রাস্তায় জ্যামের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায় | ১০% এডমিন প্রিয়ানা আপুর জন্য ভালোবাসা |

সত্যি আজকে অনেক খারাপ লাগলো। রাস্তার জ্যামের জন্য ২ জায়গায় ছোট হয়ে গেলাম। আসলে আমি সব সময় কথা দিয়ে কথা রাখার অনেক বেশি চেষ্টা করি। কিন্তু তার পরেও দিন শেষে অনেক সময় তা সম্ভব হয় না। একটা বড় অর্ডার ছিলো কিন্তু কি করবো বুঝতেছিলাম না, কারন প্রডাক্ট কেনার টাকাও নেই হাতে। পরে টাকা হাওলাত নিলাম ২ দিনের জন্য। কারন আমি জানি আজ প্রডাক্ট ডেলিভারি আগামি দুইদিনের ভিতর টাকা সিউর পাবো। চলে গেলাম ফেক্ট্রিতে কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে এতো বেশি জ্যাম ছিল প্রডাক্ট নিয়ে কুরিয়ারে ঠিক টাইমে যেতে পারি নাই। এই যে এক দিন পিছিয়ে গেলো এখন মাল পাবে একদিন পরে কাস্টমার এর কাছেও কথা নড়চড় হয়ে গেলো পাওনাদার এর কাছেও সেম ।

একটি ঘটনা খুব মনে পরে গেলো আজকে। আমি তখন কলেজে পড়ি। বাসে বাসায় যাচ্ছিম। আমি শ্যামলি নামবো। পাশে সিটে একজন মুরুব্বী ছিলো। এক দুই কথায় সে খুব দু:খ প্রকাশ করছিলো। তার আজকে ডাক্টার দেখানোর কথা ছিলো সে গ্রাম থেকে এসেছিলো ঢাকায় ডাক্টার দেখানোর জন্য। এই জ্যাম এর জন্য সে ডাক্তার দেখাতে পারে নাই। লোকটা খুব বিপদে পরে গেছিলো কারন তার সাথে আরেকজন ছিলো। ঢাকায় তাদের পরিচিত কেউ ছিলো না। তারা রাগ করে গ্রামে চলে যাচ্ছিলো। কিন্তু এমন জ্যাম ছিলো সে ২০ মিনিট এর রাস্তা কিন্তু ২ ঘন্টা ঢাকার জ্যামেই কাটিয়ে দিচ্ছিলো🥺🥺।

সত্যি বলতে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষের অনেক ধরনের ক্ষতি হচ্ছে শুধুমাত্র এই ট্রাফিক জ্যামের জন্য। সরকার দিন দিন অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছেন কিন্তু কোনো কিছুতেই কোন কাজে আসতেছে না। এর দুটি বিশেষ কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ দেখতে গেলে বাংলাদেশের ট্রাফিক আইনের যে সকল নিয়ম কানুন রয়েছে তার মধ্যে কিছু ঝামেলা আছে ।ঝামেলাগুলো হচ্ছে যারা আইন রক্ষা করে তারা আইন সঠিকভাবে রক্ষা করছে না। ধরে নিন আমি কোন অন্যায় করেছি সেখানে যদি আমাকে সঠিক শাস্তি দেয়া হয় আমার মনে হয় না দ্বিতীয় বার আমি সেই একই ভুল করব। কিন্তু সেটি দেখা যায় অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে মাফ পাওয়া যায়। তাই মানুষ অন্যায় দিনদিন করেই যাচ্ছে। দেখুন একটি কথা বলতে গেলে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে সকলেই খুব ভালোভাবে আইন কানুন মেনে চলে এর একটি কারণ তারা সেখানে ট্রাফিক এর দায়িত্বে যারা আছে তাদের প্রচুর ভয় পায়। অথচ সেই মানুষগুলোই ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে উল্টাপাল্টা কাজ করে থাকে। তারমানে বোঝাই যাচ্ছে বাহিরের আইন কানুন গুলো ভিতরের আইন-কানুনের সাথে অনেক তফাৎ রয়েছে। আর দ্বিতীয়টি যদি বলি তাহলে সেটি আমাদের অন্যায় এর কারণে। আমি নিজেই দেখেছি অনেকেই বলে দেশে কোনো আইন-কানুন আছে নাকি কিন্তু একটু পরে সে নিজেই ফুটপাত দিয়ে বাইক চালানো শুরু করে।

দিনশেষে আসলে সবার নিয়মকানুন মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী। কারণ আমাদের সাধারন মানুষ এর সহযোগিতা ছাড়া একটি দেশের সরকার কোন দিন চলতে পারবে না। তাই এই দেশ পরিবর্তন করতে হলে আমাদের নিজেদের পরিবর্তন হতে হবে। বলতে নিজের কাছে লজ্জা লাগে ঢাকার বিজয় সরণিতে যে সিগনাল দেয় সেখানে বসে একবেলার খাবার খাওয়া সম্ভব। অথচ আমি মনে করি সেখানে যদি ভিআইপি রোড হিসেবে সোজা বরাবর দুটি ব্রিজ করে দিত তাহলে উপর দিয়ে গাড়ি গুলো চলে যেত। নিচ দিয়ে সোজা রাস্তায় গাড়ি যেতে পারত এতটা জ্যাম হতো না। জানি না এ সকল পদক্ষেপ কেন নেয় না এর চাইতে বড় বড় পদক্ষেপ যেখানে নিচ্ছে সেখানে এত বড় একটা সিগন্যাল পরে সেখানে এই ছোট পদক্ষেপ কেন নেয় না।