নিজের সন্তানের সাথে প্রথম ঈদ ২ পর্ব। ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য

আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। গতকাল পোস্টে বলেছিলাম বগুড়া আসার সময় অনেক গুলা ঘটনা ঘটেছে সেগুলা শেয়ার করবো।

আমার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। ঢাকা থেকে ২ ঘন্টা লাগে না যেতে। আমি ঈদে এমন দূরে কোথাও যাই নাই। এবার প্রথম বলা যায়। ঈদের দিন এক পরিচিত ভাই এর পশু কাটলাম। শরির ব্যাথ হয়ে গেছে। এসে ঘুম দিলাম। সন্ধায় বগুড়া আসার জন্য বের হলাম। মাজার রোড কাউন্টারে এসেই হানিফে এসি বাসে টিকিট কাটলাম। বসে আছি গাড়ি ১১ টার সময়। আমার সাথে অনেকেই বসে ছিলো। ১১ টা ১৫ মিনিটে গাড়ি আসলো ঠিক কিন্তু সেটা হানিফ বাসের না। একটা ঢাকার এসি বাস। যা ঢাকায় চলে। সবাই অবাক হয়ে গেলাম। কারন এই বাসে এতো দূরে কিভাবে যাবো। কাউন্টারে গিয়ে রাগারাগি করলাম। পরে টাকা ফিরত দিয়ে দিলো। কিন্তু এতো রাতে গাড়ি পাবো কই।

উল্টা পথে হেটে হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম। নিজের সন্তানকে দেখার জন্য মনটা কেমন জানি করছিলো। এমন সময় নাবিল এর স্কেনিয়া একটা বাস নীলফামারীর উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে। আমি বললাম ভাই যাওয়া যাবে? বলল কই যাবেন আমি বললাম বগুড়া। বলল ২৫০০ টাকা লাগবে😳😳। যেখানে ভাড়া আছে সর্বচ্চ ১০০০/-। আমি বললাম ভাই ১৫০০/- দিবো। আমায় পাত্তাই দিলো না। আমিও দাড়িয়ে আছি। এবার বলল ১৮০০/- দিয়েন। আমি বললাম না ভাই ১৫০০/- হলেই যাবো। কারন কোন দিট নেই। ড্রাইবার এর পাশে একটা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে যেতে হবে। এক পর্যায়ে আমায় উঠতে বলে। আল্লাহ এর নাম নিয়ে উঠে গেলাম। ওমা বইলাপুর যাওয়ার পরে গাড়ি এমন অবস্থা হয়েছে অল্পের জন্য এক্সিডেন্ট করে নাই। গাড়ি হাইডোলিক এর একটা কি জানি নষ্ট হওয়াতে এক সাইড পুরা নেমে গেছে। এবার সুপারভাইজার বলতে এই গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না 😳। পরে গেলাম আরেক মহা চিন্তায়। ড্রাইবার সহ আমিও ছিলাম সাথে গাড়িটা ঠিক করার চেষ্টা চলছিলো। ১ ঘন্টা চেষ্টা করার পরে গাড়ি ঠিক হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

এবার আল্লাহ এর নাম নিয়ে চলতেছিলো গাড়ি। কিন্তু আবার ঝামেলা কোন হটেল খোলা নেই। একটাই হোটেল খোলা যার অবস্থা প্রচুর খারাপ ছিলো। এতো নোংরা যা বলার মতন না। যাই হোক নিকের গন্তব্য স্থানে এসে নেমে গেলাম। এবার সেখান থেকে বাসায় আসার জন্য নাই কোন সি এন জি। মানুষ মিনিমাম ৫০০ জন দাড়িয়ে আছে। অনেক সময় দাড়িয়ে থাকার পরে একটা সি এন জি পেলাম বললাম ভাই আমায় নিয়ে চলেন ভাড়া চাইলো ৪০০/- বললাম সমস্যা নেই চলেন। সেখান থেকে এসে বাজারে নামলাম। ওই জায়গা থেকে আবার ব্যানে উঠা লাগে সেখানেও ব্যান নেই🥹। মনে হচ্ছিল কি এক জালায় পরে গেলাম। ৫ টাকার ভাড়া একটা ব্যান পেয়ে তাকে ৫০/- রাজি করে বাসায় আসলাম। সত্যি বলতে কি এতো কষ্টের পরে যখন বাসায় ঢুকে মেয়েকে দেখলাম মনে হলো আর কোন কষ্ট নেই। এটাই বুঝি ভালোবাসা বাবা মেয়ের💚💚💚🖤💚।