করলেন এবং জগন্নাথ মন্দিরের অনেক সুন্দর সময় কাটালেন সব মিলিয়ে দারুন একটা অভিজ্ঞতা ছিল।
ধন্যবাদ দাদা
আসলে আমার অনেক দিনের শখ এই জগন্নাথ মন্দির ঘুরে দেখার। কাজের কারণে হয়তো আমি সময় করে উঠতে পারছি না। এছাড়াও আমরা যখন মার্কেটিং এ যাই এখন তখন জিনিসপত্র দেখে আমাদেরও টাকার কথা মনে থাকেনা। মনে হয় যে সবকিছুই কিনে নি। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দাদা
আসলেই যেকোনো অপরিচিত জায়গায় যাওয়ার আগে, অনলাইনের মাধ্যমে ধারণা নেওয়া উচিত। এতে করে অনেক সুবিধা হয়। আমিও এমনটা সবসময়ই করে থাকি। যাইহোক পুরী জগন্নাথ মন্দির ভ্রমণ করার আগে বেশ ভালোই শপিং করেছেন। মার্কেটে গিয়ে কোনো কিছু পছন্দ করাটা একটু কঠিন। কারণ এতো কিছু একসাথে দেখলে কোনটা রেখে কোনটা কিনবো, সেটা সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে আমি নিজে কখনো যাইনি, তবে যাওয়ার অনেক ইচ্ছা রয়েছে। যাইহোক, তুমি যে এই মন্দিরে যাওয়ার আগে সেখানকার সবকিছু ভালো করে ইউটিউবে দেখে নিয়েছিলে, এটা কিন্তু খুব ভালো ব্যাপার। কারণ অনেক সময় অপরিচিত জায়গায় গেলে প্রতারণার শিকার হতে হয়। তাছাড়া জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে অনেক কিছু কেনাকাটাও করেছিলে যা দেখছি ভাই।