শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণ পর্ব: ২

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



ভোর বেলার আবহাওয়া উপভোগ করতে করতে সামনের দিকে যেতে লাগলাম। কিছু কিছু জায়গায় এত পরিমানে কুয়াশা পড়েছিল যে সামনের গাড়ি দেখা যাচ্ছিল না। এই কুয়াশার ভিতর গাড়ি চালাতে খুবই অসুবিধা হয়ে থাকে তার জন্য সব সময় আশেপাশে খেয়াল রাখতে হয়। আমরা দক্ষিণেশ্বর রোড থেকে যাচ্ছি। সকাল কিন্তু হয়ে গিয়েছে কিন্তু সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না কারণটা হলো কুয়াশা। আমার খুবই ভালো লাগছিল কারণ ভোরবেলাতে এবং রোডের দুপাশে গাছ পালায় আটা ছিল যার জন্য মনে হচ্ছিল জঙ্গলের ভিতর থেকে যাচ্ছি। সব থেকে ভালো লেগেছিল আমরা যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি তার ওপারে ছিল দক্ষিণেশ্বর মায়ের মন্দির। মাকে প্রণাম জানিয়ে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে চলতে শুরু করলাম।


কিছু দূরে যেতে যেতে দেখলাম আমাদের মতন আরও অনেকে ঘুরতে বেরিয়েছে বাইকে করে কিন্তু তাদেরকে দেখে মনে হচ্ছে তারা অনেক দূর পর্যন্ত রাইট করবে। যাওয়ার পথে তাদেরকে দেখে খুবই ভালো লেগেছিল। অনেকক্ষণ পর সূর্যের মুখ দেখতে পেলাম লাল টকটক করছে। রোডে প্রচুর বড় বড় লরি ছিল তাদের গতি অনেকটাই ছিল।বেশিরভাগ জায়গায় রাস্তায় কাজ চলছিল যার কারণে একটু অসুবিধা হচ্ছিল আমাদের রাইট করতে। রাস্তার চারিপাশে চাষের জমি ছিল আর মাঝেমধ্যে এত সুন্দর রোড আসছিল সত্যিই দেখার মতন। আমরা প্রায় দুই ঘন্টা পথ অতিক্রম করলাম। সকাল হতেই কিন্তু গাড়ির চাপটা একটু বেড়ে গেল যার কারণে আমাদের গাড়ির গতিটাও একটু কম করতে হলো।

IMG20241224070127.jpg

IMG20241224071922.jpg

IMG20241224070442.jpg

IMG20241224070018.jpg

IMG20241224071844.jpg

IMG20241224071525.jpg



যেহেতু অনেকটা সময় ধরে রাইট করছি আমাদের একটু খুদা ও লেগে গিয়েছিল। দাদাকে বললাম যে কোথাও যে একটু বিশ্রাম নিয়ে আবারও রাইট করবো। দাদা বললো শান্তি গড় যে ওখানে রেস্ট করব আর নাস্তা ও করব। এরপর আরো বেশ কিছুক্ষণ রাইট করার পর আমরা পৌঁছে গেলাম শান্তি গড়। শান্তী গড় নামটি বিখ্যাত হচ্ছে ল্যাংচা। ল্যাংচা বলতেই শান্তি গড়টা প্রথমে চলে আসে কারণ এখানে অনেক দূর দুরান্ত থেকে এই ল্যাংচা খেতে আসে। যাইহোক, শান্তি গড় পৌঁছে গাড়ি পার্কিং করে আমরা একটি খাবারের হোটেলে ঢুকে পড়লাম। সকালের ওয়েদার উপভোগ করতে গেলে অবশ্যই চা দরকার। তাইতো আমরা চায়ের অর্ডার করলাম আর ঘুগনি পুরি। আরো কিছু খাবার ছিল কিন্তু যেহেতু এই দিনটাতে আমি নিরামিষ খেয়ে থাকি যার কারণে খেতে পারলাম না। সকালে একটু ক্ষুধা বেশি লেগে গিয়েছিল আবার আরো অনেকটা পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে যার কারণে বেশি করে আমরা পুরি অর্ডার করলাম। আমি প্রায় ছয় পিচের মতন পুরি খেয়েছিলাম আর দাদা প্রায় আট থেকে দশটা পুরি খেয়েছিল।

IMG20241224075718.jpg

IMG20241224075656.jpg

IMG20241224075134.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:২৪.১২.২০২৪
সময়:০৭.২৩মিনিট
স্থান: শান্তি গড়



খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা আবারো রাইট করার জন্য প্রস্তুত হলাম। কিন্তু এর ভিতর ঘটে গেল সব থেকে বড় প্রবলেম। দাদা খাওয়ার পর বলল বাথরুমে যাবে। প্রায় ২০ মিনিট পার হয়ে গেল দাদা আর বাথরুম থেকে বের হয় না 😁😁😁। দাদা আসার পর আমি গেলাম কারণ খাবারগুলো খাওয়ার পর পেটের ভিতর কেমন অস্বস্তি হচ্ছিল। এখানে একটা কথা আপনাদের বলতে চাই আপনারা বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে সব সময় রাস্তার পাশে যে খাবারে দোকানগুলোর খাবার থেকে একটু দূরে থাকবেন। তা না হলে আমাদের মতন প্রবলেমে পড়তে হবে। আমাদের কিন্তু খাবারগুলো খাওয়ার পর প্রবলেম হয়েছিল। যাইহোক, মনের ভেতরে একটু ভয় করছিল কারণ অনেক দূর পর্যন্ত এখনো যেতে হবে রাস্তায় কোন বিপদ হলে কি করব। দাদাকে বললাম যা হবার হবে এখনো অনেক পথ আমাদের যেতে হবে তাই দেরি না করে আমরা রওনা করি।

আজ ভ্রমণ পর্বটি এখানে শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি।

Sort:  
 2 days ago 

বাহিরের খাবার খাওয়ার পর মাঝেমধ্যে পেটের মধ্যে একটু সমস্যা দেখা দেয়। তবে আপনারা যেহেতু অনেক দূরে গিয়েছিলেন,পেটে বেশি সমস্যা হলে তো ঝামেলায় পড়ে যেতেন। যাইহোক শেষ পর্যন্ত সামনের দিকে রওনা দিতে পেরেছিলেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আশা করি পরবর্তী পর্বে পৌষ মেলার কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো। সেই অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.24
JST 0.040
BTC 92699.45
ETH 3246.20
USDT 1.00
SBD 8.45