সয়াবিনের কারি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আমার তৈরি রেসিপিটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
বেশ কিছু দিন ধরে ভাবছি নতুন কোন রেসিপি তৈরি করব। কিন্তু কিছুতেই সময় করে উঠতে পারছিলাম না। একদিন সেই সময়টি চলে এল। বাড়িতে কেউ ছিল না আমি একাই ছিলাম। মা বাবা দিদিদের বাড়িতে গিয়েছে তাই বাড়িতে আমি একাই আছি। পরিবারে মা থাকলে রান্নার কোন চিন্তা কিন্তু থাকেই না। মা চলে যাওয়ার কারণে আমার উপরে একটু চাপ এসে পরল। কারণ এখন সম্পূর্ণ সংসারের দায়িত্ব আমার। ঘর ঝাড়ু দিতে হবে রান্না করতে হবে। যেহেতু অনেকদিন ধরে ভেবেছিলাম একটি রেসিপি তৈরি করব। তাই ভাবলাম আজ না হয় সেই রেসিপিটা তৈরি করা যাক।। যেই ভাবা সেই কাজ সঙ্গে সঙ্গে লেগে পড়লাম রেসিপি তৈরির কাজে। অল্প সময়ের ভেতর চট করে তৈরি করে ফেললাম সয়াবিনের কারি রেসিপিটি। অল্প খরচ এবং অল্প সময়ের ভেতর সুস্বাদু একটি খাবার। সয়াবিন আমরা অনেকভাবে রান্না করে খেয়ে থাকি। কিন্তু আমি যে রেসিপিটি তৈরি করেছি একটু ভিন্ন আর খেতেও কিন্তু কষা মাংসের মত লেগেছিল। লাল লাল কালারে জিভে যেন জল এসে যাওয়ার মতন। খেতে যেমন সুস্বাদু লেগেছিল তেমন শরীরের দিকে থেকেও পুষ্টির গুনাগুন টাও ততটাই ছিল। নিজে রান্না করে খাইতে কিন্তু আমার খুবই ভালো লাগে আর নিজের রান্না নিজেই খেয়ে বাহবা দিতে থাকি😄😄😄😄।
যাইহোক এক নজরে দেখে আসা যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ গুলো লেগেছে।
উপকরণ:
নাম | পরিমাণ |
---|---|
সয়াবিন | ২৫০ গ্রাম |
ডিম | ১ টি |
আলু | মিডিয়াম সাইজের ২ টি |
পেঁয়াজ | মিডিয়াম সাইজের ৪ টি |
শুকনা ঝাল বাটা | ৪ চা চামচ |
জিরা বাটা | ২ চা চামচ |
গরম মসলা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ১ চা চামচ |
আদা বাটা | ২ চা চামচ |
রসুন বাটা | ৪ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
টক দধি | ১ কাপ |
লবণ | পরিমাণ মতন |
ধাপ:১
প্রথমে সয়াবিন গুলো গরম জলে সিদ্ধ করে তার থেকে জল বের করে নিয়ে একটি পাত্রে রাখলাম। এরপর সয়াবিনের ভিতর ডিম, ঝাল, রসুন, হলুদ, লবণ, জিরার গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া এই সবগুলো উপাদান একসঙ্গে ভালোভাবে মেরিনেট করে নিলাম।
ফটো ১ | ফটো ২ | ফটো ৩ | ফটো ৪ |
---|---|---|---|
ধাপ:২
এরপর চুলার ওপর কড়াই দিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণে তেল দিয়ে আলো গুলো ভালোভাবে ভেজে নিলাম।
ফটো ১ | ফটো ২ | ফটো ৩ |
---|---|---|
ধাপ:৩
আলো গুলো লাল লাল করে ভেজে একটি পাত্রে উঠিয়ে নিলাম। আর ওই একই তেলে মেরিনেট করা সয়াবিন গুলো ছেড়ে দিয়ে ভালো করে সেগুলো ভেজে নিলাম।
ফটো ১ | ফটো ২ |
---|---|
ধাপ:৪
ভালো করে সয়াবিন গুলো ভেজে নেওয়ার পর একটি পাত্রে উঠিয়ে নিলাম। এরপর কড়াইতে আরো পরিমাণ মতন তেল দিয়ে তাতে দুটো তেজপাতা,চারটি শুকনা ঝাল, গোটা জিরা এবং চারটে এলাচি থেঁতো করে কিছুটা সময় ভেজে নিলাম। এরপর আগে থেকে পেঁয়াজ গুলো কুঁচি করা ছিল সেগুলো একই সাথে সামান্য পরিমাণে ভেজে নিলাম। আর এই সময় চুলার আগুন মিডিয়াম পর্যায়ে রাখতে হবে।
ফটো ১ | ফটো ২ |
---|---|
ধাপ:৫
পেঁয়াজ গুলি ভাজি হয়ে গেলে এর ভেতর জিরা বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা,শুকনা ঝাল, ধনিয়া গুঁড়া, হলুদ, স্বাদমতো লবণ, সবগুলো উপাদান দিয়ে ভালোভাবে মসলা গুলো কষিয়ে নিলাম।
ফটো ১ | ফটো ২ |
---|---|
ধাপ:৬
মসলা গুলোর থেকে তেল ছেড়ে দেওয়ার পর তাতে আগে থেকে ফেটানো টক দধি ছিল সেটা দিয়ে দিলাম। দধি দেওয়ার পর ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দিলাম যাতে মসলা গুলোর সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যেতে পারে।
ফটো ১ | ফটো ২ |
---|---|
ধাপ:৭
এরপর কষা মসলা গুলোর ভিতর ভেজে রাখা আলু এবং ভেজে রাখা সয়াবিন দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দিলাম। যাতে মসলা গুলো ভালোভাবে একে অপরের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।
ফটো ১ | ফটো ২ | ফটো ৩ |
---|---|---|
ধাপ:৮
সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পর তাতে সামান্য পরিমানে জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ করার জন্য দশ মিনিটের জন্য রেখে দিলাম। এ সময় কিন্তু চুলার আগুন বাড়িয়ে দিতে হবে।
ফটো ১ | ফটো ২ |
---|---|
ধাপ:৯
১০ মিনিট পর ঢাকনা উঠিয়ে নেড়েচেড়ে দিয়ে দেখলাম আলু সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আরো দুই মিনিটের মতন জ্বালানোর পর তেল যখন উপরে চলে এলো তখন এর ভেতর আমি ১ চা চামচ গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে নেড়েচেড়ে দিলাম।
ফটো ১ | ফটো ২ | ফটো ৩ |
---|---|---|
ধাপ:১০
এরপর আরো চার মিনিটের মতন জ্বালানোর পর। আমার রেসিপিটি পুরোপুরিভাবে পরিবেশন করার জন্য তৈরি হয়ে গেল। এরপর রেসিপিটি কড়াই থেকে নামিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিলাম এবং রেসিপিটির কিছু ফটোগ্রাফি করলাম এবং নিজের তৈরি রেসিপির সঙ্গে সেলফি নিলাম।
ফটো ১ | ফটো ২ | ফটো ৩ | ফটো ৪ |
---|---|---|---|
ক্যামেরা পরিচিত:oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:১৩.০৭.২০২৪
সময়:০৫.৩৫মিনিট
সয়াবিনের এই রেসিপিটি আপনারা রাতে রুটি দিয়েও খেতে পারেন এবং গরম ভাতের সাথে মাখিও খেতে পারে। আমার দীর্ঘ বিশ্বাস খেতে খুবই সুস্বাদু লাগবে একদম কষা মাংসের মতন। খাওয়ার সময় আমার মনে হচ্ছিল আমি সয়াবিন খাচ্ছি না কষা মাংস খাচ্ছি। আপনারা একবার ট্রাই করে দেখতেই পারেন আশা করি আপনারা নিরাশ হবেন না।
এই প্রথম এখানে কোন রেসিপি পোস্ট পড়লাম। কারন আমি এটি এড়িয়ে যাই। কিন্তু আপনার রেসিপির ফটো দেখে লোভ লাগলো। খুবই চমৎকার হয়েছে রান্না এবং বর্ণনাও অনেক ভালো লেগেছে। মনেহচ্ছে খুব সুস্বাদু। দাওয়াত দিয়েন, খেতে যাবো।
দাওয়াত করলাম চলে আসেন দাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সয়াবিনের কারি রেসিপি ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশে অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ দাদা
আপনার মা দিদির বাড়িতে যাওয়ার কারণে আপনার চমৎকার সুন্দর রেসিপিটি করা আমরা দেখতে পেলাম।সয়াবিন খেতে আমারও খুব ভালো লাগে।সয়াবিনের কারি খেতেই সব থেকে মজাদার হয়।আপনি চমৎকার করে সয়াবিনের কারি রান্না করেছেন এবং রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
সয়াবিনের কারি রেসিপি বাহ্ মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। বাসায় কেউ ছিলো না সেই ফাঁকে সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার মাধ্যমে নতুন রেসিপি শিখে নিলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে ভাইজান। আপনি অনেক দক্ষতার সহিত ধাপে ধাপে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। রেসিপির কালার টি দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনার মা-বাবাকে ধন্যবাদ দিতে হবে। তারা আপনার দিদির বাড়িতে গিয়েছিল বিধায় আপনি এত সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন।সয়াবিনের কারি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মাঝেমধ্যে এই ধরনের রেসিপি খাওয়ার মজাই আলাদা। খুব লোভনীয় রেসিপি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই ধরনের রেসিপি দেখলে খেতে খুব ইচ্ছে করে।
আপনার মা বাড়িতে না থাকায় আপনার উপর তাহলে এখন অনেক দায়িত্ব আর চাপ রয়েছে। এই সুযোগে তো খুব সুন্দর এবং মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। সয়াবিন জিনিসটা কখনো খাওয়া হয়নি আমার তবে অনেকেই দেখছি অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করে এগুলো দিয়ে। আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দরভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন।
খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। অসাধারণ হয়েছে আপনার তৈরি করা এই রেসিপি। বেশ দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে আপনার তৈরি করার রেসিপি। আশা করবো খুবই সুস্বাদু ছিল আপনার এই রেসিপি।