তোমার ছোঁয়া গল্প পর্ব:৪

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি 'তোমার ছোঁয়া' গল্পের চতুর্থ পর্বটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে তোমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।

pexels-jasminecarter-888899.jpg
সোর্স



মানবিকা তন্ময়ের কাছে কিছু প্রশ্ন জানতে চায়। তখন মানবিক বলে।
মানবিকা: আচ্ছা তন্ময় তুমি তো অনেক বড় হয়েছ আমি অনেক বড় হয়েছি। আমরা দুজনেই দুজনার ভালো মন্দ বুঝতে পারি।
তন্ময়: হ্যাঁ আমরা যথেষ্ট বড় হয়েছি আমরা নিজেদের ভালো-মন্দ বুঝতে পারি। কিন্তু তুমি কি বলতে চাচ্ছ?
মানবিকা: তোমার কি মনে আছে সেই স্কুল জীবনের কথা? আমরা যখন প্রথম স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। প্রথম দিনের ক্লাসে তুমি আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলে। আমি ক্লাসরুমে ঢুক ছিলাম আর তুমি ক্লাস রুম থেকে বের হচ্ছিলে দরজার সামনে আমাদের সামনাসামনি দেখা হয়। তুমি তখনও অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলে কিছুই বলতে পারছিলে না। তোমার কি মনে আছে সেদিনের সেই দিনগুলো?
তন্ময়: হা হা হা হ্যাঁ আমার সবটাই মনে আছে। আমি প্রথম যখন ক্লাসে তোমাকে দেখেছিলাম। ওই প্রথম দেখাতেই আমি তোমাকে পছন্দ করে ফেলি। কিন্তু আমি তোমাকে কোনদিন আমার পছন্দের কথা বলতে পারিনি।


মানবিকা: তোমার মনে পড়ে একদিন আমাদের স্কুল ছুটি হওয়ার পর আমরা সবাই একসাথে বাড়িতে ফিরছিলাম। হঠাৎ তোমার এক বন্ধু আমার হাত ধরে। আমি তোমার সেই বন্ধুকে চড় মারি আর তুমি হাঁটছিলে। তখন আমি তোমাকে অনেক বকাঝকা করেছিলাম।
তন্ময়: সেদিন আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমি শুধু মনে মনে ভাবছিলাম অপরাধ করল একজন আর রাগ মিটালো আর একজনের উপর। আচ্ছা মানবিকা তুমি তো জানতে আমি তোমাকে পছন্দ করি। তুমিও আমাকে পছন্দ কর কিন্তু কোনদিন বলোনি কেন?
মানবিকা: আমি জানতাম তুমি আমাকে পছন্দ কর। কিন্তু আমি চাইনি আমাদের সম্পর্কটা এত দ্রুত হোক।
তন্ময়: তুমি যদি একটা বার আমাকে বলতে আমি তোমাকে ভালবাসি। তাহলে এতটা বছর আমার প্রেমিকা ছাড়া থাকতে হতো না😀😀😀।


মানবিকা: তোমাকে একটা কথা বলব?
তন্ময়: অবশ্যই বলবে।
মানবিকা: আমি যদি এই মুহূর্ত থেকে তোমার গার্লফ্রেন্ড হতে চাই তুমি কি আমাকে গ্রহণ করবে?
তন্ময়: তুমি কি বলছ আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।
মানবিকা: আমি তোমার গার্লফ্রেন্ড হতে চাই।আমি তোমার ভালোবাসা পেতে চাই যা অনেক বছর আগে থেকে পাওয়া উচিত ছিল আমার। আমি আর তোমাকে হারাতে চাই না। তুমি হয়তো জানো না তোমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ সঠিক খবর দিতে পারিনি। কতবার তোমার বন্ধুদের কাছে তোমার নাম্বার চেয়েছি কিন্তু তারা আমাকে দেয়নি।
তন্ময়: আমি জানি তুমি অনেক বার আমার বন্ধুদের কাছে আমার নাম্বার চেয়েছ। আমার বন্ধুরা আমাকে বলেছে সব। নাম্বারটা আমি দিতে নিষেধ করেছিলাম তাদের দোষ না।
মানবিকা: কেন দিতে বারণ করেছিলে?
তন্ময়: আমি তোমার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। তোমাকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যতবার তোমাকে ভুলে যাওয়ার কথা চিন্তা করেছি ততবার তোমাকে মনে পরেছে।


যাই হোক পরবর্তীতে তারা দুজনেই দুজনের নাম্বার নেয়। আর সেখান থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে তৈরি হতে শুরু করে। বেশ কিছুদিন তাদের সম্পর্ক ঠিক ঠাক চলছিল।হঠাৎ বেশ কিছুদিন মানবিকা তন্ময়ের সাথে যোগাযোগ করা ছেড়ে দেয়। তন্ময় ফোন দিলে ধরতে চায় না। আর ফোনটি ধরলেও ঠিকভাবে কথা বলতে চায় না। তন্ময় বিষয়টি কিছুই বুঝতে পারে না সে শুধু ভাবতে থাকে মানবিকা কেন এমনটি করছে কি হয়েছে। বেশ কিছুদিন এমন ভাবে ইগনোর করতে থাকে তন্ময় কে। তন্ময় একটা পর্যায়ে মানবিকাকে দেখা করার কথা বলে। মানবিকা প্রথমে রাজি হয় না। কিন্তু তন্ময়ের জোরাজুরির কারণে পরবর্তীতে মানবিকা তন্ময়ের সাথে দেখা করবার জন্য রাজি হয়। তন্ময় মনে মনে ভাবছিলাম এই বিষয়টির সমাধান হওয়া উচিত কারণ সে এতটা মানসিক প্রেসার নিতে পারছিল না। তন্ময়ের সামনে পরীক্ষা ছিল আর এই সময় মানবিকা তার সঙ্গে এমন ব্যবহার করা শুরু করে দেয়। তাই তন্ময় অনেক চিন্তাভাবনা করে মানবিকাকে দেখা করার কথা বলে।

আজ গল্পটি এখানেই শেষ করছি।বাকি পর্বটি খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Sort:  
 last month 

বাহ! বেশ রোমান্টিক একটি প্রেমের গল্প ধারাবাহিকভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করতেছেন। আপনার প্রতিটি পর্বের মধ্যে একটা আকর্ষণ লুকায়িত রয়েছে। মানবিকা এবং তম্ময় স্কুল জীবন থেকে একসাথে বড় হচ্ছে। এর মাঝেই প্রেমের সূচনা হলো। দারুন একটি গল্প। এমন রোমান্টিক প্রেমের গল্প উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 67364.26
ETH 3322.90
USDT 1.00
SBD 2.71