'ভালোবাসি তোমাকে ' গল্পের প্রথম পর্ব
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমি আমাদের মাঝে ভালোবাসি তোমাকে গল্পের প্রথম পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
ভালোবাসি শব্দটি খুব ছোট একটা শব্দ কিন্তু এই শব্দটির গুরুত্ব কতজনে বা দিতে পারে। পৃথিবীর ১০০ ভাগের ৯৫ ভাগ মানুষ এই ভালোবাসার গুরুত্ব দিতে পারেনা। কথায় আছে দারিদ্র আর অভাব যখন লেগেই থাকে ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। তাহলে ভালোবাসা কি টাকায় হয়? ধন-সম্পদ হয়? আমি মনে করি, না ভালোবাসাটা হচ্ছে একজনের প্রতি মায়া। যদি কারো প্রতি মায়া কাজ করে। তার খুনসুটি গুলো ভালো লাগা কাজ করে।তাহলে তখনই মানুষ তার ভালোবাসার জালে আবদ্ধ হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন কবি, জ্ঞানীগুণী ভালবাসার প্রতি তাদের নিজ নিজ বক্তব্য দিয়ে গেছেন। ভালোবাসাটা একেকজনের কাছে এক এক রকম হয়ে থাকে। ভালোবাসার ব্যাখ্যা সঠিক ভাবে আজ পর্যন্ত কেউই দিতে পারেনি। কারো প্রতি ভালোবাসা বলে কহে আসে না আর যখন আসে তখন তাকে আঁকড়ে ধরতে হয়। এক বুক সমুদ্র দিয়ে তাকে ভালবাসতে হয়।
শুভ এবং মনিকার তাদের দুজনের পরিবার থেকেই বিবাহের সম্বন্ধ করা হয়। শুভ হচ্ছে প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। শুভ ছুটিতে বাড়িতে আসলে বিবাহ ঠিক করা হয় সে বিবাহের সম্পর্কে কিছুই জানতো না। বাড়িতে আসার পর জানতে পারে তার বিবাহের কথা চলছে। এদিকে মনিকা পড়াশোনা করে তার কলেজ ছুটিতে সে বাড়িতে আসে। সেও বাড়িতে আসার পর জানতে পারে তার পরিবার থেকে তার জন্য ছেলে দেখা হচ্ছে। সে এই বিবাহের বাধা দেয় কিন্তু কোন লাভ হয় না। তার পরিবার তাকে বোঝায় ছেলে ভালো তুমি বিবাহের পরেও পড়াশোনা করতে পারবে ।ছেলের পরিবার জানিয়েছে বিবাহের পরেও তোমাকে পড়তে সুযোগ দিবে। পরিবারের চাপের কারণে মনিকা এ বিবাহ করতে রাজি হয়।
কিছুদিন পর শুভ এবং মনিকার দুজনের বিয়ে হয় তারা কেউ কাউকেই চেনে না দুজনেরই অপরিচিত মুখ। বাসর রাতে মনিকা শুভকে জানায়। আমি আপনাকে চিনি না জানি না। পরিবারের চাপের কারণে আমি আপনাকে বিবাহ করেছি।আপনার প্রতি আমার কোন ফিলিংস এবং ভালোবাসা নেই। আপনি যদি আমাকে কোন বিষয়ে জোর করেন হিতে বিপরীত হবে আমাকে একটু সময় দিন। শুভ মনিকাকে বলে বলে আমিও আপনাকে চিনি না জানি না আপনাকে প্রথম দেখছি।আমি সবটাই বুঝতে পারছি। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি যতদিন পর্যন্ত আপনি আমাকে অধিকার না দেবেন ততদিন পর্যন্ত আমি আপনার সাথে কোন কিছুতে জোর করব না। কিন্তু আপনি আমাকে কথা দিন আপনি এমন কোন কাজ করবেন না সেটা আমার এবং আপনার পরিবারের সম্মান নষ্ট হয়। মনিকা কথা দেয় যে সে এমন কোন কাজ করবে না যে দু পরিবারের সম্মান নষ্ট হয়।
মনিকা সে রাতে খাটে ঘুমিয়েছিল আর শুভ নিচে ফ্লোরে ঘুমিয়ে ছিল। সকাল হতেই মনিকা রান্না করে চলে যায় রান্নাঘরে তার শাশুড়িকে সাহায্য করতে। কিন্তু তার শাশুড়ি তাকে কোন কাজ করতে দেয় না। শাশুড়ি তাকে বলে যে তুমি নতুন বউ তোমাকে দিয়ে কাজ করালে লোকে কি বলবে তোমাকে কিছুই করতে হবে না তুমি শুধু দাঁড়িয়ে দেখো আমি কি করছি। আর একটা কাজ করো সবার জন্য চা তৈরি করে নিয়ে যাও। শুভ ঘুম থেকে উঠে চা খেতে পছন্দ করে। মনিকা শুভর চা তৈরি করে নিয়ে যায়। রুম খুলতেই দেখে শুভ বিছানায় শুয়ে আছে।সে একটু অবাক হয়ে যায় কারণ সে যখন রুম থেকে গিয়েছিল।তখন শুভ ফ্লোরে ঘুমিয়ে ছিল কিন্তু এখন সে দেখতে পায় সে বিছানায় শুয়ে আছে। শুভ মনিকাকে বলে অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ তোমার আর আমার মাঝে যা কথা হয়েছে সেটা তুমি আর আমি জানি বাইরের কেউ জানে না বাইরের সবাই জানে তুমি আর আমি স্বামী স্ত্রী। তুমি রুম থেকে চলে যাওয়ার পর যদি কেউ এসে দেখতো আমি নিচে ঘুমিয়ে আছি তাহলে তারা খারাপ চিন্তা ভাবনা করত। কিন্তু আমি চাইনা যে আমি বেঁচে থাকতে তোমাকে কেউ ভুল বুঝুক। কথাগুলো শুনে মনিকার খুব ভালো লাগে কিন্তু সে মুখে প্রকাশ করে না। সে শুভর হাতে চাটি দিয়ে সে আবারো রান্না ঘরে চলে যায় তার শাশুড়িকে রান্নায় সাহায্য করতে।
আপনার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে বর্তমান সবাই দেখে শোনেই বিয়ে করে। যেহেতু শুভ ও মনিকা দুজনের আগে কোন পরিচয় নেই তাই হয়তো তাদের বুঝতে একটু সময় লাগবে। যাইহোক তারা মনে হয় প্রথমেই দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলেছে।দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।ধন্যবাদ আপনাকে