"ঘুরতে যেয়ে কেনাকাটার মুহূর্ত"
হ্যালো বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের সবার মাঝে ঘুরতে যেয়ে কেনাকাটার মুহূর্তটা উপস্থাপন করছি। আশা করি, সবার ভাল লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
একদিন হঠাৎ করেই আমার পাশের বাড়ির এক দাদা আমাকে বলল ঘুরতে যাবার কথা। আর এমনিতেই ঘুরতে কার না ভালো লাগে আমারও ঘুরতে খুব ভালো লাগে কারণ ঘুরতে গেলে মন মানসিকতা সবকিছুই ভালো থাকে। কিন্তু ইদানিং প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারণে তোমার একটা ঘুরতে যাওয়া হয় না। বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে এক ঘেমি চলে আসছে। তাই দাদার বলার সাথে সাথেই আমি রাজি হয়ে যাই।
যেদিন আমরা ঘুরতে যাব সেদিন আমাদের সকল দশটার সময় যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঠিক সেদিনই আবহাওয়াটা পাল্টাতে শুরু করে। আমার মনটা খুবই খারাপ হয়ে যায় মনে মনে ভাবতে থাকি এই দিনটাতেই আবহাওয়াটা খারাপ হতে হল। খুব রাগ হচ্ছিল কিন্তু কিছুই করার ছিল না কারণ এটা আমাদের হাতে নেই এটা প্রকৃতির দাঁড়া হয়ে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিটের মতন বৃষ্টি হয়েছিল আমার বাড়ির উঠানে ৪ আঙ্গুলের মতন জল বেঁধে গিয়েছিল। আমি রুমে শুয়ে শুয়ে সময় দেখতে থাকি আর মাঝেমধ্যে জালানার দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকি কখন বৃষ্টি থামবে আর আমরা ঘুরতে যাব।
একটু পরে বৃষ্টি থেমে গেল আর আমি সাথে সাথে বাইকটি বের করলাম আর দাদাকে ফোন করে বের হতে বললাম। দাদা ও খুব তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে এলো আমরা সাথে সাথে রওনা হলাম পথে যেতে যেতে দাদাকে বললাম আজ আমরা কোথায় যাচ্ছি ঘুরতে। দাদা মুচকি হাসি দিয়ে আমাকে বলল যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকেই যাব তুই চল। আমি ওর কথা বাড়ালাম না, আমিও বাইক চালাতে থাকলাম শহর থেকে গ্রামের দিকে প্রবেশ করলাম এরপর দাদা আমাকে বলল এখানে একটু দাঁড়া সুন্দর পরিবেশের সাথে একটু সময় কাটাই। আমি ওর সাথে সাথে বাইকটি থামিয়ে দিলাম আর দুজনে প্রকৃতির হাওয়া খেতে লাগলাম আবার ওদিকে আকাশে কালো মেঘ জমে ছিল যে কোন সময় বৃষ্টি আসবে। আমরা কিছু সময় সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম হঠাৎ দমকা হাওয়া এসে মনে হচ্ছে আমাদের উড়িয়ে নিয়ে যাবে আমরা একটি নিরাপদ স্থানে যে আশ্রয় নিলাম। প্রচন্ড হাওয়া হচ্ছিল আর তার সাথে বৃষ্টি ও হচ্ছিল আমি দাদাকে বললাম দাদা আজ মনে হয় আমাদের ঘুরতে যাওয়া হবে না। দাদা আমাকে বলল বৃষ্টি থেমে গেলেই আমরা আবার ঘুরতে বের হব।
তারিখ:১৯.০৬.২০২৩
সময়:১২.১৩মিনিট
প্রায় ১৫ মিনিট মত একটানা বৃষ্টি হওয়ার পর বৃষ্টি থেমে গেল আকাশে মেঘ যেন কোথায় হারিয়ে গেল। আমরাও সাথে সাথে বাইকটি বের করে আবার ঘুরতে বের হলাম চলতে চলতে দাদাকে বললাম। দাদা দুপুর হয়ে গেল আমার খোদা লেগেছে। দাদা আমাকে বলল তা আগে বলবি তো সামনে কোন খাবারের দোকান দেখলে সেখানে গাড়িটি দাড় করাবি। আমি তো মনে মনে খুবই খুশি কারণ বাইরে খেতে খুব ইচ্ছা করে আমার সব সময় তাই আর সুযোগটা মিস করলাম না একটু দূরে যেতেই দেখতে পেলাম বড় একটি বাজার আর সেখানে অনেকগুলো খাবারের দোকানও রয়েছে। আমি বাজারে যেয়ে গাড়িটি পার্কিং করিয়ে আমরা দুজনে খাবারের দোকানে সামনে যেতে লাগলাম আর যত খাবারের দোকানের সামনে যাচ্ছিলাম ততই যেন ভাজাপোড়ার গন্ধে আমার পরান জুড়ায় যাচ্ছিল। আমি দেরি না করে দাদাকে বললাম দাদা যেকোন দোকানে চলো না কারণ আমার খাবারের সুগন্ধে আমার খোদা যেন আরো বেশি মাত্রায় লেগে গিয়েছিলাম।
যাইহোক আমরা একটি খাবারের দোকানে যে খাবারের অর্ডার করলাম। খাবারের দোকানটিতে অনেকগুলো খাবারই ছিল এমন রোল, পিজ্জা, বার্গার, সিঙ্গারা, পুরী, ইত্যাদি ধরনের খাবার। আমরা দুজনে বার্গার খাওয়া সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা দোকানের ভিতরে যে বসে ওয়েটারকে ডেকে দুটো বার্গার অর্ডার করলাম। ভিতরে আরো অনেকেই ছিল কেউ ভাত খাচ্ছে কেউ পা কফি খাচ্ছে যে যার মত খাওয়া-দাওয়া করছে। একটু পরে আমাদের অর্ডারটি চলে এলো যখন খাবারগুলো আমার সামনে দিল আমার যেন দেরি সহ্য হচ্ছিল না।সাথে সাথেই খাওয়া শুরু করে দিলাম দাদা আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকলো।আমি দাদাকে বললাম কি হলো দাদা তুমি হাসছো কেন? দাদা হাসতে হাসতে বলল তোর এতটা খুদা লেগেছে আগে বলবি তো । আমিও দাদাকে বললাম সে কখন থেকে তোমাকে বলছি আমার ক্ষুধা লেগেছে আমার ক্ষুধা লেগেছে তুমি তো শুনছই না।যাই হোক কথা বল না তো খেতে দাও তাই বলে আমি খাওয়া শুরু করে দিলাম।
তারিখ:১৯.০৬.২০২৩
সময়:১২.৫০মিনিট
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিল পরিশোধ করে তাদেরকে বললাম যাতে চা খেতে যেতে হবে। আমার এটা খুব বাজে স্বভাব যে খাওয়া দাওয়ার পরে চা খাওয়া। দাদা আমাকে ধমক দিয়ে বলল এখান থেকেই তো চা খেতে পারতাম। আমিও দাদাকে বললাম আমার খোলা আকাশের নিচে চা খেতে খুব ভালো লাগে তুমি চলো তো। আমরা দুজনে রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে দোকান চা খেলাম। আসলেই খোলা আকাশের নিচে চা খেতে কিন্তু খুবই মজা লাগে কারণ প্রকৃতি উপভোগ করা হলো চা সাধটা নেওয়া হয়ে গেল।
তারিখ:১৯.০৬.২০২৩
সময়:০১.০৭মিনিট।
চা শেষ করতে করতে দাদাকে বলল তোর বৌদির জন্য জুতা কিনতে হবে আর বাড়ির জন্য কিছু কেনাকাটা করা দরকার। আমি কিছু বললাম না কারণ সামনে ই মার্কেট ছিল তাই সাথে সাথে আমরা জুতা কেনার জন্য একটি মার্কেটে প্রবেশ করলাম। মার্কেটটি অনেক বড় এখানে সব ধরনের মাল জিনিস পাওয়া যায়। আমরা একটি জুতোর দোকানের সামনে যেয়ে ২ জোড়া জুতা কিনে নিলাম এবং বাড়ির জন্য কিছু দরকারী জিনিস কিনে নিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৯.০৬.২০২৩
সময়:০১.৩৫মিনিট
স্থান: দুর্গানগর।
ঘুরতে যে একটু সমস্যা হয়েছিল বৃষ্টির কারণে তার পরেও খাওয়া-দাওয়া কেনাকাটা সবকিছু মিলিয়ে অনেক মজা করলাম দাদার সাথে ঘুরতে যে।