রাতের ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার || [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]
সবার সুস্থতা কামনা করছি
আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই। এই প্রথম আজ এমন ফিল হচ্ছে স্বাস কষ্ট হচ্ছে। কিছু দিন ধরেই অসুস্থ। কিন্তু আজ হুট করেই স্বাস কষ্ট হচ্ছে। আসলে এমন অবস্থায় আছি যতোই অসুস্থ হই না কেন আমি চাইলেও এক সপ্তাহ রেস্টে থাকতে পারি না। কি করবো অন লাইনে কাজ করি। এক সপ্তাহ রেস্ট নিতে গেলে একটিভি কমে যাবে। গত সপ্তাহে খুব খারাপ সময় গেছে। জানি না সামনে কি হয়। তবে দোয়া চাই। ফেসবুকেও বিজনেস করি এক সপ্তাহ একটিভ না থাকলে রিচ কমে যায় অটো।
যাই হোক বিকেলে 2 টা ডেলিভারি ছিলো ইমার্জেন্সি দেয়া লাগতো। তাই নিজেই গেলাম। ধানমন্ডি ডেলিভারি দিয়েই চিন্তা করলাম কিছু রাতের ছবি ক্যাপচার করে নেই। আসলে রাতের শহর টা খুব সুন্দর লাগে আমার।
রাস্তার পাশেই চটপটি দেখেই আমার লোভ লেগে গেছিলো। কি আর বলবো 50 টাকা প্লেট। আর শরিরে জ্বর। মনে হলো যে এই শরীরে চটপটি খেলে ভালো লাগবে। খেয়ে নিলাম। এই জায়গাটার সামনে বাংলাদেশ এর একজন সম্মানিত মানুষ শেখ মুজিবুর রহমান এর বাড়ী ছিলো। এখানেই তার মৃত্যু হয়। এখন এই বাড়ীর সামনে পুলিশ থাকে সব সময়। কিন্তু আমি পাশের রাস্তায় ছিলাম। এখানে অনেক মানুষ এসে আড্ডা দেয়। বিশেষ করে ভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা।
যে কোন জায়গা সুন্দর। কিন্তু সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে হবে। রাতের সময় গাছে মধ্যে যখন লাইটের আলো পরে দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে। বিশেষ করে লেকের পাশে বসে থাকতেও অসাধারণ লাগে। তবে শীতের সময় এখানে একটু বেশি শীত লাগে। যাই হোক সময় টা ভালোই কেটেছে। ধানমন্ডি এরিয়াতে এটা একটা দেখার মতন লেক। যদিও ফুল কেপচার করা হয় নি।
একটা ফ্রেন্ড আসছিলো দেখা করতে। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শুনলাম তার জীবনের কথা। মানুষ এখন মানুষকে বিশ্বাস করতেও পারে না। কি এক অবস্থায় আছি আমরা। মেয়েটা 2 বছর প্রেম করলো যার সাথে সেই ছেলে এখন ন্যাশনাল টিমের খেলোয়াড় হয়ে গেলো বলে তাকে ছেড়ে দিলো। এদিকে মেয়ের বাবার টাকার ও অভাব নেই। কিন্তু মেয়েটা এখানে কান্নাই করে দিলো ছেলেটার জন্য। ও পুরো অস্থির হয়ে পরতেছে। যাই হোক দিন শেষে আমরা তো মানুষ কেন মানুষকে এই ভাবে ঠকাই। ভালো যদি নাই বাসলি তাহলে ২ বছর কেন ছিলি মেয়েটার সাথে।যাই হোক আমি ওরে অনেক বুঝাইলাম। যা হয়েছে হয়তোবা ভালোর জন্যই হয়েছে। তবে ওর কান্নাটা চোখে ভাসছে এখোনো।
আমি বাসায় চলে আসি। স্বাস কষ্ট টা বেড়ে যাচ্ছে। এখন যে পোস্ট করতেছি খুব খারাপ লাগতেছে দোয়া চাই।বাসায় এসে অবশ্য গরম পানির ভাপ নিলাম অনেকটা সময়।
লাস্ট একটা মেসেজ দেই সবাইকে। কারো বিশ্বাস নিয়ে খেলা করে নিজেকে বড়ো মনে লাভ নেই। যে আপনাকে বিশ্বাস করেছে সে বোকা না। বরং সে ভুল করেছে আপনার মতন মানুষ রুপি সয়তানকে বিশ্বাস করে। মানুষ এখন অনেকেই ফ্লট করে। তবে সেটা সবার সাথে কথা উচিত না। অনেকেই ফটকার সাথে ফটকামি করে। তাই বলে দুই বছর আশা দিয়ে কারো মন নিয়ে খেলা করা মোটেও উচিত না।কাউকে ভালো না লাগলে এতো বেশি সময় তার থেকে নিবেন না যাতে আপনি তার থেকে চলে গেলে সে নিজেকে খুব অসহায় মনে করে🥺।
চিন্তার দিন শেষ বলো আমার বাংলা ব্লগের হবে বাংলাদেশ।
আমি সাইফুল ইসলাম রাজু ।
ঢাকা মোহাম্মাদপুর থেকে কাজ করি ।
মুন্সিগঞ্জ এর ছেলে ।
বাংলাদেশের একটি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন ই-কমার্সে কাজ করি।
ঢাকা মোহাম্মাদপুর থেকে কাজ করি ।
মুন্সিগঞ্জ এর ছেলে ।
বাংলাদেশের একটি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন ই-কমার্সে কাজ করি।
কি বলবো ভাই মানুষের জীবন টাই এমন বিরতিহীন চলমান এক বাহন।গাড়ি একবারে ওফ হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত কোনো বিরাম নেই।একটু বিশ্রাম করবেন অনেকদূর পিছিয়ে পড়বেন।যাইহোক আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো প্রিয় ভাই।তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন আর মহান সৃষ্টি কর্তা সব বিপদ থেকে মুক্তি দান করুন আপনাকে আমিন।
*একদম ঠিক বলেছেন ভাই আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করি। আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। মনে হলো আপনি জীবন নামক একটি যুদ্ধে আছেন। যেখানে ক্লান্তি থাকলেও অবসর নেই। ধানমন্ডি ৩২ এ আমি একবার গিয়েছিলাম আমার হাজবেন্ডের সাথে। তবে আমি গিয়েছি দিনের বেলায়। কিন্তু আপনার রাতের বেলায় ছবিগুলো বেশ সুন্দর লাগছে।সবশেষে আপনি মানুষকে বিশ্বাস করা নিয়ে যে কথাগুলো বললেন আমিও আসলে মনে করি কারো বিশ্বাস ভঙ্গ করা উচিত নয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার একটি পোস্ট করার জন্য।
কি আর বলবো মেয়েদের কমেন্ট গুলা সত্যি দারুন হয়। কারন এটা সত্যি আপনারা না পড়ে কমেন্ট করেন না।