প্রতিযোগিতা-০৬ এ অংশগ্রহণ ||বিলুপ্তপ্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতি ||10% Beneficiaries @shy-fox
আজ || ২৮ ভাদ্র,১৪২৮ বঙ্গাব্দ ||১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ইংরেজি || রোজঃরবিবার ||
ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি **আমার বাংলা ব্লগ** কমিউনিটির প্রিয় বাংলাদেশী এডমিন জনাব @moh.arif ভাইকে।ভাইয়ার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা এত সুন্দর একটি কন্টেস্ট উপহার দেয়ার জন্য ।আমি মনে করে এই প্রতিযোগীতার মাধ্যমে অনেক বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি সম্পর্কে আমরা নতুন ভাবে জানতে পারবো।
জীবনের সেই দিন গুলা আজ আবার নতুন করে ফিল করতে পারছি ,সত্যি ধন্যবাদ @moh.arif এই ফিল গুলি ফিরিয়ে দিলেন ।পহেলা বৈশাখ আসলেই খুশি হয়ে যেতাম এই মেলার জন্য ।এখন পহেলা বৈশাখ আসলে যেই ভাবে চিন্তা করি ঘুরতে যাবো তখন ছোট থাকার কারনে এগুলা ফিল হতো না ।শুধু পহেলা বৈশাখ আসলেই চিন্তা করতাম প্রথম মঙ্গল বার কবে আসবে ।
সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা আমার ছোট থেকেই ছিল।হিন্দু ধর্মের ভাই বোন যারা ছিলেন তারাই মূলত এই মঙ্গল বারে একটা পূজা করতেন সেই খুশিতে তারা এই মেলা টা অনুষ্ঠিত করতেন ,আর আমরা সেই মেলায় অংশগ্রহন করতাম ।
সকাল সকাল হিন্দু ধর্মের বোনেরা পূজা শুরু করতেন এর পর সবাই রঙ মাখামাখী করতেন ।আর আমরা যারা মুসলিম ধর্মের ছিলাম তারাও সেখানে থাকতাম ।বিশেষ করে মেলা টা একটা আলোরন হয়ে যেত ।এই মেলাতে খেলনা থাকতো কম বেশি সব ধরনের ,নাগর দোলা,বিভিন্ন খেলার জিনিস ৯ডি,৩ডি এই ধরনের অনেক কিছু থাকত।
মঙ্গল বার আসলেই সকাল সকাল ঘুম থেকেই উঠে দেখতাম মেলা বসেছে কিনা ।মজার বেপার হচ্ছে মেলা টা হতো এমন জায়গাতে যেখানে যেতে হলে নৌকা দিয়ে পার হতে হত যদিও এটা ছিলো একটা ছোট খাল টাইপের ।মেলায় যাওয়ার জন্য সকালে খেয়েই কাকা ফুফুর বাসায় চলে যেতাম আমি আর আমার বোন ,কাকা দিত ২০ টাকা করে ফুফু দিত ৩০ টাকা করে মাঝে মাঝে কাকা দিত ৫০ টাকা ।তারা জানতো আমি আর আমার বোন সকালে হাজির হয়ে যাবো তাই কাকা অফিসে যাওয়ার আগেই টাকা রেখে যেত ।টাকা নিয়েই চলে আসতাম মেলায় যাওয়ার জন্য ।এবার বাবাকে বলতাম বাবা টাকা দাও বাবার থেকে নিতাম ১০০ টাকা মায়ের থেকেও টাকা নিতাম ।চলে যেতাম মেলায় ।সবাই এক সাথে যেতাম ।মেলায় একটা খারাপ দিক ছিল নৌকা যে যেতাম ,যেতে টাকা লাগতো সেই টাকা নিয়ে ভাগা ভাগীতে প্রতি বছর বিশাল মারামারি হতো এপার আর অই পারের মানুষ ।এটা যেন একটা নিয়ম হয়ে গেছিল তাই আমরা সন্ধ্যা হবার আগে আগেই যেতাম যাতে করে সন্ধার আগে আগে এসে ফিরতে পারি বাসায়।মেলায় যেয়েই আমি কিনে ফেলতাম পিস্তল ,আর আপু কিন্তেন থালা বাসন ।বিভিন্ন মুরালি কিনতাম যেগুলা মিঠাই আর আটা দিয়ে বানাতো।মিষ্টি কিনতাম বিভিন্ন ধরনের। সেই দিন গুলা আজ চোখে ভাসে 😢😢😢@moh.arif ভাইয়া এই প্রতিযোগীতার জন্য সত্যি ধন্যবাদ। নতুন ভাবে মনে হচ্ছে সব ফিল করছি চোখে পানি টলটল করছে কি ভালো ছিল সেই ছোট বেলা 😢😢😢
এটা পূজার একটা ছবি
এটা অনন্দে থাকা কিছু দোকান মালিকের ছবি ।
খুব খারাপ লাগে এই মেলা টা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে আজ প্রায় ৪ বছর হয় ।এর কারন ঢাকা দিন দিন উন্নতি হচ্ছে ।বলেছিলাম একটা খাল ছিল সেই খাল টায় একটা ব্রিজ হয়েছে এবং রাস্তা গয়ে গেছে ।এখন এদিক দিয়ে প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে তাই সেই ভাবে আর মেলা হয় না বললেই চলে ।
প্রতিটা ছবি আমার উইটিউব এর নিজের করা ভিডিও থেকে স্ক্রিনশর্ট নেয়া ।
ইউটিউব এর ভিডিও লিংঃ
আমি সাইফুল ইসলাম রাজু ।
ডিপ্লমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ।
ঢাকা মোহাম্মাদপুর থেকে কাজ করি ।
মুন্সিগঞ্জ এর ছেলে ।
বাংলাদেশের একটি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন ই-কমার্সে কাজ করি।
ডিপ্লমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ।
ঢাকা মোহাম্মাদপুর থেকে কাজ করি ।
মুন্সিগঞ্জ এর ছেলে ।
বাংলাদেশের একটি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন ই-কমার্সে কাজ করি।
আমাদের গ্রামে আগে এরকম লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন ধরনের উৎসব পালন করা হতো কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব গুলোই বিলুপ্তপ্রায়। আপনি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন যা আমার কাছে অনেক ভালো লাগেছে। প্রত্যেকটি উপস্থাপনার বিষয়গুলো আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন কেন, কিভাবে,, কোথা থেকে শুরু সবকিছু আপনি অনেক গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।।
অসাধারন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপনি।আমিও মেলা নিয়ে একটি পোস্ট করবো ভাবছি।আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর হয়েছে।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইলো ভাই।
ভাইয়া লিখে ফেলেন আমিও আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম আর ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য
ইউটিউব চ্যানেল কি আপনার নিজের?
জি ভাইয়া ইউটিউব চ্যানেলটা আমার নিজের ভাইয়া
আপনার লোকসংস্কৃতি পড়ে ভালো লাগলো।সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি।আমি ও সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি কারণ ধর্ম আলাদা হলেও সৃস্টিকর্তা এক।ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
আপনার পোস্টের উপস্থাপনা এবং সাক্ষাৎকার এর ব্যাপার টা অনেক ভালো ছিলো।কিন্তু ভাই পহেলা বৈশাখ উৎসব তো বিলুপ্ত বা বিলুপ্ত প্রায় না। এ উৎসব আমরা বাঙালি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন হতেই থাকবে।
ভাইয়া এই গল্পে আসলে পহেলা বৈশাখের কথা বলা হয়নি বলা হয়েছে আমাদের এলাকায় পহেলা বৈশাখের পরবর্তীতে মঙ্গলবারে একটি মেলা হতো সেই মেলাটি এখন এই এলাকায় আর হয়না এটা অনেকটা বিলুপ্ত হয়ে গেছে