প্রেস ইনভাইটেশন এর অভিজ্ঞতা | ১০% লাজুক খ্যাকেএ জন্য|

আজকে একটি সম্পূর্ন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। প্রথমেই বলি আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনারা ভালো আছেন তো? যদিও এখন খুব গরম তবে রমযান মাস হিসেবে খুব ভালো সময় পার করতেছি। যদিও ডেলিভারি দেয়া সব মিলিয়ে একটু চাপের উপর দিয়েই যাচ্ছি তাও আলহামদুলিল্লাহ।

প্রথম ছবিটি বাংলাদেশের ন্যাশনাল চ্যানেল বিটিভি এর মেইন অফিসের ভিতরে। বিটিভি চ্যানেল এখন তেমন একটা মানুষ দেখে না বললেও চলে তবে এর স্মৃতিগুলো কিন্তু কেউ কোনদিন ভুলতে পারবে না। সেই ছোটবেলায় আলিফ লায়লা দেখা প্রতি শুক্রবার বাংলা মুভি দেখা সব মিলিয়ে বিটিভির ওপর মানুষের একটি স্মৃতি থেকেই যায়।

কালের কন্ঠ পত্রিকা। বাংলাদেশে খুব ফেমাস একটি পত্রিকা। কিন্তু অফিসে গেলাম ইনভাইট করতে আমাকে বসিয়ে রাখলো প্রায় ২০ মিনিট। একটাই কারন আমি যে তাদের ইনভাইট করলাম সেটার জন্য একটা রিসিভিং সিল লাগবে। এই সিলের জন্য ২০ মিনিট বসে থাকলাম।

চিন্তা করছেন কিসের ইনভাইট তাই না। এটা সেই কালারফেস্ট এর পোগ্রাম এর আগের দিনের। পোগ্রামে মন্ত্রি এসেছে তাই তাদের ইনভাইটেশন লেটার দিতে গিয়েছিলাম আমি।

তবে আমরা অনেকেই চিন্তা করি যে কোন অনুষ্ঠান এর খোজ সাংবাদিক পায় কই। সেদিন বুঝলাম সবাই ইনভাইট করে। আমি যখন ইনভাইটেশন লেটার দিতে গেলাম আমায় অনেকেই জিজ্ঞেস করলো কোন গিফট আছে 🙆🙆। আমি চিন্তা করলাম তার মানে অনেক জায়গাতেই অনেক কিছু দেয় মেবি। তা না হলে তো আর জিজ্ঞেস করতো না। যাই হোক অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম।

এখানে দুটি প্রেস এর হেড অফিস রয়েছে। একটি হচ্ছে যমুনা টিভি আরেকটি হচ্ছে যুকান্তর টেলিভিশন। ভিতরে বিশাল অবস্থা। কিন্তু কোন পাত্তাই দেয় না কি এক অবস্থা🙆🙆। খালি বলে গিফট আছে। আর এমন সময় গেলাম প্রায় অফিস টাইম শেষ এর দিকে।

সত্যি বলতে যতগুলো হেড অফিসে গেলাম তার ভিতরে সবচাইতে বেশি সুন্দর ছিল বিটিভি টেলিভিশন এর হেড অফিস। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আমরা অনেকেই চিন্তা করি এই বড় বড় চ্যানেল গুলো কিভাবে চলে আসলে মূলত বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর ওপর ভিত্তি করেই এ বড় বড় চ্যানেলগুলো চালানো হয়। বড় বড় কোম্পানিগুলো অনেক টাকা দেয় এডভেটাইজ করার জন্য।