"রথযাত্রা আনন্দের মুহূর্ত"
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে রথ যাত্রার আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করছি।আশা করি, সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
অনেকদিন ধরে ভেবেছিলাম যে রথ যাত্রায় পুরীতে যাব। কিন্তু অনেক কাজ থাকার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি তাই ভাবলাম বাড়ির পাশে একটি জগন্নাথ মন্দির রয়েছে আর এখানে প্রতিবছরই রথযাত্রা উৎসব হয়ে থাকে। এখানেই এ বছর রথযাত্রা উৎসবটা পালন করব। যেই ভাবা সেই কাজ দেখতে দেখতে রথযাত্রা উৎসবের দিনটা চলে এলো। যেদিন জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা ঠিক সেদিনই প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। বাড়িতে বসে বসে ভাবছিলাম এই বছর হয়তো আর রথযাত্রার উৎসবটা পালন করা হবে না খুব মন খারাপ হচ্ছিল। কারণ যেখানে যাওয়ার কথা ভাবে যদি সে জায়গায় না যাওয়া যায় তাহলে সবারই মনটা খারাপ হয়ে যায় আর সেটাই আমার হয়েছে।
দেড় ঘন্টার মতন একটানা বৃষ্টি হওয়ার পর একটু বৃষ্টির মাত্রাটা কমে গেল। আমি ভাবলাম এই বুঝি সৃষ্টিকর্তা আমার দিকে তাকিয়েছে আমি এখনই বের হব আর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসবটা পালন করতে পারব। কিন্তু যখনই বের হব ঠিক তখনই আবার বৃষ্টি হতে শুরু করে দিল আমিও মনে মনে ভাবতে লাগলাম ঈশ্বর মনে হয় আমার পরীক্ষা নিচ্ছে। আমিও ঈশ্বরকে বললাম তুমি যতই আমার পরীক্ষা নেও না কেন আজ আমি শত কষ্ট হয়েও তোমার মন্দিরে উপস্থিত হবই। আমার সাথে আমার একটা ভাগ্নে দুজন ছোট ভাই আর আমার বন্ধু সত্যজিৎ আমরা পাঁচ জনে বৃষ্টির মধ্যে জগন্নাথ মন্দিরে উপস্থিত হলাম। সেখানেই দেখতে পেলাম আমাদের মতন এখানে আরও অনেক ভক্ত এসেছে। আজ যেহেতু বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল এ কারণে রথ আর বাইরে বের করা হয়নি মন্দিরের ভিতরে আজ রথ যাত্রার উৎসবটা পালন করা হবে। আমি মন্দিরে প্রবেশ করেই ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করলাম। প্রথম মন্দিরে ভক্তরা নাম কীর্তন করছিল কারণ এখনো সময় হয়নি টানার আমিও নামকীর্তনে অংশগ্রহণ করলাম খুব ভালো লাগছে না মনে হচ্ছিল আমি যেন এক অন্য রাজ্যে বসবাস করছি। এটাই সত্য কারণ যখনই আপনি মন থেকে ঈশ্বরকে ডাকবেন তখন মনের ভিতর আনন্দ উপলব্ধি করতে পারবেন।
একটা সময় নাম কীর্তন করার পর সবাই ঈশ্বরকে প্রণাম করল আর রথ টানার জন্য সবাই প্রস্তুত হল। প্রথমে পুরোহিত রথটি ভালোভাবে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলল দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। এরপর রথে রশি বেঁধে ভক্তদের মাঝে লম্বা করে টাঙিয়ে দিল। আর এই রশি ধরে রথটি টানতে হবে প্রচুর ভক্তের ভিড় হয়েছে। আমি প্রথমেই ছিলাম কিন্তু প্রচন্ড ভিড়ের দেখার কারণে আমি একটু নিরিবিলি থাকার জন্য সবার পেছনে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু এত ভিড় হয়েছে মন্দিরে আজ, যে আমি যেতেই পারলাম না মাঝে বাধা পড়ে গেলাম আর এখানেই দাঁড়িয়ে রথ টানতে লাগলাম।
তারিখ:২৭.০৬.২০২৩
সময়:০২.১২মিনিট
রথযাত্রা প্রসেসটা শেষ করার পর এবার ভক্তরা সবাই জগন্নাথ দেবের প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হল। জগন্নাথ দেবের প্রসাদ গ্রহণ করতে হলে এই মন্দিরে আপনাকে মেঝে বসে সেটি গ্রহণ করতে হবে। তাই সবাই বসার জন্য আসন মেঝে দিয়ে বসে পড়ল। একটু পরে একটু প্লাস্টিকের থালা দিল থালাতে পরিষ্কার করার জন্য সামান্য জল দিল। তারপর এটি উঠিয়ে নিল তার একটু পরেই মহামূল্যবান সেই প্রসাদ সবাইকে সেবা দেওয়ার জন্য নিয়ে এলো। প্রসাদের গ্রামে আমি যেন পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম প্রসাদের পরিমাণটাও বেশি দিচ্ছিল দেখি খুবই খুশি।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য :3.37mm
তারিখ:২৭.০৬.২০২৩
সময়:৪.০৩মিনিট
প্রসাদ এত সুস্বাদু হয়েছিল যে মন চাচ্ছিল আরেকটু খাই তাই সঙ্গে সঙ্গে ডাক দিয়ে বললাম আমাকে আর একটু দিতে কিছু না বলে আমাকে প্রসাদ দিয়ে গেল আমিও কথা না বলে চুপচাপ খেতে শুরু করে দিলাম। মন ভরে প্রসাদ গ্রহণ করলাম কারণ খাওয়া দাওয়া কম থাকলে আমার আবার ভালো লাগেনা। পুরীতে না যেও বাড়ির কাছে জগন্নাথ মন্দিরে যে রথযাত্রা উৎসব পালন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছিল খুব আনন্দ করেছি।
আসলে এ ধরনের ধর্মীয় উৎসব মানে আনন্দে পরিপূর্ণ থাকে চারপাশ। রথ যাত্রার আনন্দ ঘন মুহূর্তটুকু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এ ধরনের রথ যাত্রার আনন্দের মুহূর্ত কখনোই উপভোগ করার সুযোগ হয়নি আমার। তবে আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সবাই করে আমার কষ্ট করার জন্য।