যশোর গদখালী পার্কে ঘোরাঘুরি ও ফুলের ফটোগ্রাফি পর্ব: ১
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ পোস্ট উপস্থাপন করছি এবং সেখানকার কিছু ফুলের ফোটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ যশোর গদখালী পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশে আমার কিছু বন্ধু রয়েছে তাদের সাথে একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ইউটিউবে যশোর গদখালী এই পার্কটির অনেক ভিডিও দেখেছি। খুবই ভালো লাগছিল কারণ এই পার্কের অসংখ্য বিভিন্ন ধরনের ফুল রয়েছে। এখানে শিশুদের জন্য অনেক ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে পার্কে আসলে শিশুরা যাতে আনন্দ করতে পারে। আর চারি পাশে ফুল আর ফুল। ইউটিউবে এই পার্কের ভিডিও দেখে খুবই ভালো লেগেছিল। তার জন্য সেই বন্ধুদের সঙ্গে যশোর গদখালী এই পার্কে এসেছিলাম। যাওয়ার ডেট ফিক্সড করা হলো। ডেট অনুযায়ী সেদিন আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ি যশোর গদখালী পার্কের উদ্দেশ্যে। আমরা যেখান থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেখান থেকে ট্রেনে অথবা বাসে করে যাওয়া যায়।
আমার মতে গরমের সময় ট্রেনে যাওয়াটা খুবই ভালো। কারণ বাসে প্রচুর ভিড় হয়ে থাকে আর ভাড়াও অনেক বেশি। কিন্তু এইদিকে ট্রেনের ভাড়াটা একটু কম আর খুব সুন্দরভাবে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে করতে যাওয়া যায়। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা সবাই ট্রেনে যাব। যাইহোক ট্রেন স্টেশনে যেয়ে টিকিট কেটে নিলাম যশোরে যাওয়ার জন্য। যশোরে যেতে আমাদের টিকিটের মূল্য নিয়েছিল ৪৫ টাকা। যাইহোক আমরা সবাই ট্রেনে উঠে পড়লাম প্রায় দু ঘন্টার মত লেগেছিল যশোরে যেতে। বাংলাদেশের ট্রেন একটু ধীর গতিতে চলে থাকে তার জন্য এতটা সময় আমাদের লেগেছিল পৌঁছাতে। যাই হোক আমরা ট্রেন থেকে নেমে সোজা একটি টোটো ঠিক করে সেই পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা করি। টোটো বললে সবাই চিনতে পারবে না আসলে বাংলাদেশের এটিকে ইজিবাইক বলে থাকে। আমরা ইজিবাইকে একা একজন ১৫ টাকা ভাড়া দিয়ে সোজা চলে গেলাম সেই গদখালী পার্কে।
পার্কে ঢুকতে গেলে প্রত্যেককে ৩০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে তারপর প্রবেশ করতে হবে। আমরা প্রত্যেকে ৩০ টাকা করে টিকিট কেটে তারপর ভেতরে প্রবেশ করলাম। আসলে ভিতরে ঢুকতেই চোখে পড়লো ফুল আর ফুল। মনে হচ্ছিল যেন এক ফুলের বাগানের ভিতরে প্রবেশ করেছি। আমি এখানে অর্ধেকের বেশি ফুল চিনি না। পার্কের দুই পাশ থেকে রাস্তায় গিয়েছিল আর রাস্তার চারি ধার ঘিরা ছিল বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে। তার একটু পাশেই ছোট বাচ্চাদের জন্য খেলা করার ব্যবস্থা ছিল। আমি আগেই বলেছি পার্কে কিন্তু বাচ্চাদের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে বাচ্চারা আসলে খুব আনন্দ পাবে। বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে পার্টি সাজানো ছিল। সামনে যেতেই দেখলাম একটি ঝরনা। ঝর্না রাতের বেলায় দেখতে খুবই ভালো লাগে কারণ রাতের বিভিন্ন ধরনের লাইট যখন জলের উপর পড়ে তখন ঝর্ণার সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:০৯.০৪.২০২৪
সময়:০৫.৩৪ মিনিট
স্থান: যশোর, বাংলাদেশ
যতটা পার্কের ভেতরে প্রবেশ করছিলাম ততই খুব ভালো লাগছিল।কারণ বিভিন্ন ধরনের ফুলের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছিল আর ফুল জিনিসটা এমনই একটা বস্তু তার কাছে যেতেই তাকে ছুঁতে ইচ্ছা করে। কিন্তু একটা কথা কি জানেন ফুলকে সবসময় গাছই সুন্দর লাগে। পার্কে যে শুধু আমরা এসেছিলাম তা কিন্তু নয় পার্কে অনেকেই এসেছিল সবাই যার যার মত কাজে ব্যস্ত ছিলো। আমার বন্ধুরা ও তাদের মত করে ঘুরে বেড়াচ্ছিল আর আমি নিজের মতো করে বিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি করছিলাম।
ভাইয়া আপনার মত আমিও অনেকবার ইউটিউবে যশোর গদখালি পার্কের ভিডিও দেখেছি। তবে আজও সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি। আপনারা ইজি ভাইকে করে মাত্র ১৫ টাকা দিয়েই চলে গিয়েছিলেন যশোর গদখালি পার্কে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি সত্যিই অনেক সুন্দর। আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।