যশোর গদখালী পার্কে ঘোরাঘুরি ও ফুলের ফটোগ্রাফি শেষ পর্ব:
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ পোস্টের শেষে পর্বটি উপস্থাপন করেছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
কুঁড়েঘর থেকে বেরিয়ে আমরা সোজা চলে গেলাম পশ্চিম দিকে। পশ্চিম দিকে এখানে ছবি তোলার জন্য খুব সুন্দর স্ট্রাকচার তৈরি করা রয়েছে।যেখানে সবাই ভিড় করেছে ছবি তোলার জন্য। এখানে একটি পাথরের মূর্তি তৈরি করা ছিল সেটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। আমরা রেস্ট নিয়ে যখন বেরিয়েছিলাম তখন সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্যাস্ত হবে। সূর্যাস্তের আগে সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করাতে নীল আকাশটা রঙিন হয়ে যায়। আর এই রঙিন আলোতে পার্কের সৌন্দর্যটা আরো বেড়ে যায়। আমরা যে কুঁড়েঘরে বসে ছিলাম তার পাশেই ছোট বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলার জন্য একটি জায়গা ছিল। সেখানে কিন্তু বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারবে। আমি সেখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম যেটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
সেখান থেকে আরো সামনে আসতেই আবারো ফুলের রাজ্যে প্রবেশ করলাম। কারণ এখানে তো শুধু ফুল আর ফুল। পথে একটি সোলার তৈরি লাভ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখলাম। এটি দেখে মনে মনে ভাবতে লাগলাম। এটি দিয়ে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করা যাবে। যেহেতু পড়ন্ত বিকেল ছিল চারি পাশটা সুন্দর লাগছিল তাই ভাবলাম সোলার তৈরি এই লাভটি দিয়ে কিছু সুন্দর ছবি তোলার জন্য। যেই ভাবা সেই কাজ সঙ্গে সঙ্গে সেই সোলার তৈরি লাভটি নিয়ে ছবি তোলার কাজে লেগে পড়লাম। পাশে আরো একটি লাভের স্ট্রাকচার তৈরি করা ছিল। সেটি ছিল অনেক বড় স্টিলের তৈরি । যেখানে বসে অনেকে ছবি তুলছে। আমারও খুব ইচ্ছে ছিল সেখানে বসে ছবি তোলার জন্য কিন্তু পারলাম না। কারণ আমার বন্ধুরা তাদের মতন ছবি তোলার কাজে ব্যস্ত ছিল। তারা পার্কে থাকা ক্যামেরা ম্যানদের সাহায্যে নিজেদের ছবি তুলছিল। আমাকেও ডেকেছিল আমিও বন্ধুদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবি তুললাম স্মৃতি রেখে দেওয়ার জন্য।
এখানে কিছু ঝাউ গাছ লাগানো হয়েছিল যা এখনো খুবই ছোট রয়েছে। কিন্তু যখন এই ঝাউ গাছগুলো বড় হয়ে উঠবে তখন এই পার্কের সৌন্দর্যটাকে বাড়াতে অনেকটাই সাহায্য করবে। যাইহোক কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্যাস্ত হয়ে গেল চারি পাশ অন্ধকারের পরিণত হলো। অন্ধকার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্কের বিভিন্ন ধরনের লাইট কিন্তু জ্বলে উঠলো। বিভিন্ন ধরনের লাইট জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে পার্কের সৌন্দর্যটা আরো বেড়ে গেল।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:০৯.০৪.২০২৪
সময়:০৬.৩৫মিনিট
স্থান: যশোর, বাংলাদেশ
যাইহোক ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখলাম আমাদের ট্রেনের সময় হয়ে গিয়েছে। তাই পার্ক থেকে বেরিয়ে সোজা একটি ইজিবাইক করে দশ টাকা ভাড়া দিয়ে সোজা চলে গেলাম বাস স্ট্যান্ডে। বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে রইলাম বাস আসার জন্য। কিছুক্ষণ পরে বাস এলে বাসে করে চড়ে ৪৫ টাকা ভাড়া দিয়ে যশোর চেকপোস্টে নেমে পড়লাম। এখান থেকে আরো দশ টাকা ভাড়া দিয়ে একটি ইজিবাইক করে যশোর ট্রেন স্টেশনে গেলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আমরা যখন ইজিবাইক থেকে নাম ছিলাম তখনই দেখতে পেলাম ট্রেনটি ছেড়ে দিচ্ছে। দ্রুত ভাড়া মিটিয়ে ট্রেনটি ধরার চেষ্টা করলাম। কিন্তু শত চেষ্টা করেও ট্রেনটি ধরতে পারলাম না। খুবই মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল কারণ বাড়ি ফেরার জন্য এই লাস্ট ট্রেনটি ছিল কিন্তু সেটি আমরা মিস করলাম😔😔😔😔। যাই হোক আমাদের বাড়িতে আসতেই হত তাই দেরি না করে আমরা আবারো একটি ইজিবাইক ভাড়া করে সোজা চলে গেলাম বাস স্ট্যান্ডে। বাস স্ট্যান্ডে যে বাসে একেক জন 500 টাকার বেশি ভাড়া দিয়ে আমরা রাত দুটোর সময় বাড়িতে ফিরলাম।
যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে যশোর গদখালী পার্কটি খুব ভালো লেগেছে।পার্কটি বেশি আয়েতন নিয়ে তৈরি করা না।কিন্তু যতটুকু জায়গা জুড়ে এই পার্কটি তৈরি করা হয়েছে। ততটুকুই ফুল আর ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আর আপনি এখানে গেলে আপনার যেদিকে চোখ যাবে সেদিকেই শুধু আপনি দেখতে পারবেন ফুল আর ফুল। মনে হবে ভুল করে আপনি একটি ফুলের রাজ্যে এসে পড়েছেন। আমি অনেক পার্কেই ঘোরাঘুরি করেছি কিন্তু যশোর গদখালী পার্কে ঘুরে আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। কারণ এই পার্কটি খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল আর এখানকার মানুষ খুবই নম্র ভদ্র ছিল যার কারণে আরো বেশি ভালো লেগেছিল। সবকিছু মিলিয়ে যশোর গদখালী পার্ক আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
গতখালী পার্কের বিভিন্ন দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো দাদা। এরকম সুন্দর কোন জায়গায় ঘুরতে যেতে অনেক ভালো লাগে। আর আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
সূর্য যখন ডুবতে বসে লাল রং ধারণ করে তখন চারপাশের প্রকৃতি যেন আরো বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে। সেই সময়ের ফটোগ্রাফি গুলো এমনি সুন্দর হয়। পার্কে ঘুরতে গিয়ে কিন্তু খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। পার্কে যেতে খুব বেশি খরচ হয়নি আপনাদের দেখলাম। কিন্তু খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
আপনার লেখনীর মাধ্যমে পার্কের প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং সেখানকার ফুলের রাজ্যের বর্ণনা অসাধারণ ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। আপনার এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আমি নিজেও গদখালী পার্কে যেতে উৎসাহিত হলাম। ধন্যবাদ এমন একটি চমৎকার পোস্ট ভাগাভাগি করার জন্য।
আপনার ঘুরাঘুরি করার আগের পর্বগুলো না দেখলেও শেষ পর্বটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এই পর্বের মাধ্যমে দেখেছি, যেগুলো দেখে তো জাস্ট মুগ্ধ হলাম। আপনি এই সুন্দর পার্কটাতে ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফিও করেছেন। পার্কের সৌন্দর্য দেখে তো আমি জাস্ট মুগ্ধ হলাম। এরকম সুন্দর পার্কে গেলে দারুন মুহূর্ত কাটানো যাবে। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত, সেই সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ভাগ করে নিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ।
আরে বাহ্ আপনি তো দেখছি খুব সুন্দর একটা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। যদিও এই পার্কের অনেক সৌন্দর্য আমি মিস করেছি। কারন এর আগের পর্বগুলো আমি দেখিনি। তাই আগে শেয়ার করা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো ও দেখিনি। খুবই সুন্দর করে আপনি আজকে শেষ পর্ব টা শেয়ার করেছেন। অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি ও এই পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন দেখে অসম্ভব ভালো লাগলো। কখনো যদি এই জায়গায় যাই তবে পার্কটাতেও যাবো। কারণ পার্কের সৌন্দর্য এবং পরিবেশ আমার খুব পছন্দ হয়েছে।