বনলতা বিরিয়ানি হাউজের রিভিউ|| [10% 𝕭𝖊𝖓𝖊𝖋𝖎𝖈𝖎𝖆𝖗𝖎𝖊𝖘 𝖋𝖔𝖗 @𝖘ʜʏ-ғᴏ𝖝🦊]

আজকে আমি মিরপুর পল্লবির বনলতা বিরিয়ানি হাউজের রিভিউ দিতে যাচ্ছি। বাইক দিয়ে রাইড শেয়ার করছিলাম। দুপুরে তেমন একটা খাই নাই। খুব খুদা লেগেছিল। এমন সময় রেস্টুরেন্ট টা আমার চোখে পরে। চিন্তা করলাম মোটামুটি কোয়ালিটি ফুল আছে একটা রিভিউ দেয়ার মতন। তাই সোজা বাইক থামিয়ে চলে গেলাম ভিতরে।

সত্যি বলতে আমি আগে যখন রেস্টুরেন্টে খেতে যেতাম কখনও ছবি তুলতাম না কারন আমার কাছে খুব আনইজি ফিল হয় এটা। কিন্তু এখন আমি যেহেতু ব্লগ করি সুতরাং ছবি আমার তুলতেই হবে তাই কোথাও গেলে ইচ্ছে না হলেও ছবি তুলে ফেলি। আজকে যখন ছবি তুলছিলাম কয়েক জন আমার দিকে বার বার তাকাচ্ছিলো 🤭🤭 কেমন জানি লাগছিলো সত্যি হহাহা। আসলে অনেকেই চিন্তা করে এই ছবি ফেসবুকে দিবো তাই তুলি হাহহহা। কিন্তু ছবি তুলেও যে টাকা ইনকাম করা যায় এটা তারা জানে না। যদি জানতো তাহলে তারা নিজেরাও আগে ছবি তুলতো। এই কথা গুলো এখানে একটি বিশেষ কারনে বললাম সেটা হচ্ছে এখান থেকেই বুঝা যায় কোন বিষয় সম্পূর্ণ না বুঝে মন্তব্য করাই বোকামি।

এই রেস্টুরেন্টে আমি এর আগেও খেয়েছি একবার। তখন আমার সাথে আমার ম্যাডাম ছিল। তখন খুব ভালো লেগেছিল। কারন প্রিয় মানুষ সাথে থাকলে ভালো লাগাটা ভিন্ন রকম কাজ করে। আমি একটা কোয়াটার গ্রিল আর একটা নান রুটি অর্ডার করলাম। কোয়াটার এর মূল্য ৯০ টাকা ছিল। আর নান ২০ টাকা। আর একটা ডিউ ছিল সেটা ২০ টাকা নিলো সব মিলে বিল ১৩০ টাকা। আসলে অল্প টাকায় ভালো ছিল আমি মনে করি।

রেস্টুরেন্টটা খুবই ছোট একটি জায়গার মধ্যে তবে এটা দেখতে খুব চমৎকার ছিল। আমি এখন এই রেস্টুরেন্ট এর একটা খারাপ দিক আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চাই। তাদের যে প্লেট বা বিভিন্ন জিনিস অপরিষ্কার হয় সেগুলি পরিষ্কার করার জন্য আলাদা কোন জায়গা ছিল না। যেখানে সাধারন মানুষ ফ্রেশ হয় সেখানেই এগুলা করে। আমি যেয়ে একটু ফ্রেশ হবো কিন্তু সুযোগ পাচ্ছিলাম না। কারন একজন প্লেট পরিস্কার করছিল। এই একটি দিক ছাড়া বাকি সব দিক একদম পরিপাটি ছিল। খাবারের মান যথেষ্ট ভাল ছিল।

নিজের বিজনেস এর জন্য গুনগত মান যাচাই করার গুরুত্ব কতোটা বেশি দেখুন আমি একবার খেয়েছিলাম অনেক আগে। কিন্তু ভালো ছিল বলে আজ আবার গিয়েছি আর আপনাদের মাঝেও শেয়ার করছি। এটাই বলে ফ্রিতে মার্কেটিং।