আরিচা ফেরিঘাট আমার প্রথম যাত্রা | লাজিক খেকের জন্য ১০ % ভালোবাসা |

সেই ছোট থেকে ফেরি ঘাটের কথা শুনে এসেছি কিন্তু কোনদিন ফেরিতে উঠা হয়নি। ছোটবেলায় শুনেছি যখন ব্রিজ ছিলনা তখন সব জায়গাতেই ফেরি ছিল। কিন্তু এখন তো ডিজিটাল সমাজ এর কারণে সব জায়গায় বড় বড় ব্রিজ তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে দুইটি জায়গার মধ্যে ফেরির প্রচলন দেখা যায় একটি হচ্ছে আরিচা ঘাট অপরটি হচ্ছে মাওয়া ঘাট। আমি আজ আরিচা ঘাটে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর নাম আমরা সবাই শুনেছি মূলত মাওয়া ঘাট এর ওইখানেই পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে।

এটা কানাই পুর বাজারের ওই খানে। এই প্রথম গিয়েছি ওই দিকে। এক ভিন্ন রকম এক্সপেরিয়েন্স ছিলো। আমরা ৩ টা প্রাইভেট কার নিয়ে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় সকাল সকাল রৌনা দিলাম। তবে আমি খুব ভয়ে ছিলাম, কারন শুনেছি ফেরিতে অনেক টাইম লাগে আল্লাহ বাঁচিয়েছি আমরা অপেক্ষা করতেই হয় নাই। প্রায় ৩ ঘন্টা লাগলো ফেরিতে উঠতে। ফেরিতে উঠেই উপরে উঠে গেলাম ছবি তুলার জন্য। কিন্তু মজার ব্যাপার আমি আর এক বড় ভাই উপরে যাই। কেউ জানে না আমরা কই ছিলাম। এক সাথে অনেকে থাকলে কিন্তু ভালো লাগে না ছবি তুলতে। ফেরির কিছু ছবি শেয়ার করি।

এটা ফ্রম পার্ট এটা ব্যাক পার্ট ভালো লাগলে স্ক্রিনশট নিন স্ক্রিনশট নিন হাহহাহ।

নদীতে ভালো লাগে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া সো টাফ। সময়টা খুব ভালো ছিলো। সত্যি বলতে কি আনন্দময় সময়গুলো খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।

দুঃখের বিষয় আমরা যখন ঢাকা ব্যাক করি তখন আমাদের তিনটি গাড়ি থেকে একটি গাড়ি এক্সিডেন্ট করে। এক চাচার হাত খুব খারাপ ভাবে ভেঙে যায়। আমরা অন্য গাড়ি দিয়ে তাকে ইমারজেন্সি ঢাকার পঙ্গু হসপিটাল পাঠাই। সাথে দুইজন আহত হয়েছেন। আমরা প্রায় বারোটা বেজে যায় পঙ্গু হাসপাতালে যেতে যেতে। যাওয়ার পর এক্সরে করে দেখি খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছে হাতের। ডাক্তার সোজা বলে দিল হাতের অপারেশন করতেই হবে। বিষয়টি আমাদের জন্য সত্যিই খুব দুঃখজনক ছিল।