'ভালোবাসি তোমাকে ' গল্পের অষ্টম পর্ব

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আমাদের মাঝে 'ভালোবাসি তোমাকে' গল্পের অষ্টম পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।

সোর্স


সকালে ঘুম থেকে উঠে মনিকা দেখে তার একটি হাত শুভর বুকের উপর। তখন সে দ্রুত তার হাতটি সরিয়ে নেয় শুভর বুকের উপর থেকে। মনিকা বিছানা ছাড়তেই শুভ ঘুম ভেঙ্গে যায় আর সঙ্গে সঙ্গে মনিকার একটি হাত ধরে বলে। শুভ সকাল মনিকা। মনিকা উত্তর দেয় শুভ সকাল আপনাকে। শুভ মনিকাকে বলে তুমি কি কিছু বলতে চাও আমাকে? মনিকা বলে না তেমন কোন কথা নাই। আপনি কি কিছু বলবেন আমাকে? শুভ বলে না কিছু বলার নাই। তখন মনিকা বলে হাতটা ছেড়ে দিন আপনার জন্য খাবার বানাতে যেতে হবে। শুভ মনিকাকে বলে থাকো না একটু সময় তোমাকে মন ভরে একটু দেখি। মনিকা শুভকে বলে আমি তো চলে যাচ্ছি না।আপনি আমাকে দেখতে পারবেন। এখন ছেড়ে দিন আপনার অফিস আছে। লেট হয়ে গেলে না খেয়ে আপনার অফিসে যেতে হবে। তাই বলছি হাতটা ছেড়েদিন। শুভ মনিকার হাতটি ছেড়ে দেয় আর মনিকা ফ্রেশ হয়ে শুভর জন্য খাবার তৈরি করতে যায়।


হঠাৎ শুভ অফিস থেকে ফোন আছে তাকে আর্জেন্ট অফিসে যেতে হবে। তাই সে সঙ্গে সঙ্গে বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে তাড়াহুড়ো করে চলে যায় অফিসে। যাওয়ার সময় মনিকাকে বলে যায় সে যেন খাবার খেয়ে নেয়। মনিকা রান্নাঘর থেকে আসতে আসতে শুভ রওনা দেয় অফিসে। খুব তাড়াহুড়ো করে শুভ অফিসে পৌঁছে যায় এবং সোজা চলে যায় বসের রুমে। শুভ বসের রুমে যেয়ে দেখে একটি মেয়ে বসে আছে। শুভর বস শুভকে বলে আজ থেকে তোমার সহকারি হিসেবে কাজ করবে। মেয়েটি তখন শুভ দিকে তাকায়। মেয়েটি অবাক হয়ে যায় কারণ মেয়েটির শুভকে অনেকদিন ধরে চিনে। তারা একসঙ্গে পড়াশোনা শেষ করেছে। মেয়েটির চাকরি হয় অন্য একটি কোম্পানিতে আর শুভর চাকরি হয় অন্য একটি কোম্পানিতে। তারা দুজন দুজনকে চিনতে পেরে দুজনেই হাসতে থাকে। তখন বস শুভকে বলে তোমরা কি একে অপরকে চিনো?তখন শুভ বলে হ্যাঁ স্যার আমরা একে অপরকে চিনি আমরা দুজনে বন্ধু। বস তখন বলে তাহলে খুব ভালোই হলো তোমাদের দুজনের কাজটা করতে অনেকটা সহজ হবে।


শুভ বসের রুম থেকে বেরিয়ে তার রুমে যায় সঙ্গে মেয়েটিও যায়। মেয়েটির নাম অর্পা। অর্পা শুভকে বলে অনেকদিন পরে তোমার সঙ্গে দেখা।আগে বলো কেমন আছো তুমি?শুভ বলে ভালো আছি।তুমি কেমন আছো? অর্পা বলে ভালো আছি। অর্পা বলে ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে তোমার সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ নাই।কি হয়েছিল তোমার? শুভ বলে ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে আমি বাসায় আসি। বাসায় এসে আমি পকেট থেকে ফোনটি বের করতে যাই তখনই দেখি আমার ফোনটি নাই। মনে মনে ভাবতে লাগলাম হয়তো বা বাসের ভেতর কোন পকেটমার ফোনটি নিয়ে গেছে। এরপর থেকে আমি কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। যাইহোক অনেকদিন পর তোমার সঙ্গে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগলো। চলো তোমাকে কাজগুলো বুঝিয়ে দেই।
শুভ অর্পাকে সব কাজ বুঝিয়ে দেয়। লাঞ্চের সময় হয়ে যায় কিন্তু আজ শুভ লাঞ্চে কোন খাবার আনেনি আবার এদিকেও অর্পার প্রথম দিন সেও কোন খাবার আনেনি। তাই শুভ খাবার অর্ডার দেয় দুজনের জন্য।


অন্যদিকে মনিকার কিছুতে খাবার খেতে ইচ্ছা করছিল না। কারণ একটাই শুভকে সে ভালবেসে ফেলেছে আর ভালোবাসার মানুষটি যখন না খেয়ে থাকে তখন কোন কিছু খেতে কিন্তু ইচ্ছা করে না। মনিকার ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনায় ঘটেছে। কারণ সকালে না খেয়ে তাড়াহুড়ো করে শুভ অফিসে বের হয়ে যায়। মনিকা শুভকে ফোন দেয় কিন্তু ফোনটি শুভ রিসিভ করে না। শুভ বাথরুমে ছিলো যার কারণে মনিকার ফোন ধরতে পারে না। মনিকা অনেকবার ফোন দিচ্ছিল অর্পা এটি দেখতে পরে সে ফোনটি রিসিভ করে। মনিকা হঠাৎ মেয়ে কন্ঠ শোনার সঙ্গে সঙ্গে একটু চমকে যায়। অর্পা বলে কে আপনি এতবার ফোন দিচ্ছেন? মনিকা বলে আমি যে হই আপনি কে? মনিকা বলে এটা শুভর নাম্বার না। অর্পা বলে হ্যাঁ এটা শুভর নাম্বার কিন্তু আপনি কে বলছেন? মনিকা বলে সেটা না হয় শুভর কাছ থেকে জেনে নিবেন আমি কে হই। শুভ কোথায়?অর্পা বলে সে ফ্রেশ হতে গেছে আসলে বলব। মনিকা ফোনটি রেখে দেয়। আর মনে মনে ভাবতে থাকে শুভ রুমে একা কাজ করে তাহলে শুভর ফোনটি ওই মেয়ে ধরল কেনো। মনিকার মনের ভিতর সন্দেহ কাজ করতে থাকে কে হতে পারে মেয়েটা।

আজ গল্পটি এখানেই শেষ করছি। বাকি পর্ব খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।