সময়ের সঠিক মূল্যায়ন করা উচিত || [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]
সবার সুস্থতা কামনা করছি
কি করবো কি করবো এই চিন্তা করে আমরা যে সময় নষ্ট করি সেই সময় যদি কিছু একটা করা যেত তাহলে হয়তোবা এত চিন্তা করা লাগত না। আসলে কোন কিছুই প্রথম থেকে অনেক সুন্দর হয় না সবকিছু সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে হয়। আমরা অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান দেখি কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানগুলো একদিনে বড় হয়ে যায়নি সেগুলোর পেছনে অনেক পরিশ্রম রয়েছে এবং অনেক সঠিক পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা অনেক সময় এটা বলি যদি আমি অমুকের মতো হতে পারতাম কিন্তু এই চিন্তা কেন করি না যে আমি চেষ্টা করলে তার চাইতেও ভালো কিছু করতে পারবো। আমরা এখন সময়ের সঠিক মূল্যায়ন করতেই জানি না। আফসোস লাগে কতো মানুষ ঢাকায় থাকে শিক্ষিত কিন্তু বেকার। যারা এটা বলে চেচায় কি করবো জব নেই তাদের সত্যি আমি সহ্য করতে পারি না।
আচ্ছা আপনি কি অনেক শিক্ষিত? তাই খুব কোয়ালিটিফুল জব খুজেন? আপনি যেনো তেনো কাজ করলে সম্মান যাবে? আপনার চিন্তা চেতনাই ভুল। আমি নিজেও একজন ডিপ্লমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। একটা কোয়ালিটিফুল জব ছিলো। সেটা বাদ দিয়ে আমি আজ ডেলিভারি দেই। কিন্তু আমার তো খারাপ লাগে না। কারন কি জানেন? কারন আমি যে কোন কাজ কে সম্মান করি। নিজে উদ্দোক্তা হয়েছি কারো বকা খেতে চাই না। কারো আন্ডারে কাজ করতে চাই না। ভালো লাগে এটা ভাবতে নিজের ছোট হলেও একটা ব্যবসা রয়েছে। আপনি একজন বেকার এতো পড়াশুনা করে বাবার টাকায় এখনো চলেন এখানে আপনার লজ্জা করে না কিন্তু আপনি ডেলিভারি দিতে গেলে লজ্জা লাগে। এই লজ্জাই সব শেষ করে দিয়েছে। আমি ডেলিভারিটা এখানে শুধু মাত্র একটা রুপক শব্দে ব্যবহার করেছি। যে কোন কাজ হতে পারে এটা। বসে খাওয়ার চাইতে কিছু করে নিজের উপার্জনে চলার মধ্যে অনেক শান্তি রয়েছে।
আজ আমি যেই ছবি গুলো শেয়ার করছি এগুলো ঢাকার উওরায় অবস্থিত। এক সাথে অনেক বিল্ডিং রয়েছে। আমার ধারনা মতে ৫০ এর কম হবে না মেবি। বেশি হবে। নিজের ডেলিভারি নিজেই দিয়ে আসলাম। মজার ব্যাপার এমন একটা বিল্ডিং এর নাম বলেছে খুজতে আমার ১০ মিনিট লেগেছে। কারন ভিতরে মানুষ ছিলো না তেমন। কয়েকজনকে পেলাম তারাও চিনে না। কি এক অবস্থা। অনেক কষ্ট করে পেয়েছি।
১৫ তলা বিশিষ্ট ভবন গুলো দেখতে অসাধারণ ছিলো। প্রতিটি ভবন দুটি কালার দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে। তার ভিতর আবার ২ কালারের বিল্ডিং এর মিশ্রন রয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে বাহির থেকে এতো সুন্দর বিল্ডিং এর ভিতরের অবস্থা সুবিধার লাগে নাই আমার কাছে 🤭🤭। কেমন একটা বাজে অবস্থা। এটা আসলে স্বাভাবিক। কিছু দিন আগে একটা নিউজ দেখেছিলাম বাংলাদেশ এর সেরা একটা বিমান যেখানে হাই কোয়ালিটির মানুষ যাবে। সেই বিমান টি নতুন কিন্তু মানুষ বাদাম এটা সেটা খেয়ে নোংরা করে রেখেছে🤭🤭। বাংলাদেশ এর অনেক বদনাম রয়েছে তবুও এই দেশকেই আমি ভালোবাসি। কারন এটা আমার দেশ। আর হ্যা অনেক ভালো রয়েছে তবে হাজার ভালোর ভিতর একটা খারাপ থাকলে দেখবেন খারাপটি বেশি হাইলাইট হয়।
রাস্তার ছবি দেখেই বুঝে গেছেন কি সুন্দর। সত্যি বাহিরের পরিবেশ টা অসাধারণ ছিল। অনেক দেখেছি এই এ্যাপার্টমেন্ট গুলো। কিন্তু কোন কাজ ছাড়া তো আর যেতে দিবে না। কাজের ফাঁকে দেখে আসলাম।
চিন্তার দিন শেষ বলো আমার বাংলা ব্লগের হবে বাংলাদেশ।
আমি সাইফুল ইসলাম রাজু ।
ঢাকা মোহাম্মাদপুর থেকে কাজ করি ।
মুন্সিগঞ্জ এর ছেলে ।
বাংলাদেশের একটি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন ই-কমার্সে কাজ করি।
ঢাকা মোহাম্মাদপুর থেকে কাজ করি ।
মুন্সিগঞ্জ এর ছেলে ।
বাংলাদেশের একটি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন ই-কমার্সে কাজ করি।
আপনার লেখাটি পরে সত্যি অনেক ভালো লাগলো, পারিনা বলে বসে থাকাটাই আহাম্মকের আলামত, আমাদের সর্বদা চেস্টা চালিয়ে যেতেই হবে, আর এখানে আরো একটি কথা লুকানো আছে সেটি হলো কোনো কাজেই ছোট না, তাই আমরা অহেতুক সময় নষ্ট না করে নিজের মূল্যবান সময় গুলো কাজে লাগাবো ইনশাআল্লাহ, অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি অনেক শুভেচ্ছা রইলো ভাইয়া।
আমাদের সকলের উচিত সকল কাজকে সম্মাম-জনক অবস্থা থেকে দেখা।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার বাস্তবতার গল্প তুলে ধরার জন্য আমাদের মাঝে
আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভালো আলোচনা করেছেন।সময় খুবই মারত্মক একটা জিনিস। যাকে অবহেলা করলে নিজেই অবহেলিত হবেন।সঠিক সময়ে সঠিক চিন্তার বিকাশ ও তার বাস্তবায়নই পারে একটি মানুষ সফল করে তুলতে।কোন কাজ কেই ছোট করে দেখতে নেই।কাজের মুল্যায়নে ব্যক্তির অবস্থানের পরিবর্তন হয়।তাই নিজেকে কোয়ালিটিফুল করে তোলার বিকল্প কিছুই নেই।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
আপনার এমন জ্ঞানগর্ভমুলক আলোচনা ছিলো খুবই নির্দেশনামুলক।যা থেকে দারুনকরেই শিক্ষা নেওয়া যায়।
আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আজকে আপনি বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। তাই আমাদের সবাই যথাযথভাবে সময়ের মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলে জীবনে সফলতা আসবে। এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ভালো থাকবেন ভাই।
আসলেই ভাই আমাদের সময় এর সঠিক মূল্যায়ন করা উচিৎ। না হলে যেকোনো কাজেই আমরা পিছিয়ে যাবো। আর কোনো কাজই ছোট না। কাজ কে সম্মান না করলে সে কাজ করে মজা পাওয়া যায়না। সবারই উচিৎ কাজ কে সম্মান করা।
আসলেই আমরা কাজকে মূল্যায়ন করতে জানি না। তাই তো আমাদের দেশে অপকর্ম বেশি। আমরা একজন সৎ লোক যদি সৎ কাজ করে গরিব হয়,কিন্তুু একজন অসৎ লোক যদি অসৎ কাজ করে বড়লোক হয়,তাহলে আমরা গরিবের চেয়ে বড়লোককে মূল্যায়ন করি। আরে মসজিদের মত পবিত্র স্থানে বেছে বেছে পাওয়ার ফুল মানুষকে কমিটির সদস্য বানাই। আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা নাকি কাজেই খোজে পায় না।বেশি বেতনে চাকরি করবে কম বেতনে হয়।তাদেরকে এটা বোঝানো যায় না মানুষ ছোট থেকেই বড় হয়।ভাইয়া ভালো ছিলো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। কিছু বলার নাই আসলে।
ভালই বলেছেন। তবে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা সবার সম্ভব হয়না। যারা চেষ্টা করে তাদের নানা কারনে র ভিড়ে, আবার তল্পিতল্পা গোছাতে হয়। ঘুনে ধরা এ সমাজে, কারো ভাবনা তীর্যক গতিতে পৌঁছাতে পারে না। সুন্দর ছিল সবকিছু।
সহমতে কামনা।
আমাদের সকলেরই কোন কাজকে ছোট করে না দেখে,সব কাজকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত। আমরা অনেক আগে থেকে এই সিস্টেমের সঙ্গে অভ্যস্ত নই। যার ফলে আমরা গতানুগতিকভাবে কিছু পেশাল বড় করে দেখে, অন্য পেশাগুলোকে ছোটভাবে নেই। কই সুন্দর একটি বিষয়ে লিখেছেন।আর ফটোগ্রাফিগুলো আপনার পোষ্টের সঙ্গে যৌক্তিক ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
উফ আগুন লেখা দারুন মোটিভেশন পেলাম। আসলেই আমাদের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনা উচিত্। সবাই যদি শুধু চাকরির পিছনে ছুটি তাহলে উদ্যোক্তা হবে কে। ধন্যবাদ আপনাকে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করে আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।