যশোর গদখালী পার্কে ঘোরাঘুরি ও ফুলের ফটোগ্রাফি পর্ব: ২
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ পোস্টের দ্বিতীয় পর্বটি উপস্থাপন করেছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
একটু ভেতরে ঢুকতেই আরো বিভিন্ন ধরনের ফুলের সাথে দেখা হল। সূর্যমুখী, টগর, গন্ধরাজ, বিভিন্ন ধরনের গোলাপ ইত্যাদি। এখানে কিন্তু ছবি তোলার জন্য ভালো ভালো জায়গা রয়েছে সেখানে অনেকেই বসে ছবি তুলছে। এখানে একটা জিনিস দেখলাম যেটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সেটি হল এখানে কিন্তু অনেক ক্যামেরাম্যান রয়েছে। আপনারা তাদের সাহায্যে আপনারা আপনাদের নিজেদের ছবি তুলতে পারবেন। তারা ১০ পিস ছবির জন্য ১০০ টাকা করে নিচ্ছে। যা আমার কাছে মনে হল সামান্য কিছু টাকা।এটা কিন্তু আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।কারণ সবার ক্যামেরা কিন্তু থাকে না। কিন্তু আমাদের মাঝেমধ্যে ক্যামেরায় ছবি তুলতে ইচ্ছা করে।সেটি হয়ে ওঠে না কিন্তু এখানে এই ব্যবস্থা রয়েছে।
আমি নিজের কিছু ছবি তোলার জন্য পার্কের একটি নির্দিষ্ট ছবি তোলার জায়গায় গেলাম। পার্কে কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে ছবি তোলার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে এত ফুল যে মনে হবে আপনি ফুলের রাজ্যে বসে আছেন। ছোট ছোট কুঁড়েঘর রয়েছে যা সবগুলোই গোলপাতা দিয়ে ছাউনি দেওয়া এবং এই ঘরের ভেতর ছোট ছোট বসবার জন্য চেয়ার করে দেওয়া রয়েছে সামনে একটি টেবিল। পার্কে ঘুরতে ঘুরতে যখন পাবলিক ক্লান্ত হয়ে পড়বে তখন এই কুঁড়ে ঘরে বসে কিন্তু রেস্ট নেওয়া যাবে। এখানে হালকা করে চায়ের ব্যবস্থাও কিন্তু রয়েছে। বসে বসে চায়ের চুমুকের সঙ্গে কিন্তু এই পার্কের সৌন্দর্যটা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করা যাবে। সেই ব্যবস্থা কিন্তু এখানে রয়েছে। যাইহোক আমরাও কিন্তু পার্কে কিছুটা সময় ঘুরতে ঘুরতে সবাই একটু ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ভাবলাম যে এই কুঁড়ে ঘরে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে আমরা আবার পার্কের যেসব জায়গাগুলোতে আমরা ঘুরতে পারেনি, দেখতে পারিনি সেই সব জায়গায় বিশ্রাম নেওয়ার পরে ঘুরবো।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:০৯.০৪.২০২৪
সময়:০৫.৫০মিনিট
স্থান: যশোর, বাংলাদেশ
যাইহোক আমরা সবাই এই কুঁড়ে ঘরে বসে কিছুটা সময় রেস্ট নিলাম। রেস্ট নিতে নিতে আমরা কিছু খাবারের অর্ডার করলাম। তেমন একটি খাবার কিন্তু পার্কের ভিতর পাওয়া যায় না। তাই সাধারণ যেসব খাবার এখানে পাওয়া যায় সেসব খাবার আমরা অর্ডার দিয়েছিল। খাবার খেতে খেতে আমরা গল্প করতে লাগলাম। যশোর কিন্তু বাংলাদেশের একটি অন্যতম একটি আয়ের জায়গা। যশোর একটি মিষ্টি এলাকা এখানে সব ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে। ধানের সময় ধান হয়ে থাকে। পাটের সময় পাট চাষ করা হয়ে থাকে। আরো বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করা হয়ে থাকে। ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। ১৭ পারসেন্ট বাংলাদেশে খাদ্য যোগান দিয়ে থাকে। যশোর বাংলাদেশের আয়ের বড় একটি অংশ। এখানে একটা জিনিস খুব ভালো বাজারে যেসব সবজি অথবা ফল যে দরে বিক্রি হয়ে থাকে তা কিন্তু এখানে তার অর্ধেক টাকা দিয়ে ক্রয় করা সম্ভব। যাই হোক অনেকটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর আমরা আবারো পার্কের ওপর পাশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম।
পার্কে ঘোরাঘুরি করেছেন আর এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সূর্যমুখী ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়েছি ভাইয়া। চমৎকার হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি। দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
যশোরে এত সুন্দর একটি পার্ক রয়েছে এটা আমার জানা ছিল না। বেশ সুন্দরভাবে সেখান থেকে ফটো ধারণ করেছেন আপনি। আপনার এত সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করতে দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। ফুলগুলো বেশ দারুন ছিল।
পার্ক ভ্রমণ করতে আমিও খুব পছন্দ করি। কারণ পার্কের মধ্যে ফুলসহ অনেক কিছু দেখার সুযোগ মেলে। তেমনি সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার এই চমৎকার পোস্ট দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। অনেক সুন্দর ছিল আপনার আজকের এই পোস্টটা।