এক বিয়েতে ৭ দিনের জন্য আমি শেষ

বিয়ে কিন্তু আমার না 😜😜। বন্ধুর বোনের বিয়ে। কিন্তু খুব ব্যাস্ত হয়ে গেলাম একটা বড় দায়িত্ব নেয়ার পরে। ক্যামেরা ম্যান ঠিক করবো বিশ হাজার টাকা চায়। আমি বন্ধুকে বললাম জানি তোর হাতের অবস্থা ভালো না। কারন বিশাল পোগ্রাম আংটু পাংটু কেনা হাহহা এগুলা করেও অনেক খরচ হয়ে গেছে ওর। বড় ছেলে চাইলেও তো বাবার কাছ থেকে টাকা চাইতে পারে না। তাই দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করলাম। সম্পূর্ণ ভিডিও আর ছবি তুলার দায়িত্ব ছিলো আমার।কিন্তু সমস্যা হয়ে গেলো আমার ক্যামেরা সেট আপ ছিলো। সব বিক্রি করে দিয়েছি। তাই আমি এক বড় ভাই এর কাছ থেকে ক্যামেরা আনতে হয়েছে। যাই হোক ভিডিও করতে গিয়ে মজা তেমন করতে পারলাম না শুরুতে তবে শেষে ভালোই মজা করেছি। গায়ে হলুদের পার্ট আমি সামনে পোস্ট আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

দায়িত্ব খুব বড় একটা জিনিস। আমি জানি যে আমি এই সপ্তাহে একটিভ লিস্টে থাকবো না। কিন্তু কি আর করা দায়িত্বগুলো যখন ছিল সেগুলি তো কাজ করতে হবে। আসলে ছবি তোলা আর ভিডিও করার চাইতে বেশি পরিশ্রমের কাজ হচ্ছে সব কাজ গুলো কে একত্রে করে এডিট করা। আমি একটা 20 মিনিটের ভিডিও তৈরি করেছি যার জন্য আমার ৮ ঘণ্টা কম্পিউটারে বসে থাকতে হয়েছে। কারণ আমি চেয়েছিলাম ভিডিওটা একদম প্রফেশনাল লেভেলের হয়। ভিডিও এডিট সবাই খুব পছন্দ করেছে।এটা সত্যি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া ছিলো। গায়ে হলুদ এর ভিডিও এডিট করতেই ৮ ঘন্টা শেষ। বিয়ের পার্ট এখনো করি নাই। ভিডিও টায় গান এড করা ইউটিউবে দিলে কপি রাইট না ভিডিও ক্লেইম খেয়ে যাবো। তা না হলে ভিডিও টা শেয়ার করতাম এখানে। তবে একটা ইন্ট্রো মেক করার ইচ্ছে আছে সেটা শেয়ার করবো।

বিয়ের আগে যত কাজ ছিল সেগুলোর মধ্যে একটি দায়িত্ব ছিল কারণ ভালো বন্ধু বলে কথা ।এত বড় অনুষ্ঠান পুরো রাস্তা জুড়ে লাইটিং করা হয়েছে। এগুলি করতেও তো পাশে দেখাশুনার জন্য লোকের প্রয়োজন। তবে এগুলো কাজের ভিতর ভালো লাগা কাজ করে। অনুষ্ঠান মানেই ভালো লাগা কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু শিক্ষণীয় বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

এরপরে আমরা ছোট বোন এর শ্বশুর বাড়িতে যে ফার্নিচারগুলো পাঠাবো সেগুলো কে গাড়িতে উঠিয়ে দিলাম কারন আমরা ঢাকা থেকে এগুলো তৈরি করেছি পাঠাবো শরীয়তপুর।তাই নিজেদের এক চাচার পিকআপে করে সব মাল রাতেই পাঠিয়ে দিয়েছি।