তোমার ছোঁয়া গল্প পর্ব:২
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি 'তোমার ছোঁয়া' গল্পের দ্বিতীয় পর্বটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে তোমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
তন্ময় ও উজ্জ্বল দুজনে গল্প করতে করতে ক্লাস রুম থেকে বের হচ্ছিল।তখন হঠাৎ মানবিকা ক্লাস রুমে প্রবেশ করছিল। দুজনের মুখোমুখি দেখা হয়ে যায়।তন্ময় অবাক চোখে মানবিকার দিকে তাকিয়ে ছিল। তখন মানবিকা তন্ময়কে বলল কি হয়েছে আমার তাকিয়ে কি দেখছো? ক্লাস রুমে ঢুকতে দাও। তন্ময় মানবিকার প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারল না। সে একটু পাশ হয়ে জায়গা দিল সেখান থেকে মানবিকা ক্লাসরুমে প্রবেশ করল। উজ্জ্বল কিন্তু এসব ঘটনা ভালোভাবে খেয়াল করেছে। পরবর্তীতে তন্ময়কে উজ্জ্বল বলে তুই দেখি প্রথম দিনে মানবিকার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস। তন্ময় উজ্জ্বলের কথা পাত্তা না দিয়ে চলতে শুরু করলো। যাই হোক এই ভাবেই ভালোই দিন কাটছিল। তন্ময়ের আরো কিছু বন্ধু হয় কিন্তু উজ্জ্বলের সাথে বেস্ট বন্ধুত্ব সম্পর্ক তৈরি হয় তন্ময়ের। দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে যায় তারা সবাই নতুন ক্লাসে উঠে যায়। ক্লাসের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর রেজাল্ট দিয়েছিল সেখানেও মানবিকা প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। এদিকে তন্ময়ের রেজাল্ট একটু খারাপ হয়েছিল তার জন্য ক্লাস রোল হয়েছিল পনেরো জনের পরে। তন্ময় রেজাল্ট খারাপ করেছে তার মন খারাপ হয়নি তার আরো ভালই লেগেছে কারণ মানবিকা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সেই আনন্দে তার বন্ধুদের সবাইকে মিষ্টি খাইয়ে ছিল।
একদিন স্কুল ছুটি হওয়ার পর সবাই হেঁটে হেঁটে বাড়িতে যাচ্ছিলো। তন্ময় এবং তন্ময়ের আরো কিছু বন্ধু মানবিকা এবং মানবিকার আরো কিছু বন্ধু সবাই একসাথে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। মানবিকা থেকে অনেকটা পিছনে ছিল তন্ময়। তন্ময় হঠাৎ সামনে দেখতে পায় তার একটি বন্ধু মানবিকার হাত ধরতে যাচ্ছে। এটি দেখার পর তোমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছিল। কিন্তু সে কিছুই বলতে পারছিলো না কারণ মানবিকা জানেনা যে তন্ময় তাকে পছন্দ করে। তন্ময় ভাবতে থাকে যদি ছেলেটিকে বাধা দিতে যায় তাহলে মানবিকা যদি খারাপ ভাবে। তন্ময় ও মানবিকা হয়তো একি ক্লাসে পড়াশোনা করে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেউ কারো সাথে কথা বলেনি। তাই তন্ময় সাহস করে কিছুই বলতে পারছিল না কিন্তু রাগেতে ফুল ছিল। যে ছেলেটি মানবিকার হাত ধরতে চাচ্ছিল তাকে কিছু বলাই লাগলো না। কারণ মানবিকা যখন বুঝতে পেরেছিল যে ছেলেটি তার হাত ধরেছে। তখন মানবিকা তার হাত ছিটকে ফেলে সাথে সাথে চর বসিয়ে দেয় ছেলেটির মুখে। এই ঘটনাটি দেখার পরে সবাই হাসাহাসি করতে থাকে। সবাই যখন হেসে ওঠে তখন মানবিকা পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখে তন্ময় তার পেছনে দাঁড়িয়ে হাসছে। তখন তন্ময় কে মানবিকা বলে তন্ময় তুমি কাদের সাথে মেলামেশা করো। ছি তন্ময় আমি তোমাকে ভালো ভেবেছিলাম। তুমি তো দেখ ছিলে যে তোমার বন্ধু আমার হাত ধরতে যাচ্ছে তাহলে তুমি তাকে বাধা দাওনি কেন? এই বলে মানবিকা জোরে জোরে হাঁটতে শুরু করে।
আর তন্ময় ভাবতে থাকে আমি কিছুই করলাম না আর সব দোষ আমার হয়ে গেল। যে দোষ করল তাকে কিছু না বলে আমাকে কেন বলল। তাহলে কি মানবিকা ও আমার মতন মনে মনে আমাকে পছন্দ করে। যদি পছন্দ করে তাহলে আমাকে বলছে না কেন। আমি না হয় ওর ভয়ে বলতে পারছিনা। কিন্তু ও তো আমাকে বলতে পারে। যাইহোক এমনভাবে আরো একটি বছর কেটে গেল এখনো তারা দুজন দুজনকে তাদের মনের কথা বলতে পারেনি। একদিন তন্ময় শুনতে পারে মানবিকা একটি ছেলেকে পছন্দ করে ছেলেটির নাম আবির। আবির পড়াশোনা খুব ভালো ছিল মানবিকা খুব ভালো ছিল। পরীক্ষার রেজাল্টে তাদের মার্ক সামান্য কম বেশি হতো। মানবিকা এবং আবিরের মধ্যে খুব ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে উঠলো। এসব ঘটনা তন্ময়ের চোখে পড়তো। তন্ময় কিছুতেই মানতে পারছিল না যে মানবিকা তার সামনে আবিরের হাত ধরে ঘুরবে। মানবিকা তখনই আবিরের হাত ধরতো যখন তন্ময়কে দেখতে পেতো। মানবিকা ভাবত তন্ময় দেখে ভিতরে জ্বলুক। মানবিকার এমন ব্যবহারে তন্ময় খুব কষ্ট পায়। একটি পর্যায় তন্ময় স্কুলে আসা ছেড়ে দেয়। তখন মানবিকা দেখতে পারে বেশ কিছুদিন তন্ময় স্কুলে আসছে না। মানবিকা তন্মায়ের বন্ধু উজ্জ্বলের কাছে জিজ্ঞাসা করে। উজ্জ্বল তন্ময়ের কি হয়েছে ওকে অনেকদিন স্কুলে দেখছি না? উজ্জ্বল মানবিকাকে বলে।আমি ঠিক জানিনা ওর কি হয়েছে। আমার খুব দুশ্চিন্তায় আছি কারণ যাই কিছু হয়ে যাক না কেন তন্ময় স্কুলে আসবে। কিন্তু আমি জানিনা ওর কি হয়েছে। কিন্তু তুমি কোন চিন্তা কর না।আমি স্কুল ছুটি হলে আজ ওদের বাড়িতে যাব দেখে আসবো কি হয়েছে ওর। পরের দিন স্কুলে এসে আমি তোকে বলবো?
যদিও এই গল্পের প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়নি কিন্তু আজকের পর্বটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে তন্ময় এবং মানবিকা দুজন দুজনকেই পছন্দ করে। কিন্তু তন্ময় মানবিকাকে ভালোবাসার কথা না জানিয়ে কি ভুল করল কিনা। মানবিকতা দেখছি এখন নতুন আরেকজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে। নাকি সত্যিটা জানার জন্য এরকম করছে। যাইহোক ভাইয়া পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।