'ভালোবাসি তোমাকে ' গল্পের ষষ্ঠ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আমাদের মাঝে 'ভালোবাসি তোমাকে' গল্পের ষষ্ঠ পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।

pexels-katerina-holmes-5910791.jpg

সোর্স


শুভ অফিসে যে সোজা চলে যায় বসের রুমে। বস তাকে কিছু কাজ দেয় আর সেগুলো খুব আর্জেন্ট ছিল। তাই তার বস তাকে বলে আজকের ভিতর শেষ করে আমার কাছে জমা দিবে। শুভ বসের রুম থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যায় তার রুমে। এসেই কাজ করা শুরু করে দেয়। আর ফোনটি সাইলেন্ট মুডে রেখে দেয় যাতে কাজ করার সময় কেউ বিরক্ত না করে। কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে যায় সবাই লাঞ্চ ব্রেকে চলে যায়। কিন্তু শুভর এদিকে কোন খেয়ালই ছিল না সে কাজেই মনোযোগ ছিল। এদিকে যেমন শুভ তার কাজে ব্যস্ত আর অন্যদিকে মনিকা সংসার গোছাতে ব্যস্ত। মনিকা দুপুরে খাওয়ার সময় তার শুভর কথা মনে পড়ে যায়। মনে মনে ভাবতে থাকে আজ আমি প্রথম তাকে রান্না করে দিয়েছি সে কি খেয়েছে একটাবার ফোন করে দেখব কি। সঙ্গে সঙ্গে শুভকে ফোন দেয় কিন্তু শুভ ফোন ধরে না। এমন করে পাঁচ সাত বার দেওয়ার পরেও শুভ ফোন রিসিভ করে না। শুভর ফোন তো সাইলেন্ট মুডে ছিল। যার কারণে শুভ বুঝতে পারছে না যে মনিকা তাকে ফোন দিচ্ছে। অনেকবার দেওয়ার পর যখন শুভ ফোন ধরলো না। মনিকা চিন্তা করতে থাক হয়তো বা কাজে ব্যস্ত রয়েছে পরে ফোন দিবো।


শুভ হঠাৎ করে তার ফোনের দিকে তাকায় দেখতে পায় মনিকা অনেকবার ফোন দিয়েছে। মনিকার অনেকবার ফোন দেখে শুভ টেনসনে পড়ে যায় কারণ মনিকা বাড়িতে একা রয়েছে। এতবার ফোন দিয়েছে কিছু হলো না তো তাই সঙ্গে সঙ্গে মনিকাকে ফোন দেয়। শুভর ফোন দেখে মনিকা সব কাজ ফেলে রেখে ফোনটি রিসিভ করে। মনিকা ফোন রিসিভ করতেই শুভ বলে ওঠে কি হয়েছে এতবার ফোন দিয়েছো? মনিকা বলে তেমন কিছু হয়নি। আজ প্রথম আপনার জন্য দুপুরে খাবার দিয়েছিলাম আপনি খেয়েছ কিনা তাই শোনার জন্য ফোন করেছিলাম। শুভ বলে তার জন্য এতবার ফোন দিতে হবে আমি তো ভেবেছি কোন প্রবলেম হয়েছে। মনিকা হাসতে হাসতে বলে কেন আপনার কি টেনশন হয় আমার জন্য? শুভ বলে হওয়াটাই স্বাভাবিক কারণ তুমি বাড়িতে একা রয়েছো শহরে কাউকেই চান না তাই একটু টেনশন হয়। মনিকা বলে যাক আপনার মুখে এই কথাটা শুনে খুব ভালো লাগে যে আমার জন্য কেউ টেনশন করে। শুভ তার মনের কথাটা বলতে চায় কিন্তু সে বলতে পারে না। কারণ যখনই তার মনের কথাটা বলতে যাবে ঠিক তখনই সে অচেনা ব্যক্তির কথা মনে পড়ে যায়। তাই সে কিছুই বলতে পারে না। শুভ মনিকাকে বলে অনেক কাজ আছে পরে কথা হবে। মনিকা বলে হাতের কাজ একটু পরে করবে আগে খাবার খেয়ে নাও। শুভ বলে আচ্ছা ঠিক আছে খেয়ে নিব তুমি সাবধানে থেকো।


শুভ ফোনটি রেখে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেতে বসে। খাবার খাওয়ার সময় সে ভাবতে থাকে মনিকা যাই হোক আমি খেয়েছি কিনা সেটা শোনার জন্য আমাকে ফোন করেছে। মনিকা কি সত্যিই আমাকে ভালবাসে। এসব চিন্তা করতে করতে সে খাবার খাইতে থাকে। খাবার খাওয়া শেষ করে সে আবারো কাজে মনোযোগ দেয়। কাজ শেষ করতে করতে অনেক সময় লেগে যায়। তার অফিস ছুটি হয়ে যায় কিন্তু একমাত্র অফিসে ছিল শুভ। কারণ তার বস তাকে বলেছিল এ কাজ শেষ করে তারপরে বাসায় যেতে। তোর কাজ শেষ করতে করতে সাতটা বেজে গেল। এদিকে মনিকা দুশ্চিন্তা করতে থাকে যে এখনো কেন সে অফিস থেকে ফিরছে না। সে ভাবতে তাকে একটা বার কি তাকে ফোন দিয়ে দেখব সে কোথায় আছে। সে শুভকে ফোন দেয় কিন্তু শুভর ফোন বন্ধ ছিল তাই সে আরো দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। এদিকে শুভ ও টেনশন করতে থাকে কারণ তার লেট হয়ে গিয়েছে আর বাড়িতে একা একা মনিকা হয়েছে।না জানি কি করছে আর দিকে ফোনটা বন্ধ হয়ে গেছে। অফিস থেকে বাইরে এসেই দেখে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় ৩০ মিনিটের মতন একটানা বৃষ্টি হতে থাকে একটা গাড়িও আচ্ছা না এদিকে বাড়িতে ফিরতে লেট হয়ে যাচ্ছিল।


বৃষ্টির ভিতর একটি টোটো আসছিল সে ভিজতে ভিজতে টোটো টাকে থামায় আর তাকে অনুরোধ করে তাকে যেন একটু বাড়িতে আগায় দিয়ে আসে। এদিকে বৃষ্টি পড়তেই থাকে শুভ বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পর শুভ বাসায় চলে আসে। বাসায় এসে কলিংবেল বাজায় মনিকা দৌড়ে এসে দরজাটি খুলে দেয়। খুলে দিতেই দেখে শুভ সঙ্গে সঙ্গে শুভকে জড়িয়ে ধরে। আর বলতে থাকে এত সময় কোথায় ছিলেন? আর ফোনটি বন্ধ কেন আপনার ?আপনি জানেন না আমি বাড়িতে একা রয়েছি আমার টেনশন হয়। বোঝেন আপনি? শুভ বলে অফিসে অনেক গুরুত্ব পুণ্য কাজ ছিল। শেষ করতে করতে লেট হয়ে গিয়েছে। কাজ শেষ করে যখন বাইরে আসি দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। আর ফোনে চার্জ না থাকার কারণে অফ হয়ে যায় তাই তোমাকে ফোনও করতে পারিনি। অবশেষে ভিজতে ভিজতে বাড়িতে এলাম। আচ্ছা মনিকা একটা কথা বলবে। মনিকা বলে হ্যাঁ বলেন। মনিকা তুমি কি আমাকে....... না কিছু না। আমাকে শুকনা কিছু দাও বাধাটা মুছে ফেলি। মনিকা বলে কি যেন বলছিলেন আপনি হঠাৎ থেমে গেলেন কেন। না কিছু না। আচ্ছা ঠিক আছে আপনি ফ্রেশ হয়ে নেন আমি আপনার জন্য খাবারগুলো গরম করি। মনিকা চলে যায় খাবারগুলো গরম করতে আর শুভ চলে যায় ফ্রেশ হতে।

আজ গল্পের পর্বটি এখানেই শেষ করছি।বাকি পর্ব খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 61039.43
ETH 2460.28
USDT 1.00
SBD 2.66