আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকার অন্যতম একটি সুন্দর জায়গা || [10% 𝕭𝖊𝖓𝖊𝖋𝖎𝖈𝖎𝖆𝖗𝖎𝖊𝖘 𝖋𝖔𝖗 @𝖘ʜʏ-ғᴏ𝖝🦊]

ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামটি শুনলেই খুব অদ্ভুত একটি ফিল হয়। কারণ কত মানুষের কত মায়া-মমতা স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আমি নিজেই কতবার গিয়ে চোখের পানি ফেলে বাসায় এসেছি আবার কতবার গিয়ে হাসিমুখে বাবাকে নিয়ে বাসায় এসেছি। ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপরে তলা এবং নিচ তলায় দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফিল কাজ করে। যারা বিদেশ যায় তারা উপরের তলায় যায় সব প্রসেস করার জন্য। আর যারা বিদেশ থেকে নিজের দেশে চলে আসে তারা নিচ তলা টারমিনাল দিয়ে বের হয়।

প্রায় দুই বছর পর আমি ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছি। এই বিমানবন্দরের সাথে আমার খুব গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কারণ আমার বাবাকে আমি সবচাইতে বেশি ভালোবাসি আর বাবা বিদেশে আসা যাওয়া করতো এই বিমান বন্দরের মাধ্যমে। বাইক রাইড দেয়ার সময় হঠাৎ একজন এসে বলল, ভাই আমার এয়ারপোর্ট যেতে হবে আপনি যাবেন? আমি বললাম হ্যাঁ অবশ্যই যাবো। তখন তার সাথে আমি যাত্রা শুরু করি এবং এই যাত্রায় তার সাথে আমার খুব ভালো একটি বন্ধুসুলভ সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। উনার জন্ম হয়েছে সৌদিআরব। ফ্যামিলি সবাই সেখানেই থাকে। রাস্তার মাঝে ২ জন দাড়িয়ে চা খেলাম। উনাকে যখন নামিয়ে দিলাম বিমান বন্দর এর দিকে তাকিয়ে থাকলা খুব অদ্ভুত ভাবে। চিন্তা করছিলাম কত সময় পার করেছিলাম এই ভেবে বাবা কবে আসবে।

আজ থেকে প্রায় 20/25 বছর আগে বিমান বন্দর এতো উন্নত ছিল না। সামনে থেকেই বিমান দেখা যেতো। কিন্তু এখন সামনে থেকে বিমান দেখা যায় না। তবে উওরা দিয়ে একটা রাস্তা আছে যেখানে গেলে বিমান বন্দর এর পিছনের দৃশ্য খুব সুন্দর ভাবে দেখা যায়। যখন ছোট ছিলাম প্রথম বাবাকে দিতে গেলাম বিমান বন্দরে খুব আফসোস লাগছিলো ইসসস বিমান দেখা যায় না কেন। কতো যে কৌতুহল কাজ করতো বিমান নিয়ে তা আর বলে শেষ করা যাবে না। বাচ্চারা যে কোন বিষয় খুব বেশি উৎসাহিত থাকে।

ইচ্ছে আছে ঢাকার মেইন মেইন প্রতিটা স্থানকে আমি রিপ্রেজেন্ট করবো। অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে ঢাকাতে। হয়তোবা আমরা ওই ভাবে ফোকাস করি না। ঢাকায় দিয়াবাড়িটা অনেক সুন্দর। ঢাকার লালবাগ অসাধারণ একটা জায়গা। আমি চেষ্টা করবো লালবাগ এর দৃশ্য গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার। ইনশাআল্লাহ নিজের দেশে সুন্দর গুলোকে ফুটিয়ে তুলবো। কিন্তু আফসোস হচ্ছে এতো পেরায় থাকি কোন দিকে মুভ করার সময় পাই না🥺।

জীবিনে কোন দিন যদি টাকা হয় তাহলে নিজেই যাবো বিমানবন্দরে। সেদিন যাবো টুরে। মায়ের একটা খুব বড় ইচ্ছে আমায় প্রকাশ করেছে। মা আর বাবা দুই জন এক সাথে যদি সৌদি যেতে পারতো। নিজেকে যে কি মনে হয়েছিলো বলার ভাষা নেই আমার। শুধু এটাই চিন্তা করি আল্লাহ আমি যেনো মায়ের এই ইচ্ছেটা পূর্ণ করতে পারি। বিমানবন্দর এর পাসেই রেলস্টেশন রয়েছে রাস্তার অপর সাইডে। তার পাসেই রয়েছে র‍্যাব এর হেডকোয়াটার। এর 3 কিলোমিটার আগেই রয়েছে বাংলাদেশ এর অন্যতম রেস্টুরেন্ট। যার নাম হোটেল লা-মেরিডিয়ান। যেখানে শুধু টাকার খেলা চলে🤭🤭। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি সব কিছু যদিও করে যাচ্ছি কিন্তু ভিতরে আমি খুব অসুস্থ। গায়ের জোরে সব করে যাচ্ছি মাত্র।কারন আমি জানি আমি যদি শুয়ে পরি অনেক সমস্যায় পরতে হবে আমাকে।